ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের ‘ভুল’ করে চালানো গুলিতে নিহত তিন ইসরায়েলি বন্দি ঘটনার সময় সাদা কাপড় উড়িয়েছিলেন। এরপরও সেনারা তাদের গুলি করেছে যা নিয়মবিরুদ্ধ। এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চলছে। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা। খবর বিবিসির।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) গাজার শুজাইয়াতে যুদ্ধের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনজন ইসরায়েলি বন্দি নিহত হয়। পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, এই তিন ইসরায়েলি বন্দিকে ‘হামাস যোদ্ধা’ ভেবে গুলি করে হত্যা করেছে তারা।
নিহতরা হলেন, ২৮ বছর বয়সী ইয়োতাম হাইম, ২৫ বছর বয়সী সামের আল-তালালকা এবং ২৬ বছর বয়সী অ্যালোন শামরিজ। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে তাদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসারয়েলের সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে ওই তিন বন্দি একটি ভবন থেকে শার্ট ছাড়া বের হন। এ সময় তাদের একজনের হাতে লাঠিতে সাদা কাপড় বাঁধা ছিল।
তবে বেশ খানিকটা দূরে থাকায় একজন সেনা তাদের হুমকি হিসেবে শনাক্ত করেন। এরপর হামাস যোদ্ধা ঘোষণা করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয় এবং তৃতীয়জন আহত হয়ে ভবনে ফিরে যান।
এ সময় ওই ভবন থেকে হিব্রু ভাষায় সাহায্যের আর্তনাদ ভেসে আসে। ফলে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সেনাদের গুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পরে ওই আহত ইসরায়েলি বন্দি ভবন থেকে বেরিয়ে এলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় দেশটিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ইসরায়েল। এমনকি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নতুন করে হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন