ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হার্নিয়া ধরা পড়েছে। এই জন্য রোববার তার একটি অস্ত্রোপচার করা হবে। খবর রয়টার্সের।
এমন এক সময়ে নেতানিয়াহুর হার্নিয়া ধরা পড়েছে যখন গাজায় হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তি এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুরো ইসরায়েল উত্তাল হয়ে আছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে রুটিন চেকআপের সময় নেতানিয়াহুর শরীরে একটি হার্নিয়া পাওয়া গেছে। এই জন্য রোববার তার অস্ত্রোপচার করা হবে। এই সময় তাকে সাধারণ চেতনানাশক দেওয়া হবে।
হার্নিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যা প্রায়ই পেটে বা কুঁচকির আশপাশে দেখা যায়। এর কারণে একটি অঙ্গ বা টিস্যু আশপাশের পেশি বা সংযোগকারী টিস্যুতে একটি দুর্বল খোলার মাধ্যমে চেপে যায় ও ভেঙে যায়। যার ফলে স্থানীয়ভাবে ব্যথা ও অস্বস্তি হয়। চিকিৎসা না করলে এ থেকে নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।
তবে নেতানিয়াহুর শারীরিক অবস্থা জটিল নয় বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে তার কার্যালয়। এমনকি বিষয়টি বোঝাতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন পর্যন্ত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে আমি এই চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন করব এবং খুব দ্রুত কাজে ফিরব।
নেতানিয়াহুর হার্নিয়া চিকিৎসার সময় ইসরায়েলি বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন ইসরায়েলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত এবং ইসরায়েলের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে গত জুলাই মাসে নেতানিয়াহুকে একটি পেসমেকার লাগাতে হয়েছিল। তখনও নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থি সরকারের বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। হামাসে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালালে এই বিক্ষোভে ভাটা পড়ে।
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বর্তমানে ষষ্ঠ মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বিচার বিভাগীয় সংস্কার, দুর্নীতি, গাজা যুদ্ধ ও বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে না পারায় বর্তমানে তার জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে। তার নেতৃত্বের প্রতি সামান্যই আস্থা রাখছেন ইসরায়েলিরা। এমনকি এখন নির্বাচন হলে বিরোধীদের কাছে একেবারে গোহারা হারবেন তিনি।
মন্তব্য করুন