কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মিসর কেন ইসরায়েলকে রক্ষা করতে মরিয়া?

মিসর-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতীকী ছবি
মিসর-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে আরব সুন্নি রাষ্ট্রগুলোর গোপন সম্পর্ক বহুল আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এক সময় একজোট হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এসব রাষ্ট্র কেন এখন ফিলিস্তিনি ইস্যুতে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।

এমনকি নিজেদের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করা ইসরায়েল নিয়ে নিশ্চুপ হয়ে আছে সীমান্তবর্তী মিসর ও জর্ডানও। এমনই কৌতূলহউদ্দীপক প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে।

উত্তর গাজা থেকে শুরু করে একে একে ফিলিস্তিনি আবাসভূমির ওপর তাণ্ডবলীলা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মিসর সীমান্তবর্তী এ শহর দখলকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় দুই মিসরীয় সেনাসদস্য।

এ ঘটনার পরই মিসরজুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে নাগরিকরা। তবে দেশটির সেনাবাহিনী ঘটনার তদন্ত করা ছাড়া নিহত ও আহত সেনাদের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এমনকি এক সেনার দাফনে কোনো সামরিক শ্রদ্ধা পর্যন্ত জানায়নি সেনাবাহিনী। অপর সেনার মৃত্যু সরাসরি অস্বীকার করে বসে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সেনাসদর।

মিসরীয় কর্মকর্তারা বলছেন, তেলআবিবের সঙ্গে কায়রোর সম্পর্ক ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মূলত ১৯৭৮ সালে স্বাক্ষরিত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির আওতায় দুই দেশের সামরিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বোঝাপড়া পরিচালিত হয়।

প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের সময় স্বাক্ষরিত এ চুক্তি প্রেসিডেন্ট সিসির সময়ে আরও সুদৃঢ় হয়েছে। আর জনমতকে উপেক্ষা করে মিসরীয় প্রশাসন এ চুক্তির সব সুবিধা ভোগ করছে।

সিসি প্রশাসন জনগণের মধ্যে এ ধারণা প্রচার করার চেষ্টা করছে যে, আমেরিকার সঙ্গে তাদের সখ্য ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল। দেশটি প্রতি বছর আমেরিকা থেকে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকে।

এ ছাড়া মার্কিন মিত্র ও অন্যান্য সংস্থা থেকে আরও বিপুল পরিমাণ সহায়তা পেয়ে থাকে কায়রো প্রশাসন। যা বর্তমান স্বৈরাশাসনকে অর্থনৈতিকভাবে পতনের হাত থেকে রক্ষা করছে।

এ চুক্তির ফলে ইসরায়েল আরব বিশ্বের বৃহত্তম একটি দেশকে সংঘাত থেকে পুরোপুরি দূরে রাখতে পেরেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি প্রশাসন বুঝতে পেরেছে যে মিসরীয় সরকার পুরোপুরি তেলআবিবের ইচ্ছার প্রতি নির্ভরশীল। সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ফিলাডেলফি করিডোর দখল ও দুই মিসরীয় সেনা হত্যার পরও সিসি প্রশাসনের নির্লিপ্ততা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ বহন করে।

সিসি প্রশাসন পশ্চিমা শক্তিগুলোকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, তার শাসনের বিপরীতে গণতান্ত্রিক সরকার ইসরায়েলের বিপক্ষে সংঘাতে অংশ নেবে। যা তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি জনপ্রিয় করে তুললেও ইসরায়েলের জন্য হুমকি তৈরি করবে।

এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা সহযোগিতা নিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন চরম দুর্নীতিবাজ এ শাসক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

থানা ব্যারাকে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ, তিনজন ক্লোজড

পিআর পদ্ধতিতে সব ভোটারের মূল্যায়ন হয় : চরমোনাই পীর

তিস্তায় কার্টুন বক্সে ভাসছিল নবজাতকের মরদেহ

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে : চসিক মেয়র

কৃষক দল সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সতর্কবার্তা / ‘সাংবাদিকরা চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকারে ডুবে যাবে’

যেসব অনিয়মে বাতিল হবে এজেন্সির নিবন্ধন

অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ : পুলিশ সুপার

১০

বগুড়ায় সাহিত্য উৎসব শুক্রবার, অংশ নিবে দুই শতাধিক কবি

১১

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধে নতুন নির্দেশনা

১২

জুলাই শহীদদের স্মরণে জবিতে গ্রিন ভয়েসের বৃক্ষরোপণ ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

১৩

মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানে রুশ হামলা

১৪

মালয়েশিয়ার পর চীন সফরে যাবেন নাহিদ

১৫

৩১ দফাই হচ্ছে আমাদের জাতীয় সনদ : সুব্রত চৌধুরী

১৬

টিসিবির নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকচাপায় বৃদ্ধ নিহত

১৭

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর বাতিল

১৮

জেলেনস্কির টার্গেট তুরস্ক, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড

১৯

শিক্ষকের ওপর হামলা, ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ

২০
X