

যে কোনো সময় উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা। এতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের জ্যামাইকা লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো ধারাবাহিক সতর্কবার্তা দিচ্ছে। তা সত্বেও জ্যামাইকার উপকূলবাসীদের একটি অংশ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নারাজ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যামাইকার কর্মকর্তারা বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন এবং হারিকেন মেলিসার প্রত্যাশিত আঘাতের আগে মানুষকে উঁচু স্থানে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে সরে যাওয়ার অনুরোধ সত্ত্বেও দ্বীপের কিছু বাসিন্দা সেখানেই থেকে যাচ্ছেন। এদের একজন রয় ব্রাউন কিংস্টনের সমুদ্রতীরবর্তী পোর্ট রয়্যালে এএফপিকে বলেছেন, আমি সরছি না। আমি বিশ্বাস করি না যে আমি মৃত্যুর হাত থেকে পালাতে পারব।
প্লাম্বার এবং টাইলার বলেছেন, সরকারি হারিকেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর খারাপ অবস্থার সাথে তার অতীতের অভিজ্ঞতার কারণে তিনি সেখানে যেতে অনিচ্ছুক।
জেলে জেনিফার রামদিয়াল একমত হয়ে সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই না।
এদিকে ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার হারিকেন মেলিসা ক্যারিবীয় দেশ জ্যামাইকায় আঘাত হানতে চলেছে। কয়েক ঘণ্টায় এটি উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। বর্তমানে এটি উপকূল থেকে ৪০ মাইলের কম দূরত্বে অবস্থান করছে।
ইতোমধ্যে এর প্রভাবে প্রাণহাণির ঘটনাও ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল (২৮২ কিলোমিটার) বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। উপকূলের যত কাছে আসছে এর ধেয়ে আসার গতিও বাড়ছে।
জুম আর্থের একটি স্যাটেলাইট মানচিত্র অনুসারে, ক্যাটাগরি ৫ ঝড়টি বর্তমানে জ্যামাইকার স্থলভাগ থেকে ৬৪ কিলোমিটারেরও (৪০ মাইল) কম দূরে অবস্থান করছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে এটি আঘাত হানার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে।
মন্তব্য করুন