টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে সাবমেরিন টাইটান নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পর এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ উদ্ধার করা গেলেও এর ভেতরের পাঁচ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড।
এ পাঁচ আরোহীর মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ। সুলেমানের ফুফু জানান, রওনা হওয়ার কয়েক দিন আগ পর্যন্ত দ্বিধায় ছিল ১৯ বছর বয়সী সুলেমান দাউদ। তবে শেষমেশ বাবা দিবস উপলক্ষে বাবাকে খুশি করতে টাইটানে চড়েছিল সে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান সুলেমানের ফুফু আজমেহ দাউদ। তিনি বলেন, সুলেমান তার এক আত্মীয়কে জানিয়েছিলেন, সে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যেতে চায় না। তার ভয় লাগছিল। তবে ভ্রমণের তারিখটি বাবা দিবসের সপ্তাহে পড়ায় বাবাকে খুশি করতে ভ্রমণে রাজি হয়। কারণ তার বাবা শাহজাদা টাইটানিকের ব্যাপারে খুব উৎসাহী ছিলেন।
১০০ বছরের বেশি সময় আগে ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় সেই সময়ের সর্ববৃহৎ জাহাজ টাইটানিক। জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে গত রোববার পর্যটকদের নিয়ে ডুব দিয়েছিল ডুবোযান টাইটান।
আটলান্টিকের গভীরে ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় টাইটানের সঙ্গে পানির ওপরে থাকা নিয়ন্ত্রক জাহাজ ‘পোলার প্রিন্সের’ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে চলছিল টাইটানের উদ্ধার অভিযান।
চার দিনের শ্বাসরুদ্ধকর তল্লাশি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানায়, ভয়ংকর বিস্ফোরণে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে টাইটান। আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গেছে টাইটানের ধ্বংসস্তূপ। তবে এর ভেতরের পাঁচ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।
মন্তব্য করুন