কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নোবেল বিজয়ী এলিস মুনরো মারা গেছেন

এলিস মুনরো। ছবি : সংগৃহীত
এলিস মুনরো। ছবি : সংগৃহীত

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কানাডীয় লেখক এলিস মুনরো মারা গেছেন। সোমবার কানাডার অন্টারিওর পোর্ট হোপে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। লেখকের পরিবার ও প্রকাশনী সংস্থা বিষয়টি বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে।

এলিস মুনরোর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ছোট গল্প লিখে জনপ্রিয়তা পাওয়া এ লেখক ২০১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।

তিনি ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ছোট গল্প লিখেছেন। তার লেখার ধরনকে রাশিয়ার লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

এলিস মুনরোর গল্পের উপজীব্য ছিল কানাডার গ্রামীণ জীবন। তার অন্তর্দৃষ্টি ও সমবেদনা তিনি লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন।

তার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোক বইছে। তার শুভানুধ্যায়ী ও পাঠক-ভক্তদের মধ্যে তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকে শোকবার্তা দিচ্ছেন।

এক শোকবার্তায় পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম হাউস কানাডার সিইও ক্রিস্টিন কোচরানে বলেন, এলিস মুনরো ছিলেন জাতীয় সম্পদ। তিনি গভীর প্রজ্ঞা, সহানুভূতি ও মানবতার একজন লেখক ছিলেন; যার কাজ কানাডা ও বিশ্বজুড়ে পঠিত, প্রশংসিত এবং পাঠকরা লালন করেন।

১৯৩১ সালের ১০ জুলাই কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায় মুনরোর জন্ম। বাবা ছিলেন খামার মালিক, মা স্কুলশিক্ষক।

বাবার খামার ছিল তার খেলার মাঠ। সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশ মুনরোর মনোজগত গঠনে ভূমিকা রাখে।

তার লেখা বিশ্বজুড়ে পাঠকদের মনে দাগ কাটতে থাকে। ২০১৩ সালে এলিস সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তাকে নোবেল কমিটি ‘সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’বলে উল্লেখ করেছিল।

মাত্র ১১ বছর বয়সেই মুনরো ঠিক করে ফেলেন, বড় হয়ে একজন লেখকই হবেন। সে মতোই এগিয়েছে সবকিছু। নিজের পেশা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আর কখনো তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেননি।

১৯৫০ সালে ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকাকালে মুনরোর প্রথম গল্প দ্য ডাইমেনশন অব আ শ্যাডো প্রকাশিত হয়। গল্পটি তখনই স্থানীয় পর্যায়ে তাকে খ্যাতি এনে দেয়। এতে তিনি আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন।

তার বেশির ভাগ গল্পে ওঠে এসেছে কানাডার গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ। অন্য বড় লেখকদের মতো তিনি বিশ্বভ্রমণে বের হননি। স্বাভাবিকভাবেই নিজের চারপাশের গণ্ডির বাইরের বিষয় নিয়ে তার লেখালেখিও কম।

মুনরো গভর্নর জেনালের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস, ১৯৭৮ সালে হু ডু ইউ থিংক ইউ আর এবং ১৯৮৬ সালে দ্য প্রোগ্রেস অব লাভ বইয়ের জন্য। তিনি কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছেন।

২০০৯ সালে পেয়েছেন ম্যান বুকার পুরস্কার। দ্য বেয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন বইয়ের জন্য তিনি ওই পুরস্কার পান।

মুনরোর প্রকাশিত অন্যান্য ছোটগল্পের সংকলনের মধ্যে আছে লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইম্যান-১৯৭১, সামথিং আই হ্যাভ বিন মিনিং টু টেল ইউ-১৯৭৪, দ্য মুনস অব জুপিটার-১৯৮২, ফ্রেন্ড অব মাই ইয়োথ-১৯৯০, ওপেন সিক্রেটস-১৯৯৪, দ্য লাভ অব আ গুড উইম্যান-১৯৯৮, হেটশিপ ফ্রেন্সশিপ কোর্টশিপ লাভশিপ ম্যারিজ-২০০১, রানঅ্যাওয়ে-২০০৪, টু মাচ হ্যাপিনেস-২০০৯ এবং ডিয়ার লাইফ-২০১২।

মুনরোর অনেক গল্প তার আশপাশের গ্রামকেন্দ্রীক। শক্তিশালী আঞ্চলিক ফোকাস তার কথাসাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। নোবেল পুরস্কার জেতার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘কানাডার ছোট একটি গ্রামের জীবনের বর্ণনা এত আকর্ষণীয় কী করে হতে পারে?’ মুনরো উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাকে সেখানে থাকতে হবে।’

এদিকে অনেক সমালোচক লিখেছেন, মুনরোর গল্পগুলোতে প্রায়ই উপন্যাসের আবেগগত এবং সাহিত্যিক গভীরতা থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী নির্বাচনে ছাত্র-জনতা দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে : গোলাম পরওয়ার

সপ্তাহের সেরা চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ সংখ্যা ৩ হাজারেরও বেশি

ভূমিকম্পে ৪ জেলায় নিহত ৭, আহত দুই শতাধিক

সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

৩০ মিনিটে ৯ কোটি টাকা লুট

আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার

ভূমিকম্প শেষে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে তুলার গুদামে আগুন

নাকে আইফোনের তার ঢুকিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা

কিবরিয়া হত্যায় আটক ব্যক্তির মৃত্যু, ব্যাখ্যা দিল ডিএমপি

যে ভূমিকম্পে পরিবর্তন হয়ে যায় পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি

১০

ভূমিকম্পে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু

১১

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ

১২

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে শিশুসহ নিহত ২, আহত শতাধিক

১৩

রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমালে কি ফোনে আগুন লাগতে পারে?

১৪

ফুটবল মাঠে আবারও মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

১৫

শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘অস্ট্রেলিয়া এডুকেশন এক্সপো-২০২৫’

১৬

বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি

১৭

খুলনা বিভাগের উন্নয়নে পাঁচ দফা দাবি

১৮

জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতল এআইইউবি 

১৯

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নাতীত : গোলাম পরওয়ার

২০
X