গেমিং অ্যাপ পাবজি খেলতে গিয়ে পাকিস্তানের ২০ বছর বয়সী নারীর সঙ্গে ভারতের এক যুবকের আলাপ শুরু হয়। এরপর সেই আলাপ থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দুজন দেখা করতে চাইলেও তাতে বাদ সাধে সীমান্তের কাঁটাতার। সেই বাধা টপকে পাকিস্তানের সীমা গোলাম হায়দার নামের ওই নারী ভারতে এলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজর এড়াতে পারেননি।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে চার সন্তানসহ সীমাকে আটক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে আশ্রয় দেওয়া ওই যুবককেও আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, চার সন্তানসহ পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে উত্তর প্রদেশের বৃহত্তর নয়ডায় অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন ওই নারী। পরে তাদের আটক করা হয়। তারা বৃহত্তর নয়ডায় রাবুপাড়ার সচিন নামে এক স্থানীয় যুবকের ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
পুলিশের ভাষ্য, ওই নারী সন্তানদের নিয়ে গত মাসে নেপাল হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। এরপর তিনি সন্তানদের নিয়ে বাসে করে উত্তর প্রদেশের নয়ডায় পৌঁছান।
পুলিশের বক্তব্য, যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ওই নারী ভারতে আসেন, তা সঠিক ছিল না। এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, এক পাকিস্তানি নারী ওই এলাকায় অবস্থান করছেন। শেষে পুলিশ গিয়ে সন্তানসহ সীমা ও আশ্রয়দাতা সচিনকে পুলিশ আটক করে।
এ ব্যাপারে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (বৃহত্তর নয়ডা) সাদ মিয়া খান জানান, পাকিস্তানি ওই নারী এবং স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ওই নারীর চার শিশুসন্তানকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন