চুমুকে বলা হয় ভালোবাসার প্রতীক। তবে এর মাধ্যমে শুধু ভালোবাসার প্রকাশই ঘটে না, চুমু নিয়ে রয়েছে অনেক মজার ঘটনাও। টানা চুমুতে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছেন অনেক যুগল। আবার অবিরত চুমুর পর অসুস্থ হয়ে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে।
পৃথিবীতে অনেক রেকর্ডের মতোই দীর্ঘস্থায়ী চুমুর বিশ্ব রেকর্ড রাখত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। তবে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি এ রেকর্ড রাখা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কেন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?
এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দীর্ঘস্থায়ী চুমুর বিশ্ব রেকর্ডের কয়েকটি গল্প জেনে নেওয়া যাক। ১৯৯৯ সালে ইসরাইলের কারমিত জুবেরা ও দ্রর অর্পাজ পৌনে ৩১ ঘণ্টা চুমুর রেকর্ড করেন। পুরস্কার হিসেবে বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ এবং আড়াই হাজার ডলারও পেয়েছিলেন এ যুগল। তবে রেকর্ড করার পর অচেতন হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাদের।
২০০৪ সালে ইতালির তরুণ আন্দ্রেয়া সারতি তার প্রেমিকা থাইল্যান্ডের নাগরিক আন্না চেনকে ৩১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট চুমু খান। কিন্তু রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতায় নেমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল তাদের। দীর্ঘ চুমুর রেকর্ড গড়ার প্রতিযোগিতায় নেমে আধা ঘণ্টায় অচেতন হন এক নারী। এ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালে।
থাই দম্পতি এক্কাচাই এবং লাকসানা তিরানারাত ২০১৩ সালে সবশেষ দীর্ঘ চুমুর রেকর্ড ভাঙেন। ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট অবিরত চুমু দেন তারা। পুরস্কার হিসেবে তাদের আড়াই হাজার মার্কিন ডলার ও সমপরিমাণ টাকার হীরার আংটি দেওয়া হয়। আর ওই বছরই রেকর্ড রাখার প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দীর্ঘ চুমুর রেকর্ড বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিযোগিতাটি খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। চুমুর মধ্যে বিরতি না থাকা ও পাল্লা দিয়ে রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় অংশগ্রহণকারীদের নিদ্রাহীনতাবিষয়ক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির প্রবণতাও বাড়ছিল।
শর্তগুলোর মধ্যে প্রথমটি ছিল, চুমু হতে হবে অবিরত এবং ঠোঁট আলাদা করা যাবে না। আলাদা হলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বে। যদিও প্রতিযোগিতার মাঝে ছোট পাইপ দিয়ে তরল নেওয়া সুযোগ ছিল।
বাকি শর্তগুলো হলো, চুমুর পুরো সময় প্রতিযোগীকে জেগে থাকতে হবে। প্রতিযোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কোনো কিছুতে হেলান না দিয়ে। চুমুর মাঝখানে কোনো বিরতি থাকবে না। আর টয়লেটে যেতে পারবে, তবে সেটা চুমুরত অবস্থাতেই।
দীর্ঘ চুমুর রেকর্ড বন্ধ রাখার পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ‘দীর্ঘস্থায়ী চুমুর ম্যারাথন’ নামে নতুন একটি প্রতিযোগিতা চালু করে। তবে এবারে এক ঘণ্টা পরে পাঁচ মিনিটের জন্য বিরতি দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন