কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভয়ংকর দাজ্জালের আবির্ভাব কখন, বাঁচার উপায় কী?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পৃথিবী যতই কেয়ামতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ততই বাড়ছে ফিতনা। আর এসব ফিতনা থেকে হাজার হাজার গুণ বড় ফিতনার নাম দাজ্জাল। বলা হয়ে থাকে, মানব জাতির জন্য দাজ্জালের চেয়ে বড় আর কোনো বিপদ নেই।

সব নবীই তার উম্মতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে দাজ্জাল থেকে বাঁচার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন।

দাজ্জাল নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। তার একটি হলো—সে মানুষ নাকি জিন? গবেষকদের অধিকাংশরাই বলেছেন, সে মানুষ।

কেউ কেউ বলেছেন, সে শয়তানের অন্তর্ভুক্ত। কেউ বলছেন, মানুষের মতো দেখতে হলেও দাজ্জাল ভয়ানক এক প্রাণী।

এমনই ভয়ংকর, যা আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব। এক চোখ কানা দাজ্জালকে পৃথিবীরই কোনো এক দ্বীপে তাকে আটকে রাখা হয়েছে।

ইসলাম ধর্ম মতে, কিয়ামতের আগে আগে দাজ্জালকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সে প্রভুত্ব দাবি করবে এবং সারা পৃথিবীতে ত্রাস সৃষ্টি করবে। তার অনেক অলৌকিক ক্ষমতা থাকবে। এমনকি দাজ্জাল থামিয়ে দিতে পারবে সূর্যের চলাচল। এত ক্ষমতাধর দাজ্জাল সারা পৃথিবী চষে বেড়ালেও দুটি শহরে কখনও প্রবেশ করতে পারবে না, সেগুলো হলো—মক্কা ও মদিনা।

দাজ্জালের অবস্থান কোথায়, সুনির্দিষ্টভাবে তা কারোই জানা নেই। তবে একজন শীর্ষ ইহুদি ধর্মযাজক দাবি করেছেন, দাজ্জালের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে।

চেইম ক্যানিভস্কি নামের ওই ইহুদি ধর্মযাজক দাজ্জালের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তার সঙ্গে মিলে যায় রাসূল (সা.)-এর দেওয়া বর্ণনা। মনে করা হচ্ছে, দাজ্জালের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ইহুদিদের যোগাযোগ শুরু হয়ে গেছে!

ভয় এবং অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়ে নিজের দল ভারী করবে দাজ্জাল। তবে প্রকৃত মুসলমানরা তার ফাঁদে পা দেবে না।

তার অধিকাংশ অনুসারী হবে ইহুদি, অনারব ও তুর্কীদের মধ্য থেকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, তার উম্মতের মধ্যে ৭০ হাজার লোক দাজ্জালের অনুসরণ করবে। মিথ্যে জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখিয়ে সে মুমিনকে বিভ্রান্ত করবে।

দাজ্জালের আবির্ভাব কেয়ামতের বড় আলামত। তাই এ থেকে রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন এবং সাহিবীদেরকেও একই নির্দেশনা দিয়েছেন। ব্যাপক ক্ষমতাধর হলেও শেষ পর্যন্ত দাজ্জাল তেমন কিছুই করতে পারবে না।

তার শেষ সময়ে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন ঈসা (আ.)। তার হাতেই হবে দাজ্জালের সলিল সমাধি।

দাজ্জাল থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে দাজ্জালকে পাবে সে যেন সুরা কাহাফের শুরু অংশটা পড়ে।

আরেক হাদিসে সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করে রাখতে বলা হয়েছে, যেন দাজ্জালের সাক্ষাতেই সেটা পড়া যায়। এছাড়া হাদিসে কিছু দোয়ার কথা উল্লেখ করে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার উপায় বলে দেওয়া হয়েছে।

বাইবেলে দাজ্জালকে বলা হচ্ছে অ্যান্টিক্রাইস্ট। খ্রিস্টীয় ঐতিহ্য অনুসারে, শেষ বিচারের পূর্ববর্তী সময়টাতে এই অ্যান্টক্রাইস্টের নেতৃত্বে এক ভয়ানক রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এক জেলার ২৪৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে শোকজ

জবিতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা ‎ ‎

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ৩১০ বাংলাদেশি

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের তালা

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা

কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদে তারেক রহমানের সহায়তা 

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পটুয়াখালীর ৪ শিক্ষককে বরগুনায় বদলি

ভূমিকম্প থেকে আত্মরক্ষার দোয়া ও করণীয় আমল

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মির্জা ফখরুলের

১০

ধানমন্ডিতে বাবার বাসা মাহবুব ভবনে গেলেন জুবাইদা রহমান

১১

ব্রাজিলের ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ, খেলা দেখবেন যেভাবে

১২

জবির প্রতিষ্ঠাতা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া

১৩

ববি ছাত্রদলের তিনটি পদে নির্বাচন শনিবার, লড়বেন ১০ প্রার্থী

১৪

মৃত্যুর ফেরেশতা কি প্রাণীদেরও রুহ কবজ করেন? জানুন

১৫

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে আমাদের শপথ : সালাউদ্দিন আহমদ

১৬

শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে পাকিস্তান, সূচি ঘোষণা

১৭

ঢাকায় স্থগিত পাকিস্তানি ব্যান্ডের কনসার্ট

১৮

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া

১৯

বিপিএল ২০২৬: কোন দলের অধিনায়ক কে, যা জানা গেল

২০
X