পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সামরিক বাহিনী ‘প্রচণ্ড ভীত’ হয়ে পড়েছে বলে মন্ত্রব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তোশাখানা মামলায় রায় ঘোষণা ও গ্রেপ্তারের আগে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। খবর বিবিসির।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর তাকে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ।
ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় তাকে একইসঙ্গে তোশাখানা উপহারের তথ্য গোপন করার দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ মামলায় বিচারক রায় দেওয়ার সময় ইমরান খান বা তার আইনজীবী কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ইমরান খান
এদিকে মামলার রায় প্রত্যাখ্যানে করেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেইশি বলেন, সরকার ‘প্রচণ্ড ভীত’ হয়ে আদালতের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পূর্বপরিকল্পিত।
জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোরেইশি বলেন, আমি আদালতের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্ব পরিকল্পিত। এটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল।
ইমরান খানকে উদ্ধৃত করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তিনি (ইমরান খান) আগেই বলেছিলেন তাকে গ্রেপ্তার করতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা আমাকে অযোগ্য প্রমাণিত করতে বদ্ধপরিকর। এটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া পদক্ষেপেই প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে মামলার রায় ঘোষণার সময় বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার বলেন, ‘এ মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ইচ্ছা করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের কাছে জাল তথ্য দেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এ জন্য তাকে নির্বাচন আইনের ১৭৪ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে অঘোষিত সামরিক শাসন চলছে : ইমরান খান
এর আগে রায় উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে আদালতের ভেতরে শুধু আইনজীবীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে রায় ঘোষণার সময় ইমরান বা তার আইনজীবীদের কেউ শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
তোশাখানা মামলা
ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই তোশাখানা দুর্নীতি মামলা দায়ের করে ইসিপি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তোশাখানা থেকে প্রাপ্ত উপহারের তথ্য ইসিপির কাছে ইচ্ছে করে গোপন করেছেন ইমরান। সাধারণত বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার তোশাখানায় রাখা হয়। পরে এ মামলায় গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন