পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদেরও রয়েছে। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা। খবর ইন্টারন্যাশনাল দ্য নিউজের।
প্রতিবেদন অনুসারে, বাজাউরে ২১ জনের মৃত্যু এবং ৮ জন আহত হয়েছেন। লোয়ার দিরে ৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন, ব্যাট্টাগ্রামে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাত ও সাংলা থেকে প্রতিজন ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গিলগিট-বালতিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা ঘিজারের খালথি ভ্যালিতে তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন নারী। আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। দায়মারের বোনার এলাকায় বন্যার জলে ভাই-বোন ভেসে গেছেন। ঘিজারের ইয়াসিন থোই এলাকায় বন্যা ঘর, স্কুল, পানি ট্যাংক ও কৃষিজমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
কোহিস্তানে বর্ষণে করাকোরাম হাইওয়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গিলগিট-বালতিস্তান এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত ব্যাহত হয়েছে। গিলগিট-বালতিস্তানে সরকার জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে ও উচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে।
আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ফ্ল্যাশ ফ্লাড ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু এবং ২ জন আহত হয়েছে। মুজাফফরাবাদের নাসিরাবাদ তহসিলে একই পরিবারের ৬ জন নিহত হয়েছেন। বাগ জেলার নদী ও খালমানির উর্ধ্বপ্রবাহে পর্যটকরা বিপদের মুখে পড়েন, তবে কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফ্রি বাসস্থান ও সহায়তা প্রদান করেছে। ভারী বর্ষণের কারণে ১৫ ও ১৬ আগস্ট সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বর্তমান বর্ষা মরসুমে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে পাকিস্তানে আরও ৩০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও ঘনত্ব ক্রমবর্ধমান। পাকিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে ২ কোটি ৫৫ লাখ নাগরিক ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক বিপদের মুখোমুখি।
মন্তব্য করুন