

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে, বিভাগগুলোর পরীক্ষা চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোকবার্তা দেওয়া হয়েছে। আর আজকের জন্য সব ক্লাস স্থগিত রাখা হয়েছে। পরীক্ষা চলমান থাকবে কারণ অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে উপস্থিত হয়েছে। তবে আজকের জন্য উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সব বৈঠক ও কার্যক্রম স্থগিত করেছি আমরা। পাশাপাশি আমাদের যতরকম প্রোগ্রামে উপস্থিত হওয়ায় কথা ছিল সেগুলো ক্যান্সেল করেছি। আমরা রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেব।’
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন শোকবার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন এবং সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকাবার্তা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
শোকবার্তায় তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আজীবন আপসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিটি পর্যায়ে তার নেতৃত্ব ছিল সাহসী, দৃঢ় ও ঐতিহাসিক। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি দেশ পরিচালনায় দায়িত্বশীলতা, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম মনে করে, দেশ ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একজন সংগ্রামী নারী নেতা হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন ছিল ত্যাগ, নির্যাতন ও অবিচল প্রত্যয়ের অনন্য দৃষ্টান্ত। জাতি আজ এক অভিভাবকসম নেত্রীকে হারাল।
মন্তব্য করুন