ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে না দেওয়ায় বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খান। আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) অ্যাটক কারা তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন করেন তিনি। খবর জিও নিউজ।
গত মাসে ইমরানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় প্রতিষ্ঠিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবুয়াল হাসনাত জুলকারনাইন তাকে ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার অনুমতি দেন। তবে আজকের পিটিশনে আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য অ্যাটক কারা সুপারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন করেছেন পিটিআইপ্রধান।
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর কারাদণ্ড এবং এক লাখ রুপি জরিমানা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার। রায় ঘোষণার পরপরই ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পিটিআইপ্রধানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের পর থেকে অ্যাটক কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান। গত মঙ্গলবার এ মামলায় ইমরানের সাজা স্থগিত করে আদালত বহুল প্রত্যাশিত রায় দিলেও গোপন তারবার্তার মামলায় ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন বিশেষ আদালত। ফলে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজা স্থগিত হলেও ইমরানকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
সাইফার বা তারবার্তায় একটি কূটনৈতিক নথি ছিল। ইমরান খানের দাবি, তিনি এই তারবার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, ওই তারবার্তায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সম্মিলিত বার্তা ছিল।
সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
মন্তব্য করুন