পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সমালোচনায় বেশ সরব হয়েছিলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খান। সরকার হটানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তুলেছিলেন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে এবার অবস্থান পাল্টে নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) অ্যাটক কারাগারে বন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এসব তথ্য জানান পিটিআইপ্রধানের আইনজীবী ব্যারিস্টার গোহর আলী খান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পিটিআই আইনজীবী দলের সদস্য ইন্তেজার পাঞ্জোথা, শোয়েব শাহীন, নাঈম পাঞ্জোথা ও ইমরান খানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল সুলতান।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে গোহর আলী বলেন, ‘ইমরান খানকে অবৈধভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। এত কিছুর পরও তিনি সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোপ-আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা।’
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর কারাদণ্ড এবং এক লাখ রুপি জরিমানা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার। রায় ঘোষণার পরপরই ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পিটিআইপ্রধানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের পর থেকে অ্যাটক কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান। গত মঙ্গলবার এ মামলায় ইমরানের সাজা স্থগিত করে আদালত বহুল প্রত্যাশিত রায় দিলেও গোপন তারবার্তার মামলায় ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন বিশেষ আদালত। ফলে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজা স্থগিত হলেও ইমরানকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
সাইফার বা তারবার্তায় একটি কূটনৈতিক নথি ছিল। ইমরান খানের দাবি, তিনি এই তারবার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, ওই তারবার্তায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সম্মিলিত বার্তা ছিল। এই একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও বিচারকাজ চলছে।
সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
মন্তব্য করুন