আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। দেশটিতে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। অন্যদিকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) সভা সমাবেশেরই অনুমতি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কারাবন্দি ইমরান খানের দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক দমনপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে নওয়াজের দলের মধ্যে নির্বাচনী পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারা শহর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তাকেই নওয়াজ শরিফের দলের উত্তরাধিকার মনে করা হয়। প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যত বেশি ভোট দেবেন, পরিবারের ব্যয় তত বেশি কমবে। উল্লেখ্য, দেশটিতে নানা সংকটে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৩০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিও (পিপিপি) এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। পিপিপিও এরইমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। তবে তাদের অবস্থান গতবারের চেয়ে কিছুটা দুর্বল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীর দল নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেও ইমরান খানের দলের অভিযোগ, তাদের সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এমনকি দলীয় প্রার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।
দেশটির বিশ্লেষক ও বিরোধী রাজনীতিবীদরা বলছেন, পিটিআই ২০১৮ সালে সামরিক সহায়তায় নির্বাচিত হয়েছিল। তবে এবারের নির্বাচনে পিটিআইয়ের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ বন্ধ করতে রাষ্ট্র-সমর্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আইনি ও অন্যান্য উপায়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন