পাকিস্তানের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে এ নির্বাচনে এককভাবে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো রাজনৈতিক দল। ফলে জোটের ওপর নির্ভর করছে সরকার গঠন। কিন্তু দেশটির বিরাজমান রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে আসলে কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আসমা ওয়াদুদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিরোধীদের সাথে জোট গঠন করে তাহলে তারা ভোটারদের থেকে বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হবে।
আলজাজিরাকে তিনি বলেন, এর আগে যখন দলগুলো জোটের জন্য বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তখনই এটা তাদের রাজনৈতিক আদর্শকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। ভোটাররা রাজনৈতিক দলের আচরণের কারণে হতাশ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ফলে যদি আবারও এটি ঘটে তাদের সমস্যা আরও প্রকট হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মূলধন আরও হারিয়ে ফেলবে।
রাজনৈতিক এ গবেষক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর এমন জোটের কারণে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা ব্যাপকহারে বেড়েছে। ফলে তার দল পিটিআই সব রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি। এতে সর্বোচ্চ ১০৪টি আসন পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৫টি। নওয়াজ শরিফের পিএমএমএল-এন ৭৪টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি। তারা পেয়েছে ৫৪টি আসন। বাকি আসনগুলো অন্যরা পেয়েছেন। এ ছাড়া একটি আসনের প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ায় ওই আসনে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন