পাকিস্তানে নির্বাচনের পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সংকট। নাটকের মোড় ক্ষণে ক্ষণে হচ্ছে পরিবর্তন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে সরকার গঠনের জন্য নির্ধারিত আসন লাভ করতে পারেনি কোনো রাজনৈতিক দলই। ফলে জোটের ওপর নির্ভর করছে সরকার গঠন।
রাজনৈতিক এমন সংকটের মধ্যে নতুন করে বার্তা দিয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার গওহর খান। তিনি বলেন, পিটিআইয়ের একজন কর্মীও জেলে থাকলে দেশে শান্তি আসবে না। খবর ডনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে রাজনৈকিত বন্দিদের মুক্তি ও পিটিআইয়ের ম্যান্ডেট মেনে নেওয়াই একমাত্র পথ। এ পথ অনুসরণের মধ্য দিয়েই নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পরশ পাথরের সংস্পর্শ পাওয়া সম্ভব। দলের চেয়ারম্যান গওহর খান এমন দাবি করেছেন।
আরব নিউজের এক সাক্ষাৎকারে গওহর খান বলেন, হেলিং টাচের অর্থ হলো সেনাবাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে যে পাকিস্তানে আর কোনো রাজনৈতিক বন্দি নেই। এ জন্য পিটিআইয়ের ম্যান্ডেটকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হবে। এটাকে উপেক্ষা করে হিলিং টাচের কোনো সুযোগ নেই।
#WATCH: Will form government in centre, Punjab and Khyber Pakhtunkhwa provinces, ex-PM Imran Khans PTI party leader @BarristerGohar tells Arab News. Dismisses possibility of coalition government by rival PPP and PML-N parties - Full story: https://t.co/pIJlBL4wU7 pic.twitter.com/k6f2o1EMGw
— Arab News Pakistan (@arabnewspk) February 10, 2024তিনি বলেন, সম্মিলিত সরকার মানে একটি বিষয়ে সকল দলকে একমত হতে হবে। আর তা হলো অপনাকে জনগণের ম্যান্ডেন্টকে শ্রদ্ধা ও মূল্যায়ন করতে হবে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে কথা বলেছে। এটি প্রথমবারের মতো যখন জনগণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও (ধরপাকড়ের) পিটিআইয়ের পক্ষে কথা বলেছে।
এর আগে পাকিস্তানের আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির বলেন, নির্বাচন জয়-পরাজয়ের শূন্য-সমষ্টি নয় বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবা করার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা উচিত যা গণতন্ত্রকে কার্যকরী ও উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায় হতে পারে।
পাকিস্তানের জনগণ যেহেতু পাকিস্তানের সংবিধানের প্রতি তাদের সম্মিলিত আস্থা রেখেছে, এখন রাজনৈতিক পরিপক্বতা এবং ঐক্যের সঙ্গে এর প্রতিদান দেওয়া সমস্ত রাজনৈতিক দলের ওপর কর্তব্য।
মন্তব্য করুন