দেশের মধ্যে ইমরান খান এখনো কতটা জনপ্রিয় তা দেখিয়ে দিয়েছেন। ভোটের আগে জেলে ভরে রাখা হয়েছে, দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নির্বাচন থেকে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এমনকি ঘাড়ে শতাধকি মামলা ঝুলছে। এরপরও চমক দেখিয়ে সব দলের চেয়ে তার সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটিকে একপ্রকার নীরব বিপ্লব বা ভেলকি বলে উল্লেখ করেছেন। তবে বেশি আসন পেয়েও তার প্রধানমন্ত্রী হওয়া বা সরকার গঠন করার মতো নিশ্চয়তা এখনো দেখা দেয়নি। বরং চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছে সব দল। তবে ছোট ছোট দল আগ্রহ দেখাচ্ছে ইমরান খানের সঙ্গে জোট গঠনের। এরই মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআইর কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম বা জেইউআই-এফের প্রার্থী মুফতি কিফায়াত। সেই সঙ্গে পিএমএল-এনের সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফকে পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেইউআই। খবর ডনের।
জাতীয় পরিষদের ১৫নং আসনে হেরে জেইউআই-এফ প্রার্থী মুফতি কিফায়াত এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কোনো অনিয়ম ও কারচুপি হয়নি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পিটিআইসমর্থিত প্রার্থী শাহজাদা গুস্তাশপের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ সময় দলটি পিএমএল-এনের সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফকে পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় নির্বাচনে জেইউআই-এফ এখন পর্যন্ত তিন আসনে জয়ী হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ১৩৩ আসনে জয়ের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন ইমরানের দল। ইতোমধ্যে দলটির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে ১০২ আসনে জয়ী হয়েছেন। চূড়ান্ত লক্ষ্য থেকে ৩১ আসন দূরে অবস্থান করছে পিটিআই। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ ৭৩ আসনে জয়ী। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা তীর প্রতীক নিয়ে ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছেন।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী সরকার গঠনে পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবে বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান। তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন, তাই সংবিধান অনুযায়ী তাদের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
মন্তব্য করুন