ভারতে রয়টার্স নিউজ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় এক্স। এরপর সেটি উদ্ধারে শুরু হয় নাটকীয়তা। অবশেষে একদিন পর রোববার সেটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
একটি আইনি দাবির কারণে শনিবার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স। তবে সেটি স্পষ্ট করা হয়নি। রোববার রাতে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে এক্স রয়টার্সের সোশ্যাল মিডিয়া দলকে একটি ইমেইলে জানিয়েছে, ‘এই মুহূর্তে, আমরা ভারতে আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস আর সীমাবদ্ধ করছি না।’
এক্স এবং ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
এর আগে রোববারের শুরুতে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, কোনো ভারতীয় সরকারি সংস্থা রয়টার্স হ্যান্ডেল বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। কর্মকর্তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য এক্সের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
তখন রয়টার্সের একজন মুখপাত্র জানান, সংস্থাটি এক্সের সঙ্গে এই বিষয়টি সমাধান করতে এবং ভারতে রয়টার্স অ্যাকাউন্ট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছে।
রয়টার্স ওয়ার্ল্ড নিউজ এজেন্সির আরেকটি এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করা হয়েছিল। তাও রোববার গভীর রাতে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
প্রধান রয়টার্স অ্যাকাউন্টে বিশ্বব্যাপী ২৫ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। শনিবার রাত থেকে সেটিও ভারতে ব্লক করা হয়। একটি বিজ্ঞপ্তিতে এক্স ব্যবহারকারীদের জানানো হয়, ‘@Reuters ভারতে একটি আইনি দাবির প্রতিক্রিয়ায় বন্ধ করা হয়েছে।’
এদিকে ১৬ মে রয়টার্সের সোশ্যাল মিডিয়া দলকে পাঠানো একটি ইমেইল নিয়ে জল্পনা চলছে। সেই ইমেইলে এক্স জানিয়েছিল, "আমাদের নীতি হলো, কোনো অনুমোদিত সংস্থা (যেমন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি সংস্থা) থেকে কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে কনটেন্ট সরানোর জন্য আইনি অনুরোধ পেলে অ্যাকাউন্টধারীকে জানানো। ভারতের স্থানীয় আইনের অধীনে এক্সের বাধ্যবাধকতা পালন করার জন্য, আমরা ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর অধীনে ভারতে আপনার এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছি; তবে অন্যত্র কনটেন্টটি উপলব্ধ রয়েছে।’
রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি যে ১৬ মে-র ইমেইলটি শনিবারের অ্যাকাউন্ট স্থগিতের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, বা কোন নির্দিষ্ট কনটেন্টের জন্য দাবিটি করা হয়েছিল। কেন এটি সরানোর অনুরোধ করা হয়েছিল, বা কোন সংস্থা অভিযোগটি দায়ের করেছিল।
যদিও ইমেইলটিতে কোন সংস্থা অনুরোধটি করেছে বা কোন কনটেন্ট সরানোর জন্য চাওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে একজন ব্যবহারকারী ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
মন্তব্য করুন