কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মুখে যুদ্ধবিরতি, তলে তলে অস্ত্র বিক্রি

গাজায় যুদ্ধবিরতি উদ্যোগের মধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় যুদ্ধবিরতি উদ্যোগের মধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র একদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে।

হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন, কাতারের দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইসরায়েল এ আলোচনায় নতুন প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসন স্বাগত জানিয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন মেয়াদের শেষ সময়ে এসে গাজায় যুদ্ধবিরতি আনতে এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে তৎপর। কিন্তু এরই মধ্যে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। খবর রয়টার্স।

অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টারের সামরিক রসদ, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ছোট ডায়ামিটার বোমা অন্তর্ভুক্ত।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের নিজেদের সুরক্ষা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। ইরান এবং তাদের সমর্থিত সংগঠনগুলোর হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়ে আসছে।

যুদ্ধের ভয়াবহতা

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৫,৭১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

যদিও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে, আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।

রাজনৈতিক পরিবর্তন আসন্ন

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বৈত নীতি—একদিকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান, অন্যদিকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনা এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

১০

যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় ইসরায়েল

১১

ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

১২

ধানের শীষের বিজয় মানেই জনগণের মুক্তি : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

১৩

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

বাবর আজমকে নিয়ে ধারাভাষ্যে রমিজ রাজার তির্যক মন্তব্য

১৫

‘সঠিক ও মানসম্পন্ন সংবাদ উপস্থাপনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে’

১৬

আন্দরকিল্লা মসজিদ আইকনিক করতে ব্যয় ৩০০ কোটি

১৭

মেসির চেয়েও ধনী শুধু দুইজন ক্রীড়াবিদ!

১৮

প্রবাসীর ছেলেকে দাদা-দাদির কবরের পাশে ঠাঁই দিল না চাচারা

১৯

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

২০
X