কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২ এএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রথমেই কেন সৌদি আরব যেতে চান ট্রাম্প

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

প্রথমবার ক্ষমতায় বসেই ভেঙেছিলেন অনেক রীতি। এমনকি ঐতিহ্য ভেঙে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সৌদি আরব। এবারও নিজের প্রথম বিদেশ সফরের জন্য সৌদি আরবকে বেছে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে হঠাৎ করে ট্রাম্পের এই সৌদি প্রীতির কারণ কী, তা নিয়ে জেগেছে সন্দেহ।

বিশেষ করে এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতাতেই ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল কয়েকটি আরব দেশ। সৌদিকেও সেই দলে প্রায় ভিড়িয়ে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার তাহলে কী আশায় সৌদির সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে চান ট্রাম্প।

শপথ নিয়েই শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করে যুক্তরাষ্ট্রকে ওলট-পালট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। এবার সৌদি সফর নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তিনি তাতে বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। ২০১৭ সালের সৌদি সফর নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন ট্রাম্প। তখন তিনি জানান, শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র কিনতে চেয়েছিল সৌদি আরব। তাই তখন তিনি রিয়াদ গিয়েছিলেন। এবারও তেমন কিছু ঘটলে সৌদিই আগে যাবেন তিনি। এরাবিয়ান গালফ বিজনেস ইনসাইটের খবর।

আট বছর আগের ওই সফরে বিশ্ব ঐতিহাসিক একটি ছবি দেখতে পেয়েছিল। তখন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে একটি গ্লোয়িং অর্বে হাত রাখা অবস্থায় দেখা যায় ট্রাম্পকে। দ্বিতীয় দফায় নিজের প্রথম বিদেশ সফরে সৌদিকে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প কতখানি উদ্‌গ্রীব সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তার মন্তব্য একটা বিষয় প্রকাশ্যে এনেছে। আর তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা ও অর্থনীতিকে বেশি প্রাধান্য দেবেন ট্রাম্প।

সদ্য সাবেক হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়ে যায়। রিয়াদ-ওয়াশিংটন সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পেছনে রয়েছে কলামিস্ট জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড। অবশ্য নিজের শাসনামলের পরের অর্ধাংশে সেই সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেন বাইডেন। তবে তা কখনই আর আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি। অথচ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুব মধুর ছিল। এমনকি ট্রাম্পের জামাতা ও সাবেক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনারের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদের ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব ছিল।

সৌদি এজেন্টরা খাশোগিকে হত্যা করা হলেও ট্রাম্প এ নিয়ে নিন্দা জানায়নি। আবার সাবেক ট্রাম্প প্রশাসন রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপও করেনি। এমনকি সৌদি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধে কংগ্রেসের পদক্ষেপকেও ঠেকিয়ে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এই দফায় ক্ষমতা গ্রহণের আগেই সৌদি আরবে একটি বিলাসবহুল টাওয়ার বানানোর কাজ বাগিয়ে নিয়েছে ট্রাম্প অরগানাইজেশন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপিএল শুরুর আগের দিন মালিকানা ছাড়ল চট্টগ্রাম রয়্যালস

গণপিটুনিতে সম্রাট নিহত

টঙ্গী ফ্লাইওভার বন্ধ, হেঁটে ৩০০ ফিট যাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন সিনিয়র নেতারা

‘দিনশেষে আমি পর্দার মেহরিন হলেও বাস্তবে কেয়া পায়েল’

জনসমুদ্রে পরিণত ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকা

অপেক্ষার প্রহর শেষ, ঢাকায় তারেক রহমান

আমি সবকিছু স্তব্ধ হয়ে দেখেছি: শুভশ্রী

মারা গেলেন সেই বিএনপি নেতার আরেক মেয়ে

সিলেট থেকে ঢাকার পথে তারেক রহমান

১০

বিমানবন্দরে লাল-সবুজের বুলেটপ্রুফ বাস 

১১

কেটি পেরির প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে আরও ২ ধর্ষণের অভিযোগ

১২

দেশে ফিরে ইতিহাস গড়া চার বিশ্বনেতা

১৩

শাহজালাল বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা

১৪

তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আসার পথে দুর্ঘটনায় আহত ৩২

১৫

তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিণত ৩০০ ফিট এলাকা

১৬

দেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন

১৭

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও আলেপ্পোতে টানটান পরিস্থিতি

১৮

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে তারেক রহমান

১৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনে আগুন

২০
X