মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ধনকুবের ইলন মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের আর্থিক সহায়তা দেন, তবে তাকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যদি তিনি এটা করেন, তাহলে তাকে খুব গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে সেই পরিণতি কী হতে পারে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
রোববার (৮ জুন) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি রিপাবলিকান বাজেট পরিকল্পনার বিরোধিতা করায় ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্কের টানাপড়েন প্রকাশ্যে আসে। বাজেট পরিকল্পনায় ঘাটতির আশঙ্কা থাকায় মাস্ক তা নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তি জানান। এ নিয়েই উত্তেজনা চূড়ান্তে পৌঁছায়।
ট্রাম্প জানান, মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের কোনো ইচ্ছা তার নেই। সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি বলেন, ‘না।’ সম্পর্ক শেষ হয়েছে কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, হ্যাঁ।’
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগের আগ্রহ নেই বলেও জানান ট্রাম্প। তার ভাষায়, আমি তাকে ফোন করার কোনো পরিকল্পনাই করিনি। আমি অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যস্ত।
ট্রাম্প আরও বলেন, সে প্রেসিডেন্টের অফিসকে অসম্মান করছে। এটা অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়কে আপনি এমনভাবে অসম্মান করতে পারেন না।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একাধিক পোস্টে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে মন্তব্য করেন ইলন মাস্ক। তার মধ্যে একটি পোস্টে প্রয়াত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের ইঙ্গিতও ছিল, যা পরে তিনি মুছে ফেলেন।
এই বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ওটা পুরোনো খবর। এটা বহু বছর ধরেই আলোচিত। এমনকি এপস্টেইনের আইনজীবীও বলেছে, আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
ট্রাম্প ও মাস্কের এই প্রকাশ্য বিরোধ কংগ্রেসেও প্রতিফলিত হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা যেমন বেড়েছে, তেমনি টেসলার শেয়ারমূল্যেও এর প্রভাব পড়েছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি স্পষ্ট- বিরোধীদের পাশে দাঁড়ালে মাস্ককে চরমমূল্য দিতে হতে পারে।
মন্তব্য করুন