যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বিক্ষোভ। দেশটির লস অ্যাঞ্জেলসে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দুই হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (০৮ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে ক্রমেই বিক্ষোভ বাড়ছে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে শহরে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। শুক্রবার থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শনিবার এ বিক্ষোভে গোটা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে পদক্ষেপ শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির লস অ্যাঞ্জেলসসহ ক্যালিফর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিন ধরে মার্কিন অভিবাসন এবং শুল্ক দপ্তরের (আইসিই) কর্মকর্তারা অভিযান শুরু করেছেন। এ সময়ে ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্তত অন্তত ১১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অভিযানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছেন অভিবাসীরা।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন। এতে দুই হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের গভর্নর গেভিন নিউসম জানান, ফেডারেল সরকার ক্যালিফর্নিয়ার ন্যাশনাল গার্ডদের সরিয়ে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উসকানিমূলক’। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়বে। এটি ভুল পদক্ষেপ।
সমালোচনার পরও নিজের অবস্থানে অনড় ট্রাম্প। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করে লেখেন, যদি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নিজেদের কাজ না করতে পারেন তাহলে ফেডারেল সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। তিনি বিক্ষোভকারীদের ‘দাঙ্গাবাজ এবং ডাকাত’ বলে উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন