ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলা একটি ‘ষড়যন্ত্রমূলক তাণ্ডব’ বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই মহান নায়ককে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।'
বুধবার (২৫ জুন) তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে নেতানিয়াহুকে বিবি সম্বোধন করে তিনি আরও লেখেন, আমি এখন শুনলাম, বিবিকে (নেতানিয়াহু) সোমবার আবার আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ বিচার বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বিবি ও আমি একসঙ্গে নরক পার করেছি। আমরা ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের চতুর ও শক্তিশালী শত্রু ইরানের বিরুদ্ধে লড়েছি। সে সময় বিবি ছিলেন দারুণ, বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী। তার পবিত্র ভূমির প্রতি ভালোবাসা ছিল অপরিসীম।’
ট্রাম্প নিজেও একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন এবং সেগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তিনি আরও জানান, আমেরিকাই ইসরায়েলকে বাঁচিয়েছিল, আর এখন আমেরিকাই বিবি নেতানিয়াহুকে বাঁচাবে।
গত ডিসেম্বরে নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুর্নীতির মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে গিয়েছিলেন। তিনি এ মামলাগুলোকে ‘একটি হাস্যকর ষড়যন্ত্রের সমুদ্র’ বলে আখ্যা দেন।
২০১৯ সালে দুর্নীতি, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ৭৫ বছর বয়সী এ নেতা এক ধনকুবের হলিউড প্রযোজকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার সিগার ও মদ নেওয়ার অভিযোগেও অভিযুক্ত। এর বদলে তিনি তার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক স্বার্থে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও অভিযোগ আছে, নেতানিয়াহু স্বার্থ হাসিলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছিলেন। নেতানিয়াহু অবশ্য বারবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিরোধীদল ও পক্ষপাতদুষ্ট বিচারব্যবস্থা আমাকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে।’
২০২০ সালের মে মাসে বিচার শুরু হয়, তবে গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের কারণে নেতানিয়াহুর অনুরোধে এটি বহুবার স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন এখনও জানানো হয়নি।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স
মন্তব্য করুন