

রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো ২০২৬ সালে মার্কিন সামরিক সাহায্য কম হবে। মার্কিন সরকারের প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, কিয়েভ আর ওয়াশিংটনের বহু বিলিয়ন ডলারের সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে পারবে না।
২০২৬ অর্থবছরের জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেটে, ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ নতুন অস্ত্র ক্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। একই পরিমাণ ২০২৭ সালের জন্যও বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর আগে এপ্রিল ২০২৪ সালে ইউক্রেনকে একই প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। ২০২৫ সালে মার্কিন ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী, কিয়েভকে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মধ্য পর্যন্ত মার্কিন সাহায্য প্রায় ১২৮ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ ৭০ বিলিয়ন, বাজেট সমর্থন ৫৪ বিলিয়ন (বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঋণসহ), এবং মানবিক সহায়তা ৪ বিলিয়ন ডলার।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আর ট্যাক্সদাতার অর্থ ব্যয় করবে না। ন্যাটো অংশীদারদের সম্পূর্ণ মূল্য দিয়ে অস্ত্র বিক্রি করবে। পরে ইউক্রেনে তা স্থানান্তর করতে পারবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সরবরাহ বৈধ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের কারণে আলোচনার সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মন্তব্য করুন