

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাননি সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা। আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এ মনোনয়ন ঘোষণা দেন।
এদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রার্থিতা না পাওয়ায় সরাইল ও আশুগঞ্জ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা বিএনপির পদধারী নেতারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সরাইল সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে রুমিন ফারহানার পক্ষে আলী হোসেন নামের একজন কর্মী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার মো. আবুবকর সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনোনয়ন নিতে আসা কর্মীরা জানান, রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।
অন্যদিকে জোট প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করি এবং মনোনয়নের সিদ্ধান্ত মেনে নেব।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়ন। গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। সেই তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কারও নাম ঘোষণা করেনি দলটি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার আছেন চার লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভোট আছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯টি, আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এক লাখ ৫৩ হাজার ৯৯ ও বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ভোট আছে ৫৭ হাজার ৭৪০টি।
মন্তব্য করুন