ঠিকমতো হিজাব না পরার কারণে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনিকে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের গ্রেপ্তার ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনা সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে। সে ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। এর মধ্যে নতুন করে হিজাব নিয়ে কাণ্ড ঘটেছে। এবার হিজাব সঠিকভাবে না পরার অভিযোগে মাথা আংশিক কামিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৪ ছাত্রীর। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার লামোঙ্গান শহরে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর ডেইলি মেইলের।
গত সোমবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জুনিয়র হাই স্কুল এসএমপিএন-১-এর প্রধান শিক্ষক হার্তো বলেন, গত ২৩ আগস্ট স্কুলটির এক শিক্ষক ১৪ মুসলিম ছাত্রীর চুল আংশিকভাবে কামিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক হার্তো জানান, ওই ছাত্রীরা হিজাবের নিচে টুপি না পরায় তাদের চুলের ডগা দেখা যাচ্ছিল। এ কারণে তাদের সাজা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। হার্তো বলেন, ছাত্রীদের হিজাব পরার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে পরিচ্ছন্ন দেখাতে টুপি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় আমরা অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং আলোচনার পর বোঝাপড়ায় পৌঁছেছি। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় মানসিক সহযোগিতা দেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবি তুলেছে অধিকার সংগঠনগুলো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইন্দোনেশিয়াবিষয়ক গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেন, লামোঙ্গানের ঘটনাটি সম্ভবত ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা। লামোঙ্গানের শিক্ষা দপ্তরের উচিত ওই শিক্ষককে নিষিদ্ধ করা। অন্ততপক্ষে তাকে স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং ভুক্তভোগীদের ট্রমা মোকাবিলায় মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করা। এর আগে ২০২১ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল দেশটিতে। সে সময় সঠিকভাবে না পরার কারণে কিছু স্কুলছাত্রীর হিজাব কেটে দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন