ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এক দিনের জন্য ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০৫ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্রিটেনজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ির অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং পুলিশের সঙ্গে লন্ডনে অভিযানে অংশ নেন ঋষি। খবর বিবিসি ও ডেইলি মেইলের।
খবরে বলা হয়, গত ১৫ জুন এ অভিযানে ২০ দেশের ১০৫ জন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। জাল কাগজপত্র দিয়ে তারা রেস্তোরাঁ, কার ওয়াশ, নাপিতের দোকান এবং মুদি দোকানের মতো জায়গায় অবৈধভাবে কাজ করছিল।
৪৩ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ঋষি অংশ নেন উত্তর লন্ডনের ব্রেন্টের এক অভিযানে। এ সময় তার পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ ভেস্ট। পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে তিনি অফিসারদের কাজ দেখছিলেন। নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ অভিবাসন বন্ধের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছেন কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, অবৈধ কর্মীরা সমাজের ক্ষতি করছে। তাদের কারণে সৎ কর্মীরা চাকরিহীন হয়ে পড়ছে। অবৈধরা কোনো কর দেয় না। এতে সরকারি তহবিল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা সীমান্ত আইনের লঙ্ঘন বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবৈধ অভিবাসীরা অবৈধভাবে কাজ করার সুযোগ মিলবে, এ আশা নিয়েই বিপজ্জনক পন্থায় ব্রিটেনে আসছে। তাদের জন্য এ অভিযানগুলো একটি স্পষ্ট বার্তা। অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪০ জনকে এ দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। বাকিদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এ অভিযানের ফলে অবৈধ অভিবাসীদের অনেকে স্বেচ্ছায় ব্রিটেন ছেড়ে যাবে।
মন্তব্য করুন