নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১১:১০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নদে বাঁধ দিয়ে খরা জালে মাছ শিকার

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নে নরসুন্দা নদে এপাড়-ওপাড় বাঁধ দিয়ে করা হয় মাছ শিকার। ছবি : কালবেলা
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নে নরসুন্দা নদে এপাড়-ওপাড় বাঁধ দিয়ে করা হয় মাছ শিকার। ছবি : কালবেলা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নরসুন্দা নদে বাঁধ দিয়ে খরা জাল ও ড্রিম জাল পেতে মাছ নিধন করছে প্রভাবশালীরা। সরকারি নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে প্রতি এক কিলোমিটারে ১০টি বাঁধ দিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্যসম্পদ।

সরেজমিন দেখা যায়, নান্দাইল উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের সিংরইল ইউনিয়নের ভোরাঘাট এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটারে ১০টি বাঁধ দিয়ে বিভিন্ন জাল পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। নদীর এপাড় থেকে ওপাড় পর্যন্ত বাঁশ, কাঠ, বাঁশের ভানা ও জাল দিয়ে উঁচু করে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। শুধু জাল ফেলার অংশটুকুর মুখ খোলা রাখা হয়েছে। একমাত্র গতিপথ থাকায় জালে নিশ্চিতভাবে মাছ ধরা পড়ে। ফলে শিকারিরা লাভবান হলেও মাছের স্বাধীন বিচরণ যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি মাছের বংশ বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। মাছ শিকারিরা অবৈধভাবে মাছ নিধন করায় দেশি প্রজাতির, তথা নদ-নদী, খাল-বিলের মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর দেশি প্রজাতির মাছ বাজারে চোখে পড়ে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিংরইল ইউনিয়নের বাসিন্দা শংকর বাবু, আব্দুল হাকিম, হাফিজ মিয়া, ফেরু মিয়া, হুমায়ূনসহ আরও অনেকেই নদে বাঁধ দিয়ে মাছ নিধন করছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি না থাকায় নদে বাঁধ দেওয়ার যেন হিড়িক পড়েছে।

স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ মোফাজ্জল হোসেন ও যুবক আমিনুল ইসলাম জানান, আগে তো আমরা নদ থেকে মাছ ধরতে পারতাম। এখন নদে বাঁধ দিয়ে খরা ও ড্রিম জাল দিয়ে ধরায় মাছ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে বড় মাছ ধরা তো দূরের কথা, পোনা মাছও আর পাওয়া যায় না। স্থানীয়রা আরও জানান, মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধভাবে মাছ নিধনের কর্মযজ্ঞ। অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হবে না—এমনই কথা ছড়াচ্ছেন প্রভাবশালীরা। ফলে কেউ অভিযোগও করতে সাহস পান না। অথচ স্থানীয় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনেই রয়েছে একাধিক বাঁধ।

এ বিষয়ে সিংরইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নান্দাইল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহানা নাজনীন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে যাব। বাঁধ দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপলের জরুরি সতর্কতা

এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা

দেশকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে : মঈন খান

এশিয়া কাপের আগে জার্সি স্পনসর হারানোর শঙ্কায় ভারত দল

গবেষণা / পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন, জেনে নিন কেন

৪০ কোটি টাকায় দেড়শ বছরের সিআরবি ভবন সংস্কারের উদ্যোগ

সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২৭০ ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত

‘যদি পিআরের জন্য আন্দোলন করেন, তাহলে নমিনেশন দিলেন কেন’

প্রপাগান্ডা ছড়ানোর আগে পরামর্শ নিতে বললেন শিবির প‍্যানেলের সর্ব মিত্র!

মালয়েশিয়ায় নামাজ আদায় করে কার্যক্রম শুরু করলেন নাহিদ

১০

খাওয়ার পর করা এই ৮ কাজ ডেকে আনবে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞ

১১

এবার নাহিদা-সোবহানারাও হারল যুবাদের কাছে

১২

গুম-খুনের জন্য হাসিনার বিচার হতেই হবে : মির্জা ফখরুল

১৩

৩৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানছেন গোবিন্দ ও সুনীতা

১৪

ফেনী থেকে নির্বাচন করবেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান 

১৫

চাঁদাবাজি ও ছিনতাইর অভিযোগে সাবেক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

১৬

অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলল ছাত্রদল

১৭

ঐকমত্য কমিশনে মতামত দেয়নি যেসব দল

১৮

গ্রোক চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনের লাখো তথ্য ফাঁস

১৯

গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই, বলল ইসরায়েল

২০
X