ময়মনসিংহ সদরের চর নিলক্ষীয়া বিজয়নগর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ভাতিজির দায়ের কোপে নুরুন্নাহার (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর ভাতিজি মারুফা আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. মানিককে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এলাকাবাসীর নালিশকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। ময়মনসিংহের ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহীনুল ইসলাম ফকির। এর আগে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত নুরুন্নাহার ওই এলাকার আবদুল কাদির বেপারির স্ত্রী। শাহীনুল ইসলাম ফকির জানান, নিহতের বড় ভাই মাহতাব কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ময়মুনা (৪৫) মেয়ে মারুফাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করছিলেন; কিন্তু সম্প্রতি ময়মুনা অন্যত্র বিয়ে করায় তার ননদ ও দেবর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। এ নিয়ে গত রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে ময়মুনার মেয়ে মারুফা তার ফুফু নুরুন্নাহারকে দা দিয়ে বুকে কোপ দেয়। এতে রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নুরুন্নাহার। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যেই হত্যার মূলহোতা মারুফা ও তার স্বামী মানিককে তারাকান্দা উপজেলার বিসকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই লুৎফর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। অন্যদিকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এলাকাবাসীর নালিশকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দশমিনা থানার ওসি আনোয়ারা হোসেন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকালে চর হোসনাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. মন্নান ফকির (৫৫) উপজেলার চর হোসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত ব্যক্তি ফারুক ফকির। সম্পর্কে তারা আপন দুই ভাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক এলাকার মানুষকে গালাগাল করেন। পরে স্থানীয়রা তার বড় ভাই মন্নানের কাছে নালিশ দেন। ফারুককে মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেন মন্নান। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বৃহস্পতিবার ফারুকের ছুরিকাঘাতে মন্নান গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন