প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো রাজনৈতিক সহিংসতায় বিশ্বাস করে না। জাতীয় পার্টির ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হবে, সেটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে, মতামত নিয়ে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস উইংয়ের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার বিষয়ে আজাদ বলেন, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা যে কোনো সহিংসতার প্রতিবাদ করি। আমরা চাই না দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা হোক।
শিল্পকলা একাডেমির নাটক বন্ধের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বিক্ষোভের মুখে শিল্পকলা একাডেমিতে একটি নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনাকে অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থন করে না। এ ঘটনার নিন্দা জানাই। আশা করি, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) এ বিষয়ে অনুসন্ধান করবেন; তদন্ত করবেন। আমাদের জানাবেন, সেখানে আসলে কী ঘটেছিল।
বিগত ১৫ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন। পাচারের টাকা ফেরত আনা কঠিন। তবে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ টাকা মানুষের। মানুষের কল্যাণে এ টাকা ব্যয় করা হবে।
৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে দেখে—এ প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জন্য শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। দেশের জন্য তাদের ভূমিকা অনেক। বর্তমান সরকার এ চারজনকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। আমরা তাদের অবদান স্বীকার করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার শুধু একজনকেই সামনে নিয়ে আসত। তারা দেখাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ সবকিছু শুধু একজনের জন্য হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ, সাত কলেজ সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন প্রেস উইংয়ের সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।