শাহনেওয়াজ খান সুমন
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ এএম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দুর্ভোগের নাগরিক জীবন

ঢাকার প্রতিদিনের দুঃখ খানাখন্দে ভরা সড়ক

পুরোনো ঠিকাদাররা কাজ করছেন না
ঢাকার প্রতিদিনের দুঃখ খানাখন্দে ভরা সড়ক

পদ্মা সেতু এবং এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পথ যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়। চারদিক থেকে সড়ক মিলেছে এই মোড়ে। ঢাকা থেকে নরসিংদী হয়ে সিলেট বিভাগে, নারায়ণগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা বা চট্টগ্রাম বিভাগে এবং পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গে যেতে হলে মানুষকে ব্যবহার করতে হয় এ মোড়। অতিগুরুত্বপূর্ণ যাত্রাবাড়ীর আশপাশে প্রতিটি সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় পিচ উঠে গেছে, কোথাও বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দয়াগঞ্জ মোড় থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। প্রতিটি সড়কে প্রচুর ধুলা উড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খুঁড়ে রাখা সড়কের ভোগান্তি। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে কোনোমতে চলছে যানবাহন। যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে প্রায়ই আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগে। স্থানীয়রা বলছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যাত্রাবাড়ী এলাকার সব রাস্তাই খারাপ। মাঝে ইট-সুরকি বিছিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামতের চেষ্টা করা হলেও দুর্ভোগ কমছে না।

শুধু এই এলাকা নয়, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ সড়ক বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় দিনে দিনে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এসব সড়ক সচল করতে পারছে না সিটি করপোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রকৌশলীরা বলছেন, ভাঙাচোরা সড়ক সচল হতে আরও কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে। এই সময়ে মানুষকে ভোগান্তি মেনে নিয়েই চলতে হবে। তবে মানুষের কষ্ট যাতে কম হয় সেদিকে তারা খেয়াল রাখবেন। আর ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রকৌশল বিভাগ বলছে, বরাদ্দ স্বল্পতার কারণে এবছর সব সড়কের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডিএসসিসি এলাকায় ১ হাজার ৬৫৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে গত বর্ষায় ২১৪ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডিএনসিসি এলাকায় ১ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কাকরাইল, নয়াপল্টন, মতিঝিল, মৌচাক, বাসাবো, মানিকনগর, টিটিপাড়া, গোপীবাগ, সায়েদাবাদ, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, যাত্রাবাড়ী, টিকাটুলী, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ, খিলগাঁও, মুগদা, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়কের খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সায়েদাবাদ মোড় থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকে যাওয়া পথে উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। সায়েদাবাদের পাশে গোলাপবাগ মাঠের দক্ষিণ দিকের সড়কের অবস্থাও বেহাল। আবার গোলাপবাগ মোড় থেকে মুগদা মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মাঝবরাবর অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে টিটিপাড়া অংশে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের সামনে ইট বিছিয়ে রাখা হয়েছে। ইত্তেফাক মোড়ে সড়কের পিচঢালাই উঠে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জুরাইন থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের এক পাশ দিয়ে দুই দিকের যানবাহন চলাচল করে। ওই সড়কে প্রবেশমুখে বড় এক গর্ত। বেশির ভাগ সময়েই সেখানে পানি জমে থাকে। আরেকটু সামনে এগিয়ে কিছু দূর পরপর সড়কে গর্ত। নেই পিচ। বালু-মাটি-খোয়া আর ইট। খোয়া আর ইটের কোনো কোনোটা জেগে আছে। কোথাও উঁচু, কোথাও বেশ নিচু। সড়কের এই খানাখন্দ অংশে এক জায়গায় ম্যানহোলের ঢাকনাও নেই।

এখন শীত মৌসুমেও চলাচলের অনেকটা অনুপযোগী এই সড়ক। তবু ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁকি সহ্য করে চলতে হয় জুরাইন-পোস্তগোলাসহ এই এলাকার বাসিন্দাদের। বৃষ্টি পড়লেই পানি জমে যায়। ধান চাষের জমির মতো কাদা হয়ে যায়। তার মধ্য দিয়েই চলে যানবাহন। কখনো কখনো পানি-কাদায় গর্তে লেগুনার চাকা আটকে যায়। আরেক লেগুনা দিয়ে ঠেলে তুলতে না পারলে তখন কাদায় নেমে জুতা খুলে অন্য লেগুনা কিংবা রিকশায় যেতে হয়। রিকশা উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রীরা।

বাসচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, খিলগাঁও এলাকার রাস্তা বেশি খারাপ। ভাঙাচোরা সড়কে চলার কারণে কিছুদিন পরপর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়।

খিলগাঁও উড়ালসড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়ে অনেক জায়গায় পিচ উঠে গেছে। মতিঝিলের পাশে গোপীবাগ এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়কের সংস্কারকাজ শেষ না করে ফেলা রাখা হয়েছে। এতে ওই পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় এই সড়কে গাড়ি চলতে পারছে না। কাজে ধীরগতির কারণে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মুগদা-মান্ডা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প পথে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুগদা এলাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়কটি সন্ধ্যা হলেই ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দ।

সরেজমিন দেখা যায়, মুগদা বিশ্বরোড থেকে মান্ডা ব্রিজে যাওয়ার সড়কটির অবস্থা ভয়াবহ। সড়কটি দিয়ে হাতেগোনা দু-একটি ইজিবাইক চলাচল করলেও বেশির ভাগ যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে। অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই সড়কের পাশের দোকানিরা। ক্রেতা না থাকায় তারা অলস সময় পার করছেন।

সিএনজিচালক তাইজুল ইসলাম খোকন বলেন, এক বছর ধরে এই রাস্তাটির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। এতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এমন ঝুঁকি নিয়ে সব সময় চলাচল করতে হচ্ছে। কোনো গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, রিকশাও যেতে পারে না।

সড়কের সংস্কারে গত পাঁচ বছরে ডিএসসিসি হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে। তবুও ভাঙাচোরা সড়কে পথ চলতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরের বাসিন্দারা। অনেকেই বলছেন, ডিএসসিসি সড়ক সংস্কারের কাজটি নিয়মনীতি মেনে করছে কি না, এ বিষয়টিরও তদন্ত হওয়া উচিত।

ডিএসসিসির দুজন প্রকৌশলী বলেন, সড়কের দুরবস্থা ঠিক করতে তারা অনেক আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগসহ দরপত্র প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তারা কাজ শুরু করতে পারেননি। আগের সব ঠিকাদার ছিলেন আওয়ামী লীগের। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ওই ঠিকাদারদের সিটি করপোরেশনে আর আসছেন না।

প্রকৌশল বিভাগ সূত্র বলছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন ঠিকাদার খুঁজতে হচ্ছে। সড়ক সংস্কারের কাজ পেতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা পরিচয়ে অনেকে করপোরেশনে আসছেন। তাদের অনেকে নিয়ম ভেঙে ঠিকাদারি কাজ পেতে চাপ দিচ্ছেন। যারা আসছেন, তাদের বেশির ভাগের এ ধরনের ঠিকাদারি কাজের অভিজ্ঞতা নেই। দেখা যাচ্ছে, কোনো এলাকার একটি সড়কের সংস্কারকাজ পেতে চাইছেন ১০-১২ জন। এসব কারণে সড়ক সংস্কারের পুরো প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তবে কিছু সড়কের সংস্কার কাজ হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ কালবেলাকে বলেন, সিটি করপোরেশনের কাজ পেতে দলের নেতাকর্মীদের চাপের বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত নন। সেবামূলক কাজ যাতে ঠিকমতো হয়, এই কাজে হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। বিএনপির পরিচয় দিয়ে কেউ চাপ প্রয়োগ করে থাকলে এবং বিষয়টি সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের জানালে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএনসিসির বাড্ডা ও রামপুরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়কের বেহাল চিত্র। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গুলশান, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুনবাজার ১০০ ফুট সড়কে পথ চলতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন নগরবাসী। মিরপুর ১২ নম্বর-ডিওএইচএস-দিয়াবাড়ী সড়কটি যেন গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। উঁচুনিচু খানাখন্দে ভরা এই সড়কে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী। সড়কটিতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাসহ দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজনকে। এই সড়কে সহজে মিরপুর থেকে দিয়াবাড়ী হয়ে উত্তরা যাওয়া যায়। তাই স্বাভাবিকভাবে লোকজনের চলাফেরা বেশি। অথচ পৌনে এক কিলোমিটার এই সড়কটি চলাচল উপযোগী করতে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে। গত কয়েক বছরে সড়কটি চলাচলকারীদের জন্য ভোগান্তির সাক্ষী হয়ে উঠেছে।

উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএর অফিস স্টাফ সোলেমান বলেন, অফিসের কাজ শেষে সন্ধ্যায় মিরপুরে বাসায় ফেরার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই সড়কে বসে থাকতে হয়। অথচ সড়কটি পার হতে ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

সরেজমিন ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওয়াসার পাইপ, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট লাইন বসানোর জন্য বিভিন্ন সময় সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে ডিএনসিসির বিভিন্ন সড়কে। মোহাম্মদপুর এলাকার বেশিরভাগ সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হয় এ বছরের শুরুতে। বিভিন্ন সড়কের নিচ দিয়ে নালা নির্মাণের জন্য পাইপ বসাচ্ছে ডিএনসিসি। আবার কিছু সড়কে ঢাকা ওয়াসা পানির পাইপ বসাচ্ছে। আবার কিছু সড়ক কাটা হয়েছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের লাইন বসাতে। ফলে পুরো মোহাম্মদপুর এলাকার বেশিরভাগ সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগে পড়ছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

গুলশান লেকভিউ সড়কটি অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী। সড়কের পুরোটারই বিটুমিন উঠে গেছে, কোথাও তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। কিছু কিছু জায়গায় পিচ সরে গেছে, দেবে গেছে কিছু জায়গা। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার যানজট কমাতে রাজউক লেক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাড্ডা (হাতিরঝিল মোড়) থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত লেকের পারে বাড্ডা-শাহজাদপুর অংশে ২.৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৩০ ফুট প্রস্থের গুলশান লেকভিউ সড়কটি তৈরি করে। ২০১৮ সালে খুলে দেওয়া হয় সড়কটি। লেকভিউ সড়কের গুদারাঘাট বাজার থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত বিভিন্ন অংশ গর্তে ভরা। শাহজাদপুরের দিকে এগোলে ডিএনসিসির ময়লার এসটিএস এবং পাশের ঢাকা ওয়াসার পানির পাম্পের সামনের সড়কে গর্ত থেকে উঠে আবার অন্য গর্তে পড়ার মতো অবস্থা। উত্তর বাড্ডা হাজী কমর উদ্দীন রোড পর্যন্ত পুরো সড়কের একই অবস্থা।

নগর-পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান কালবেলাকে বলেন, সড়ক মেরামতের বিষয়টি সিটি করপোরেশনের নিয়মিত কাজের অংশ। বিভিন্ন এলাকায় সড়কের বেহালের কারণে মানুষ বিরক্ত-ক্ষুব্ধ। সড়ক সংস্কারের বিষয়টি সবসময় সিটি করপোরেশনের অগ্রাধিকারে থাকা উচিত। অতিদ্রুত গুরুত্ব দিয়ে সড়ক সংস্কার না করলে আগামী বর্ষায় জনসাধারণের ভোগান্তি আরও বাড়বে। তিনি বলেন, বর্তমানে মেয়রের স্থলে প্রশাসক হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। কাউন্সিলর না থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে।

ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, কিছু রাস্তার অবস্থা আসলেই খারাপ। যেসব সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো ভরাট করে সড়ক সচল করার চেষ্টা করা হয়েছিল; কিন্তু তা কাজে দেয়নি। তাই কয়েকটি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সচল করতে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। এ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। কাজ শুরুর পর সর্বোচ্চ ছয় মাস সময় লাগবে। সে পর্যন্ত জনভোগান্তি থাকবে।

ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে চলতি অর্থবছরে যে বাজেট বরাদ্দ আছে তা পর্যাপ্ত নয়। সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে। আরও দেড়শ কোটি টাকার কাজ অপেক্ষমাণ। এতে ৪০ শতাংশের মতো দুর্ভোগ লাঘব হবে। বাকি কাজ আগামী অর্থবছরে করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত বাজেট পাওয়া যাচ্ছে না সব কাজের জন্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

অপহরণ মামলায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে আশুলিয়ার এসআই ক্লোজড

ইন্দোনেশিয়ার উত্তাল পরিস্থিতিতেই সব আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হেলিকপ্টার

মেয়াদ উত্তীর্ণ সার্জিক্যাল পণ্য রাখায় তিন ফার্মেসিকে জরিমানা

১০ বিচারকের বদলির আদেশ

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর মতো কোনো শক্তি নাই : দুদু

জাতীয় পার্টির প্রেস সেক্রেটারির পদত্যাগ

সাভারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুস্থ-অসুস্থদের আর্থিক সহায়তা

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা রিমান্ডে 

সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপিয়ে তুলতে আ.লীগের কৌশল, দায়িত্বে পুতুল

১০

নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিতে ১০৩ রানে অলআউট নেদারল্যান্ডস

১১

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন জবি শিক্ষার্থীরা

১২

ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হলেন রফিকুল ইসলাম

১৩

মতবিনিময় সভায় আলেমরা / সরকার কোরবানির চামড়া নিয়ে প্রতারণা করেছে 

১৪

বসের চাকরি খেতে কোম্পানিই কিনে নিলেন কর্মী 

১৫

ত্রিভুজ প্রেমের জেরে ছুরিকাঘাতে নারী নিহত

১৬

চাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ

১৭

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের কড়া বার্তা

১৮

ডা. ফাতেমা দোজাকে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

১৯

৩ জেলায় নিয়োগ দিচ্ছে যমুনা গ্রুপ, পাবেন একাধিক সুবিধা

২০
X