সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
ইউসুফ আরেফিন
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৬ এএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন

ভোট বিতর্কে মাঠ প্রশাসন

ভোট বিতর্কে মাঠ প্রশাসন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকারকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যবস্থা রেখে বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব কারণে রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সভা-সেমিনারে ভোট নিয়ে সাবধানে কথাবার্তা বলছেন তারা। মূলত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝেশুনে পা ফেলতে চান তারা।

তবে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এর বিপরীত প্রবণতা। কোনোরকম রাখঢাক না করেই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছেন কোনো কোনো কর্মকর্তা। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চাইছেন তারা। পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার পর জামালপুরের জেলা প্রশাসকের এমন ভূমিকা সামনে এসেছে। মাঠ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের পক্ষে ‘একাট্টা’ হয়ে মাঠে নেমেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে চলছে প্রবল সমালোচনা।

পর্যবেক্ষক মহলের মতে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করেন তারা। নির্বাচনে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকেন। ফলে তারা শতভাগ নিরপেক্ষ না থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

তাদের মতে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের শীর্ষ মহলের চেষ্টা রয়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের আচরণ দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে যেন সরকার বিব্রত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন না দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘দেশে অতীতের সব নির্বাচনেই প্রশাসন সহযোগিতা করেছে। এবারও তা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করে। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। কমিশনকে সহযোগিতার জন্য আমাদের ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা আছে। সেই ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাব। আমরা নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব। কারও পক্ষে কিংবা বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ প্রশাসনের নেই। প্রশাসন সবসময় জনগণের জন্য কাজ করে।’

প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সচিবালয়কেন্দ্রিক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বুঝেশুনে পা ফেলতে চাইছেন। বিশেষ করে যাদের স্ত্রী-সন্তান কিংবা অন্যান্য স্বজন আমেরিকা-কানাডায় পড়াশোনা কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তারা আরও বেশি সতর্ক। সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্নে তারা দ্বিমত করছেন না।

মাঠ প্রশাসনে কর্মরত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা নানাভাবে এ মনোভাব প্রকাশও করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিদেশি চাপ কিংবা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছেন না।

চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ভোট প্রার্থনা: গত ১৫ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিজের দল উল্লেখ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চান জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল চন্দ্র ধর। অবশ্য পরে তাকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়। একই দিন কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে ভোট চান সেখানকার ওসি ফারুক আহমেদ।

তার বক্তব্য ছিল, ‘নাঙ্গলকোটের মানুষ গণহারে উনাকে (আ হ ম মুস্তফা কামাল) আবার নির্বাচিত করবেন। এটা আমার দিক থেকে আপনাদের কাছে মিনতি। আসলে মাননীয় অর্থমন্ত্রী নাঙ্গলকোটের এত উন্নয়ন করেছেন। নাঙ্গলকোটের অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না। উনি যখন এলেন, তখন আপনাদের মন জয় করলেন এবং আপনাদের উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিলেন।’

এমন বক্তব্যের পর ওই ওসিকেও পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়।

এরপর গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে জামালপুরের জেলা প্রশাসক ইমরান আহমেদ বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ফের নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজমকে মন্ত্রী হিসেবে দেখার আশাও প্রকাশ করেন তিনি।

তার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ডিসি ইমরান আহমেদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা যাচাই-বাছাই করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নির্বাচন নিয়ে ডিসি ভিডিওতে যা বলেছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। নির্বাচন সামনে রেখে একজন ডিসি এমন কথা বলতে পারেন না। তাদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে মাঠে পাঠানো হয়।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউ বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করেছে কি না, তা-ও যাচাই করা হবে। এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগ, বক্তব্য টুইস্ট করা যায়। ডিসির বক্তব্য খতিয়ে দেখার পর সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যেসব বক্তব্য সামনে আসছে, সেগুলো নমুনামাত্র। অনেকে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সরকারি দলের পক্ষে কাজ করতে প্রস্তুত। এ ধরনের কর্মকর্তাদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না।

এ বিষয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জামালপুরের ডিসি বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এদের দিয়ে ক্রেডিবল (বিশ্বাসযোগ্য) নির্বাচন হবে না। এদের সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

ইসি সূত্র জানায়, সব ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট সামনে রেখে রাজনীতিতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। রাজপথেও উত্তাপ বাড়ছে। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা নির্দলীয়-তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ক্ষমতাসীন দল। এই পরিস্থিতি ‘অনুগত’ কর্মকর্তাদের দিয়েই প্রশাসন সাজানোর অভিযোগ করছে বিরোধী পক্ষ।

বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরে রেখেছিল। তারাই নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এ কারণে তারা বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে এ প্রশাসনের অধীনেই ভোটে যেতে আপত্তি নেই বিএনপির।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘প্রশাসনে দলীয় লোকজনের সংখ্যা বেশি না। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশিরভাগ কর্মকর্তাই নিরপেক্ষ। তারা জনগণের পক্ষেই আছেন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথমেই এই ভয়টা কেটে যাবে যে, শেখ হাসিনা আর প্রধানমন্ত্রী নেই। তিনি আর ক্ষমতায় নেই। তখন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এ নিরপেক্ষ লোকগুলোর ভূমিকা থাকবে।’

যাদের কাঁধে নির্বাচনকালীন মাঠ প্রশাসন: সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ২৫, ২৪ ও ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তারা ডিসি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—এমন কর্মকর্তারা ডিসি হয়েছেন। তবে ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে যুক্ত হননি—এমন কর্মকর্তাও ডিসি-এসপি পদে আছেন। দায়িত্ব পেয়ে তাদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী নির্বাচনে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৫ ও ৩৬তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ইউএনওর দায়িত্বে থাকবেন। এই দুই ব্যাচ বর্তমান সরকারের সময়েই নিয়োগপ্রাপ্ত। এর মধ্যে ৩৬তম ব্যাচের কর্মকর্তারা বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আর ৩৫তম ব্যাচ থেকে ইউএনও নিয়োগ শুরু হয়েছে।

কয়েকজন জেলা প্রশাসক বলেন, যতই বিদেশি চাপ আসুক, আওয়ামী লীগই ফের সরকারে আসবে। আমরা আমাদের কাজ করব। আমাদের ওপর নানা ধরনের চাপ থাকে। সব চাপ সামলেই কাজ করব। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করব। আমরা ভোট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

মাঠ থাকবে পুলিশের ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচ: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে বিসিএস (পুলিশ) ২৪ ও ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তারা এসপি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে তাদের অনেককেই তুলে আনা হবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকালে ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তারা এসপি পদে দায়িত্ব পাবেন। এ ব্যাচের বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে এসপি হয়েছেন। থানার ওসিরা ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজানো হলে এসপি ও ওসিরা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকবেন বলেই অনেকের ধারণা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোনো নির্বাচনেই পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু গত দুটি জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভূমিকা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সুতরাং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবির ভিসি

৬৪ জেলার নেতাকর্মীদের নতুন বার্তা দিল এনসিপি

ম্যানইউর জয়হীন ধারা অব্যাহত, এবার ফুলহামের মাঠে ড্র

ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা-পেশাজীবীদের নিয়ে ‘আগামীর পথ’ অনুষ্ঠিত

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের অনন্য কীর্তি

জুলাই যোদ্ধা শহীদ তানভীরের চাচা খুন

ভরা জোয়ারে ডুবে যায় বিদ্যালয়, শঙ্কায় অভিভাবক-শিক্ষার্থী

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি

তারের পর এবার চুরি হলো সেতুর রিফ্লেক্টর লাইট

১০

‘এবার আমাদের পালা’ স্বরূপ আচরণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে : টিআইবি

১১

ভূমি অধিগ্রহণে আটকে আছে ইউলুপ, ইউটার্নে মরছে মানুষ!

১২

কনে দেখতে যাওয়ার পথে নৌকাডুবি : নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার

১৩

থাইল্যান্ডের ক্লাবে আবার ভাইরাল ‘কাঁচা বাদাম গার্ল’ অঞ্জলি

১৪

চাকসুতে সমকামিতা সমর্থক ও মাদকাসক্তদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি

১৫

ঠাকুরগাঁওয়ের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

১৬

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১০ শয্যার এইচডিইউ উদ্বোধন

১৭

এবার তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

১৮

রাকসুতে প্রথম দিনে ৫ জনের মনোনয়ন সংগ্রহ 

১৯

ফিলিস্তিনিদের ৩০০০ জলপাই গাছ উপড়ে ফেলল ইসরায়েলি বাহিনী

২০
X