

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে ঢাকার পূর্বাচলে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বক্তব্যের শুরুতেই তারেক রহমান বলেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ, সবাই মিলে একটি নিরাপদ দেশ গড়ার সময় এসেছে।’ এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী নেতা মার্টিন লুথারের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি।’
১৫ মিনিটের বক্তৃতা শেষ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে স্বাগত জানিয়ে আবারও মাইকের কাছে ফিরে গিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা মনে করিয়ে দেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, উই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান। উই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান ফর দ্য পিপল অ্যান্ড ফর দ্য কান্ট্রি। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই প্ল্যান বাস্তবায়ন করব।’
যুক্তরাজ্যে প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তারেক রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী সৈয়দা শামিলা রহমান এবং কোকোর দুই কন্যাসহ পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাও। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। এ সময় তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু তার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে বরণ করে নেন। প্রথমেই তারেক রহমান ফোনে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। তিনি ভিআইপি গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। এরপর গাড়িতে ওঠার আগে নিজের জুতা খুলে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মাটির স্পর্শ নেন। পরে বুলেটপ্রুফ জিপে না চড়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বুলেটপ্রুফ বাসে উঠে গাড়িবহর সহকারে রওনা হন পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের দিকে, যেখানে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা মঞ্চে দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘উপস্থিত প্রিয় মুরুব্বিবর্গ, জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়ার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে যারা দেখছেন এ অনুষ্ঠান, প্রিয় ভাইবোনেরা, প্রিয় মা-বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম। আজ প্রথমেই আমি রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজারো লাখো কোটি শুকরিয়া জানাতে চাই। রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের দোয়ায়, আপনাদের মাঝে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাইবোনেরা, এই প্রিয় মাতৃভূমি ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সেদিন সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। একইভাবে পরে ৯০-এ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ, এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু তারপরও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। আমরা তারপর দেখেছি ২০২৪ সাল, ৭১ সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এ দেশের ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ কৃষক-শ্রমিক, গৃহবধূ, নারী-পুরুষ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সেদিন এ দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।’
সবাই মিলে দেশ গড়ার সময় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায়, তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। আজ আমাদের সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, এই দেশে একইভাবে সমতলেরও মানুষ আছে। এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আমরা চাই সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, আমরা যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, একজন মা দেখেন, অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু, যে-ই হোক না কেন, ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ইনশাআল্লাহ ঘরে আবার ফিরে আসতে পারে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এই দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, ৪ কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য, ৫ কোটির মতো শিশু, ৪০ লাখের মতো প্রতিবন্ধী মানুষ এবং কয়েক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছেন। এসব মানুষের একটি প্রত্যাশা আছে এই রাষ্ট্রের কাছে, এই মানুষগুলোর একটি আকাঙ্ক্ষা আছে এই দেশের কাছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই, সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, তাহলে আমরা এই কোটি মানুষের সেই প্রত্যাশাগুলো পূরণ করতে পারি ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তর সালে আমাদের শহীদরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এরকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য। বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শত শত, হাজারো গুম-খুনের শিকার হয়েছে, শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জীবন দিয়েছে।’
আততায়ীর গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির নিহতের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এই বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের, সাহসী প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন। প্রিয় ভাইবোনেরা, ওসমান হাদি চেয়েছিল এই দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক, এই দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। আজ চব্বিশের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন ওসমান হাদিসহ, একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় বিভিন্নভাবে খুন-গুমের শিকার হয়েছেন, এই মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে আমরা সবাই মিলে কাজ করব; যেখানে আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
কোনো দেশের নাম উচ্চারণ না করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচররা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত রয়েছে। আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন। এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের গ্রহণ করতে হবে, যেন এই দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি; শক্ত ভিত্তির ওপর, গণতান্ত্রিক ভিত্তি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর যেন এই দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা যে ধর্মের মানুষ হই, আমরা যে শ্রেণির মানুষ হই, আমরা যে রাজনৈতিক দলেরই সদস্য হই, অথবা একজন নির্দলীয় ব্যক্তি হই, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যে কোনো মূল্যে আমাদের এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে; যে কোনো মূল্যে যে কোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিত্যাগ করতে হবে; যে কোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক, যে কোনো বয়স, যে কোনো শ্রেণি, যে কোনো পেশা, যে কোনো ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকে, এই হোক আমাদের চাওয়া।’
সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাইবোনেরা, মার্টিন লুথার কিংয়ের নাম শুনেছেন আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা? মার্টিন লুথার কিং, তার একটি বিখ্যাত ডায়লগ আছে, আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবার সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’
তিনি বলেন, ‘আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যদি সেই প্ল্যান, সেই কার্যক্রম, সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ উপস্থিত আছেন, প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। আপনারা আমাদের পাশে থাকলে ও সহযোগিতা করলে ইনশাআল্লাহ ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।’
মঞ্চে এবং মঞ্চের বাইরে থাকা জাতীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে চাওয়ার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আমাদের এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, যে কোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর, শান্ত থাকতে হবে। আসুন, আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি, হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী, আজ আপনি যদি আমাদের রহমত দেন, তাহলে আমরা এ দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। আজ যদি আল্লাহর রহমত এই দেশ এবং এই দেশের মানুষের পক্ষে থাকে, আল্লাহর সাহায্য, আল্লাহর দয়া এই দেশের মানুষের ওপর থাকে, ইনশাআল্লাহ, আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।’
মহানবী (সা.)-এর আদর্শে ন্যায়পরায়ণতার আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি যে, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবেন, আমরা সবাই নবী করিম (সা.)-এর যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া একটি মানুষ, যে মানুষটি এই দেশের মাটি, এই দেশের মানুষকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছেন। তার সঙ্গে কী হয়েছে, আপনারা প্রত্যেকে সে সম্পর্কে অবগত আছেন। সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমি চাইব, আজ আল্লাহর দরবারে আপনারা দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ উনাকে তৌফিক দেন, উনি যেন সুস্থ হতে পারেন। সন্তান হিসেবে আমার মন পড়ে আছে হাসপাতালের ঘরে। কিন্তু সেই মানুষটি যাদের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছে সেই মানুষগুলোকে আমি ফেলে যেতে পারি না। হাসপাতালে যাওয়ার আগে আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যই এখানে দাঁড়িয়েছি।’
বক্তৃতার শেষ প্রান্তে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি স্লোগান ধরেন, আসুন প্রিয় ভাইবোনেরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, ‘সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ’।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংবর্ধনা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীরবিক্রম), ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ। সংবর্ধনা মঞ্চে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও শোকরানা মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব আবুল হোসেন।
মন্তব্য করুন