

বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরুর ঠিক আগমুহূর্তেও যেন বিতর্ক থামছে না। টুর্নামেন্ট শুরুর এক দিন আগে চট্টগ্রাম দলের মালিকানার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
বৃহস্পতিবার সিলেটে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিঠু জানান, আর্থিক সংকটের কারণেই চট্টগ্রামের আগের মালিকপক্ষ সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে। তাঁর ভাষায়, চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—তারা কোনো স্পন্সর সংগ্রহ করতে পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টিগ্রিটি ইস্যু ঘিরে বিভিন্ন গুজব ও আলোচনা গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় স্পন্সররা আগ্রহ দেখায়নি। সেই চাপ আর বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
তবে ইন্টিগ্রিটি ও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে বিসিবির অবস্থান একচুলও বদলাবে না—এ কথা স্পষ্ট করে দেন মিঠু। তিনি বলেন, এই দুটি বিষয়ে কোনো ধরনের আপস করার সুযোগ নেই। শুরু থেকেই বোর্ডের অবস্থান ছিল পরিষ্কার, এখনো তা-ই আছে।
এই জটিল পরিস্থিতির মাঝেও ইতিবাচক দিক দেখছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব। তাঁর মতে, খেলোয়াড়দের পাওনা নিয়ে যদি বোর্ড নরম অবস্থান নিত, তাহলে সমস্যা সাময়িকভাবে চাপা দেওয়া যেত। কিন্তু তা না করে সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই তিনি সঠিক বলে মনে করছেন।
তবে বাস্তবতা অস্বীকার করেননি মিঠু। বিপিএল শুরুর ঠিক আগে এমন সংকট তৈরি হওয়ায় যে বিসিবি বড় চাপের মধ্যেই আছে, সেটিও স্বীকার করেন তিনি। জানান, মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পুরো কাঠামো নতুন করে সাজাতে হয়েছে। হাবিবুল বাশারকে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, মিজানুর রহমান বাবুলকে ঢাকায় থেকে দ্রুত সিলেটে আনা হয়েছে কোচ হিসেবে, আর নাফিস ইকবালকে করা হয়েছে দলের ম্যানেজার।
চট্টগ্রামের মালিকপক্ষের দেওয়া চিঠি ইতোমধ্যে বিসিবির লিগ্যাল বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মিঠু। সব মিলিয়ে চাপের মধ্যেই হলেও টুর্নামেন্ট নির্বিঘ্নে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি।
মন্তব্য করুন