মো. মাহামুদুর রহমান পাপন
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০২:০৯ এএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বন্যা দুর্যোগ ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ

বন্যা দুর্যোগ ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশটির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশটি ২১°৩৮’ থেকে ২৬°৩৮’ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮°০১’ থেকে ৯২°৪১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য এবং মিয়ানমার, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভূমির প্রকৃতির কথা বলতে গেলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ অংশই সমভূমি। বিশেষ করে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পলিমাটির সঞ্চয়ের ফলে দেশের উত্তরাংশ ও মধ্যাংশ সমতল। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে চট্টগ্রামের পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় ছোট ছোট পাহাড় দেখা যায়। দেশটি একটি নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা নদীসহ অসংখ্য নদনদী দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। বাংলাদেশে উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে, যার ফলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এ দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো বড় হুমকির কারণ।

ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের বন্যার ঝুঁকি অত্যন্ত উচ্চ। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান এবং ভূমির বৈশিষ্ট্যই বন্যা সংঘটিত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ার পরও এই নদীগুলোর ক্ষমতা সীমিত এবং বর্ষাকালে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীগুলোর তীর ভেঙে পানি আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বেশিরভাগ অংশই সমভূমি। এই সমভূমি দিয়ে নদীগুলো বয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিম্নাঞ্চলে জমে যায়। আবহাওয়ার দিক থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাত হয়, যা বন্যার প্রধান কারণ। হিমালয়ের বরফ গলার পানিও বাংলাদেশের নদীগুলোতে প্রবাহিত হয়ে বন্যার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া মানবসৃষ্ট কিছু কারণেও বন্যা হতে দেখা যাচ্ছে ইদানীং। অবাধভাবে বন উজ্জ্বলন, নদীতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি কারণে নদীর প্রাকৃতিক গতিপথ পরিবর্তিত হয় এবং বন্যার ঝুঁকি বাড়ে। পরিবেশগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করলে বাংলাদেশে বন্যার প্রভাব নেহায়েত কম নয়। বন্যায় প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষের বাসস্থান ও জমিজমা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেকে প্রাণ হারায়। বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং কৃষি উৎপাদন কমে যায়। বন্যার ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার পানিতে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।

বর্তমানে একটি প্রশ্ন সবার মুখেই শোনা যায়, প্রতিবেশী দেশগুলো কি বাংলাদেশের বন্যার জন্য কোনোভাবে দায়ী কি না। কিন্তু এটি একটি জটিল প্রশ্ন যার সরল কোনো উত্তর নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদী ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে, যেগুলোর ওপর বেশ কয়েকটি বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মিত হয়েছে। এ বাঁধগুলোর মধ্যে কিছু প্রধান বাঁধ ও ব্যারাজ রয়েছে। বাংলাদেশের বন্যার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে এবং এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকাও রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক নদী ভারতের উচ্চভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করে। এ নদীগুলোতে উজানে যে কোনো কার্যকলাপ, যেমন বাঁধ নির্মাণ, জলাধার নির্মাণ বা বন উজ্জ্বলন, বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। ফারাক্কা বাঁধ রয়েছে গঙ্গা নদীতে, যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত এবং এর প্রভাব বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে পড়ে। তিস্তা ব্যারাজ তিস্তা নদীতে অবস্থিত, যা ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত হয়। গজলডোবা ব্যারাজও তিস্তা নদীতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যারাজ, যা ভারতীয় অংশে অবস্থিত। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট-বড় বাঁধ ও ব্যারাজ রয়েছে, যা দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোতে অবস্থিত। তবে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা জটিল, কারণ এ বাঁধগুলোর কিছু ভারতীয় অংশে, কিছু বাংলাদেশি অংশে এবং কিছু আন্তর্জাতিক সীমানায় অবস্থিত। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তবে নদী ব্যবহারের বিষয়ে সম্পূর্ণ সমাধান এখনো আসেনি। ১৯৯৬ সালে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সমঝোতা হয়েছিল। তবে এ চুক্তিও সব সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। গঙ্গা ছাড়াও অন্যান্য নদী, যেমন তিস্তা নদী নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলে। তবে এসব নদী নিয়ে কোনো স্থায়ী চুক্তি হয়ে ওঠেনি। চুক্তিগুলোর মূল সমস্যা হলো, ফারাক্কা ব্যারাজ গঙ্গা নদীর ওপর ভারত নির্মাণ করেছে, যার ফলে বাংলাদেশের পানি সরবরাহ কমে যায়। এ ব্যারাজকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। সেইসঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহুবার আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। গঙ্গা ও তিস্তা ছাড়াও আরও অনেক নদী রয়েছে যাদের পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীর প্রবাহ ও পানির স্তর পরিবর্তিত হচ্ছে, যা পানি বণ্টন সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে। তা ছাড়া দুই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পানির চাহিদাও বেড়েছে, যার ফলে পানি বণ্টন নিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। আবার দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের ওপর নদীবিষয়ক চুক্তিগুলোর প্রভাব পড়ে। বর্ষাকালে ভারতের উজানে অবস্থিত বাঁধ থেকে পানি নিষ্কাশন করলে বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিন্তু এ বন্যা উভয় দেশের জন্যই একটি সমস্যা। ভারতের উজানে যেসব কার্যকলাপ হয়, তার প্রভাব নিশ্চয়ই বাংলাদেশে পড়ে। তবে বাংলাদেশের নিজস্ব ভৌগোলিক ও অন্যান্য কারণও বন্যার জন্য দায়ী। এজন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নদী ভাগাভাগি নিয়ে বিভিন্ন চুক্তি রয়েছে। তবে সময়মতো এবং সঠিকভাবে এ চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়াও বন্যা পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দরকার সততার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা। বন্যা সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উভয় দেশের মধ্যে নদীর পানির স্তর, বাঁধের অবস্থা ইত্যাদি তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে। উভয় দেশকে মিলে একটি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ পদক্ষেপগুলো স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উভয়ই হতে পারে। মূলত বন্যার প্রস্তুতির জন্য, বন্যা চলাকালে এবং বন্যা-পরবর্তী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপগুলোকে আমরা স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ বলে থাকি। এ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বন্যাকবলিত এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করে তাদের খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা, বিশুদ্ধ পানির জোগান নিশ্চিত করে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রোধ করা, বন্যাকবলিত এলাকায় মোবাইল হাসপাতাল চালু করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও নতুন বীজ সরবরাহ করে কৃষি উৎপাদন পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা ইত্যাদি।

আর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপগুলোর মধ্যে নদীর ভাঙন রোধ, নদী খনন ও নদী সংরক্ষণের মাধ্যমে নদী ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, বন্যাপ্রবণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করে বন্যার প্রভাব কমানো, বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণ করা, বন উজ্জ্বলন রোধ করে বন সংরক্ষণ করা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া ও জনগণকে সতর্ক করা, বন্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বন্যা মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা, আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিলে নদী ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা মোকাবিলায় সহযোগিতা করা। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। যেমন—বন্যাপ্রবণ এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মকানুন প্রয়োগ করা, কৃষকদের জন্য ফসল বীমা এবং বাড়িঘরের জন্য বীমা ব্যবস্থা করা, বন্যা মোকাবিলায় নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া ইত্যাদি।

বাংলাদেশে বন্যা সমস্যা সমাধানে টেকসই উদ্যোগ ও সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নদী ব্যবস্থাপনা, বাঁধ নির্মাণ, বন সংরক্ষণ, জলাধার নির্মাণ, নদীর দিক পরিবর্তন, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়ন, সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এ সমস্যা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য। সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে বন্যা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষজ্ঞ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ মোকাবিলা ও দেশকে বন্যামুক্ত করার লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন কিছু নয়। মোটা দাগে বলতে গেলে, বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অনস্বীকার্য।

লেখক: পলিসি অ্যানালিস্ট

স্থপতি, পরিবেশবিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসায় চালু হলো নতুন সাবজেক্ট

মুরাদনগরে বিষাক্ত স্পিরিট পানে ২ জনের মৃত্যু

প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

কুষ্টিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রাণ ভোমরারা হতাশ হয়েছেন : নুর

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার চট্টগ্রামে সাংবাদিককে গলা টিপে হত্যাচেষ্টা

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

এনসিপির হয়ে নির্বাচন করব কিনা সিদ্ধান্ত নেইনি : আসিফ মাহমুদ

সবাইকে টেস্ট খেলানো জরুরি নয় : জোরাজুরিতে দেউলিয়ার শঙ্কা

১০

প্রবাসেও আপ বাংলাদেশের কমিটি ঘোষণা 

১১

ইসরায়েল পুড়ছে রেকর্ড তাপমাত্রায়

১২

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সহায়তার চেক দিল যমুনা অয়েল

১৩

অসহায় পরিবারের দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা-অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান

১৪

৩০০ আসনে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে গণতন্ত্র মঞ্চ 

১৫

ড্রোন শো পরিচালনার প্রশিক্ষণে চীন যাচ্ছেন ১১ জন

১৬

সামাজিক কাজে অবদান রাখায় নিবন্ধন পেল প্রভাত

১৭

স্বাস্থ্যের ডিজির আশ্বাসে মন গলেনি, নতুন কর্মসূচি ছাত্র-জনতার

১৮

শহীদ মিনারে কাফনের কাপড় পরে বস্তিবাসীদের অবস্থান

১৯

পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে : চরমোনাইর পীর

২০
X