১৪ আগস্ট, ১৯৭৫ সাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেষ কর্মসূচি ছিল গণভবনে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ফরাসউদ্দিন আহমেদ উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। গণভবনে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৩২ নম্বর আসেন। পরদিন ১৫ আগস্ট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। তোফায়েল আহমেদকে সকালে আসার নির্দেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় বাসভবনে যান। পরদিন বঙ্গবন্ধুর আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া হয়নি। ১৫ আগস্টের নৃশংস বর্বরতার পর কোথায় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর চারপাশে থাকা সুসময়ের চাটুকাররা? আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি প্রশ্ন তোলেন। প্রতিবার তিনি বলেন—‘এত বড় দল, এত নেতা, কোথায় ছিল সেদিন? কেন তারা প্রতিরোধ করতে পারেনি? প্রতিবাদ করতে পারেনি?’
১৫ আগস্টের বীভৎসতার সময় তোফায়েল আহমেদ, ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। সদ্য বিদায়ী একান্ত সচিব ফরাসউদ্দিন আহমেদ, তার বিদেশে যাত্রা বাতিল করেননি। খুনি মোশতাকের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র যান। জাতির পিতার রক্তাক্ত দেহ যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে, তখন বঙ্গভবনে অবৈধ খুনি মোশতাকের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার শপথ আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার হাতেগোনা দুয়েকজন ছাড়া সবাই খুনি মোশতাকের আনুগত্য মেনে অবৈধ সরকারের মন্ত্রী হন। ড. কামাল হোসেন ছিলেন বিদেশে। যেখান থেকেও তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি। আবদুল মালেক উকিল বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিদেশে বসেই। তারা সবাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষ। প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর স্তুতিতে ভরা বক্তব্য রেখে তারা গলা ফাটাতেন। খুনি মোশতাক তো চাটুকারিতায় সবাইকে পেছনে ফেলেছিলেন। জাতির পিতার সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারী। তার ষড়যন্ত্রেই ছিটকে পড়েন তাজউদ্দীন আহমদের মতো নেতা। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগ বা বাকশালের কেউ ছিলেন না। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পদত্যাগ করেন মন্ত্রিসভা থেকে। রাজনীতিতে অপাঙক্তেয়, অনাহুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং যোগ্য মানুষটি। পঁচাত্তরে জীবন দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, যোগ্য আদর্শবানরা কখনো বিশ্বাসঘাতক হয় না। চাটুকাররাই খোলস পাল্টায়। পেছন থেকে ছুরি মারে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হোসেন তৌফিক ইমাম। সেই মন্ত্রিপরিষদ সচিবই খুনি মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন সিরাজুল হক। বঙ্গবন্ধুই তাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আনেন। চাটুকারদের দাপটে বঙ্গবন্ধু তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও মন্ত্রী করেননি। সেই বঞ্চিত সিরাজুল হক বঙ্গভবনে গিয়ে খুনি মোশতাককে ‘অবৈধ শাসক’ বলেছিলেন। বন্দুকের নলের মুখেও নির্ভীকচিত্তে বলেছিলেন—‘কীসের রাষ্ট্রপতি, তুমি খুনি। আমি তোমাকে মানি না।’
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে পিতা মানতেন। জাতির পিতার নির্দেশে অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাটুকারদের ভিড়ে বঙ্গবন্ধুর অতি প্রিয় মানুষটিও সে সময় বঞ্চিত ছিলেন। যোগ্যতা অনুযায়ী তার মূল্যায়ন হয়নি। সেই অবহেলিত বঙ্গবীরই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর গর্জে উঠেছিলেন। শুরু করেছিলেন প্রতিরোধ যুদ্ধ। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা তাকিয়ে ছিলেন নেতাদের দিকে। নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষায়। কিন্তু প্রায় সব নেতা কাপুরুষের মতো গুটিয়ে যান। কোথাও কোথাও বঞ্চিত, ত্যাগী পরীক্ষিতরাই নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষা না করে প্রতিবাদ করেছেন। জেল, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছেন। ’৭৫-এর ট্র্যাজেডির নির্মোহ বিশ্লেষণে একটি সত্য আবিষ্কৃত হয় সহজেই। তা হলো—সুসময়ে চাটুকাররা ভিড় করে। তারা নানারকম সুযোগ-সুবিধা নেয়। কিন্তু দুঃসময়ে তারা চেহারা পাল্টায়। যারা সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী, তারা সমালোচক হয়। এ জন্য সুসময়ে তারা অপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু দুঃসময়ে এরাই পাশে দাঁড়ায়। এটা শুধু আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে নয়, সব রাজনৈতিক দলের জন্য প্রযোজ্য। অবৈধ স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন। হত্যা, ক্যু চক্রান্তের ধারায় তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন। পাকিস্তানপন্থি এ সেনাশাসক, সামরিক বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ভয় করতেন। সবসময় তিনি আতঙ্কে থাকতেন, মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারাই তাকে উৎখাত করতে পারে। এ কারণেই তিনি পাকিস্তান প্রত্যাগত এরশাদকে বেছে নিয়েছিলেন সেনাপ্রধান হিসেবে। এরশাদ চাটুকারিতায় জিয়াকে মুগ্ধ করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ডে এরশাদের ভূমিকা আজও প্রশ্নবিদ্ধ, অমীমাংসিত। অনেকেই মনে করেন, জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় হলে অন্ধকার সরে যেত। কিন্তু তা হয়নি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও চাটুকারদের পছন্দ করতেন। চাটুকারদের চারপাশে রাখতেন। চাটুকারিতার প্রতিযোগিতায় যিনি চ্যাম্পিয়ন হতেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী এমনকি উপরাষ্ট্রপতিও বানাতেন। সামরিক স্বৈরশাসকের মা মারা যাওয়ার পর দেখা গেল এক অভাবনীয় দৃশ্য। এরশাদের চেয়েও শোকে কাতর হলেন কাজী জাফর আহমেদ এবং শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। এরশাদও তাদের কান্নার মাতম দেখে চমকে গিয়েছিলেন। শোকের মধ্যেই এরশাদ এ দুই চাটুকার নেতাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন—‘মোয়াজ্জেম আমার মা মারা গেছে। তোমার না।’ এরশাদের পতনের পর তার চাটুকার সভার কেউই শেষ পর্যন্ত থাকেনি জাতীয় পার্টিতে। শাহ মোয়াজ্জেম, কাজী জাফর, ব্যারিস্টার মওদুদ জাতীয় পার্টি ছেড়ে সময় সুযোগমতো চলে যান বিএনপিতে। এরশাদ জামানায় মিজানুর রহমান চৌধুরী ছিলেন অপাঙক্তেয়, পরিত্যক্ত। বঞ্চিত এ বর্ষীয়ান নেতাই জাতীয় পার্টির হাল ধরেন। ’৯১-এর নির্বাচনে অস্তিত্বের সংকটে থাকা জাতীয় পার্টিকে নতুন জীবন দেন এ প্রবীণ নেতা। রওশন এরশাদে অরুচি ছিল স্বৈরশাসক এরশাদের। রোমান্টিক কবি এ স্বৈরাচারের প্রেম কাহিনির নানা গুঞ্জন ছিল। মেরী মমতাজ, জিনাত মোশাররফ ইত্যাদি। কিন্তু এরশাদের দুর্দিনে তারা কেউ থাকেনি। একমাত্র রওশন এরশাদই দুঃসময়ে সব গঞ্জনা ভুলে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
’৯১ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিএনপি। জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করেন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় চাটুকারিতায় চ্যাম্পিয়ন হন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। বিএনপির ‘কিচেন ক্যাবিনেটের’ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। রাজনীতিতে দুর্গন্ধযুক্ত কথা বলার ক্ষেত্রে শাহ মোয়াজ্জেমের যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে খ্যাতি পান নাজমুল হুদা। চাটুকারিতায় বেগম জিয়ার প্রিয়ভাজনে পরিণত হন। বিএনপিতে হয়ে ওঠেন ক্ষমতাধর। কিন্তু ’৯৬-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের সময় বেগম জিয়াকে চমকে দিয়ে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা আবিষ্কার করেন। রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতার এই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা।
১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি পছন্দ করেন, দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে। ’৯১-এ নানা নাটক করে, নিজের লোভে জানান দিয়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হয়েছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। দেশ এবং জনগণের জন্য যে তার কোনো কমিটমেন্ট ছিল না, তা প্রমাণিত হয় শুরুতেই। তিনি শর্ত দেন যে, নির্বাচন শেষে তিনি আবার স্বপদে (প্রধান বিচারপতি) ফিরে যাবেন। একজন মানুষ কতটা স্বার্থপর হলে এ ধরনের শর্ত দিতে পারেন, তা ভাবতেই অবাক লাগে। সে সময় সবাই ধরেই নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করে সাহাবুদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের হৃদয় জয় করেন। বুদ্ধিবৃত্তিক চাটুকারিতার তিনি জয়ী হন। এ কারণেই ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ হাসিনা তাকেই বেছে নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কী সর্বনাশ তিনি করেছিলেন, ইতিহাস তার সাক্ষী। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তিনি ফিরেও তাকাননি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে সব আয়োজন নিপুণভাবে সম্পন্ন করেন তারেক জিয়া। এ সময় বেগম জিয়া, তারেক জিয়া মঈন উ আহমেদের চাটুকারিতার মুগ্ধ হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন একান্ত আপন। সাতজনকে ডিঙিয়ে তাকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। এই মঈন উ আহমেদের হাতেই বেগম জিয়ার সর্বনাশ হয়। একান্ত অনুগত গৃহভূত্যের মতো রাষ্ট্রপতি চেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এ জন্যই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্ববান রাষ্ট্রপতি তার চক্ষুশূল হয়। ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মতো চাটুকারকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বেগম জিয়া। কিন্তু ইয়াজউদ্দিন প্রমাণ করেছেন চাটুকাররা ‘অযোগ্য’ হয়। সংকটে কোনো কাজে লাগে না। মেরুদণ্ডহীন মোসাহেবরা যে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্যই ক্ষতিকর। বিপজ্জনকও বটে। এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনার সবচেয়ে কাছের মানুষরাই তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে, করেছে বিশ্বাসঘাতকতা। প্রয়াত মুকুল বোস, আবদুল মান্নান, সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সামনে টেনে এনেছিলেন শেখ হাসিনাই। তারা অনেক যোগ্যদের পেছনে ফেলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সামনে এসেছিলেন। কিন্তু এক-এগারোতে সংস্কারপন্থি হয়ে তারা প্রমাণ করেন, অযোগ্যরা সংকটে চেহারা বদলায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি, একদা বিভ্রান্ত বাম মাহমুদুর রহমান মান্নাকে টেনে এনেছিলেন আওয়ামী লীগে। চটকদার স্তুতিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার কল্যাণে তিনি আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনে হয়ে উঠেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডরা যে কোনো দলের জন্যই ভয়ংকর ক্ষতিকর। এক-এগারো তার প্রমাণ। উড়ে এসে আওয়ামী লীগের মতো দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়া মান্না এখন পারলে তার সাবেক নেতার মুণ্ডু চিবিয়ে খান। ’৭৫-এর পর জোহরা তাজউদ্দীন, বেগম সাজেদা চৌধুরীর মতো বঞ্চিত অনাহুতরাই আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। ’৮১-তে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এক-এগারোতেও প্রয়াত জিল্লুর রহমান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বেগম মতিয়া চৌধুরীর মতো কম গুরুত্বপূর্ণরাই আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ, প্রিয় আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাদেক হোসেন খোকা এক-এগারো দুঃসময়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ কিংবা রুহুল কবির রিজভীর মতো উপেক্ষিতরাই বিএনপিকে সেই সংকটে বাঁচান। এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার ধারাকে প্রবহমান রেখেছেন ত্যাগী, পরীক্ষিত, আদর্শবান নেতাকর্মীরা। অনুপ্রবেশকারী, অতিথি পাখিরা দল ভাঙিয়ে শুধু নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে। রাজনীতিকে কলুষিত করেছে চাটুকার, সুবিধাবাদী, মতলববাজরা। দুঃসময়ে এরা পালায় অথবা বদলায়। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা কেউ শিক্ষা নিই না।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল : [email protected]
মন্তব্য করুন