মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ এএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
একথা সে কথা

নতুন দলের পথচলা কি সাবলীল হবে

নতুন দলের পথচলা কি সাবলীল হবে

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ওইদিন বিকেলে শেরেবাংলা নগরের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গণসমাবেশ করে উদ্যোক্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। দলটি সংক্ষেপে ‘এনসিপি’ নামে অভিহিত হবে। ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্য পদত্যাগী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সদস্য সচিব করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আখতার হোসেনকে।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলটির ঘোষণাপত্রে বলা হয়ছে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা। তা ছাড়া রাজনীতির গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের পরিবর্তে ঐক্য, প্রতিশোধের পরিবর্তে ন্যায়বিচার, পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা, ঐতিহ্য, সামাজিক-ধর্মীয় সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষা, নাগরিকদের সমান গুরুত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। ঘোষণাপত্রে বর্ণিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে খুব একটা নতুন বা অভিনব কিছু নয়। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণাপত্রে এ ধরনের শ্রুতিমধুর কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে। তবে প্রশ্ন তা বাস্তবায়নের। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল তাদের ক্রিয়াকলাপে ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকার থেকে দূরে অবস্থান করে। এ ক্ষেত্রে দেখার বিষয় জাতীয় নাগরিক পার্টি তাদের ঘোষণাপত্রে বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের কতটুকু আন্তরিক থাকে।

নতুন এই রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশের আগে থেকেই তা সচেতনমহলে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। দলটি কেমন হবে, কাদের নিয়ে গঠিত হবে, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত ছিল না। এ আলোচনা আরও অনেক দিন চলবে। বিভিন্ন আলোচনায় বিশিষ্টজনরা দলটির টিকে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেননা, দলটির যাত্রালগ্ন খুব একটা সুখকর হয়নি। মূল দলটির আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এর ছাত্রফ্রন্ট ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ গঠনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কমিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত স্থান না দেওয়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের যে বিবরণ ও সংবাদচিত্র গণমাধ্যমে এসেছে, তাতে নতুন কিছুর আশায় উন্মুখ মানুষরা যারপরনাই হতাশ হয়েছেন। নতুন ধারার রাজনীতির স্লোগান দিলেও পদপদবি নিয়ে দ্বন্দ্বে পুরোনো ধারায় সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া সবাইকে বিস্মিত করেছে। কেউ কেউ এ ঘটনাকে ‘বিসমিল্লায় গলদ’ প্রবাদের উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন। একই ধারা বজায় রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির ক্ষেত্রেও। দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেও শেষ পর্যন্ত তাতে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত থেকেছেন আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত। তারা দুজনই ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা। এ দুই শীর্ষ সংগঠকের দলে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়টি জনমনে কৌতূহল সৃষ্টি করলেও, কী কারণে তারা পিছিয়ে গেলেন তা এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই খোলাসা করেনি। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের মূলনীতি, নেতৃত্ব ও পদপদবি নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এ দুই সংগঠকের দল থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘটনায়। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতৃত্ব ও পদপদবি নিয়ে সৃষ্ট অন্তর্দ্বন্দ্ব কিছুটা নিরসন করা হয়েছে পদের সংখ্যা বাড়িয়ে। যে কারণে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পাশাপাশি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পর প্রধান সমন্বয়কারী ও মুখ্য সংগঠকের পদ কেন জরুরি হলো, তা এক রহস্যময় ব্যাপার। দলটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গী কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ড. ইউনূস কিংবা তার উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্য উপস্থিত না হলেও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্যসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হয়েছিলেন।

নবগঠিত দলটির উদ্যোক্তা ও সংগঠকরা সবাই তরুণ। কেউ কেউ এখনো অধ্যয়নরত। কোনো বিশিষ্ট নাগরিক কিংবা রাজনীতি-অভিজ্ঞ ব্যক্তির নাম তালিকায় দেখা যায়নি। যদিও উদ্যোক্তারা বলেছেন, দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের দলে সম্পৃক্ত হবে। দলটির আত্মপ্রকাশের আগে সংগঠকরা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেও রাজনীতিতে অভিজ্ঞ পেশাজীবী কিংবা সুশীল সমাজ হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে তাদের কোনো মতবিনিময় হয়নি। অনেকে মনে করেন, নেতিবাচক কোনো ধারণা থেকে দলটির সংগঠকরা রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ ও জনবিচ্ছিন্ন সাবেক সামরিক আমলাদের গুরুত্ব দিলেও, রাজনীতি-অভিজ্ঞ বেসামরিক নাগরিকদের তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে এই দল কতটা জনসম্পৃক্ত হতে পারবে কিংবা কতটা সাবলীলভাবে পথ অতিক্রম করতে পারবে, তা নিয়ে জনমনে নানা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতি-সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, সামরিক আমলারা চাকরি জীবনে যেমন জনগণের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকেন, তেমনি চাকরিজীবন শেষেও তারা জনগণের সঙ্গে সহজ-স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন না। তাদের মতে, রাজনীতির খেলায় রাজনৈতিক খেলোয়াড়ই দরকার। কতিপয় তরুণের মিলনমেলায় অবসরপ্রাপ্ত সামরিক আমলারা হয়তো শোভাবর্ধন করতে পারবেন, তবে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য তা কতটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। অভিজ্ঞমহল বলছেন, অতীতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ক্ষেত্রে নতুনদের সঙ্গে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের প্রথম সারিতে দেখা গেছে। উদাহরণ হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের’ কথা উল্লেখ করা যায়। প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি ও তরুণ নেতা মো. শামসুল হক (টাঙ্গাইল) নির্বাচিত হয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক। বলা হয়ে থাকে, প্রবীনের অভিজ্ঞতা ও নবীণের উদ্দীপনা ও সাহস সমন্বয়ে যে কোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে সাফল্যের সূর্যকে স্পর্শ করা সম্ভব। স্বাধীনতার পর দেশে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাসদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার লক্ষ করা যায়। দলটির উদ্যোক্তারা তরুণ ছিলেন। কিন্তু এর সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল প্রবীণ ব্যক্তিত্ব মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এম এ জলিলকে। সাধারণত দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে এবং জনমনে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, এমন এক বা একাধিক ব্যক্তিত্বকে সম্মুখে রেখে নবীনরা সংগঠিত হন। কিন্তু নবগঠিত দল এনসিপির সব শীর্ষপদই রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ তরুণরা দখলে নিয়েছে। পরবর্তীকালে তারা অভিজ্ঞ প্রবীণদের কোথায় বসাবেন, সেটা একটি প্রশ্ন। তা ছাড়া এই ‘কচিকাঁচার আসরে’ কোনো প্রবীণ ব্যক্তি যোগ দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন।

সচেতনমহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দলটির আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে। গণমাধ্যমে এর আগে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দলটির মূল ফোকাস হবে ‘বহুত্ববাদ’। দলটি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা বা ধর্মভিত্তিক কোনো আদর্শকেই সামনে রাখবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা পরিহার করলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়েছে। সুতরাং মুখে না বললেও বহুত্ববাদের বাতাবরণে তারা যে প্রকারান্তরে ধর্মনিরপেক্ষতাকেই নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এর দ্বারা দলটির উদ্যোক্তারা রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য নিরসনে তাদের ইচ্ছা ও আন্তরিকতার জানান দিয়ে থাকতে পারেন। দলটির উদ্যোক্তারা বলেছেন, তারা একটি মধ্যপন্থি দল গড়ে তুলতে চান, যেটার আদর্শ হবে সাম্য, ন্যায়বিচার, সুশাসন, অধিকার, নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি। লক্ষ্য বা আদর্শ হিসেবে বিষয়গুলো মন্দ নয়। তবে আমাদের এই ‘জাতি-রাষ্ট্রটির’ মূল ভিত্তি যে জাতীয়তাবাদ, সেটা পরিহার করা হয়েছে। তৎপরিবর্তে স্থান দেওয়া হয়েছে অধুনা আলোচনায় আসা বহুত্ববাদকে; যেটা সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে উল্লেখ আছে। বহুত্ববাদ সম্বন্ধে গত ২৯ জানুয়ারি, কালবেলায় প্রকাশিত ‘সংবিধান সংস্কার নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন’ নিবন্ধে কিছুটা আলোকপাত করেছি। তাই এখানে তার পুনরাবৃত্তি অনাবশ্যক। যদিও বহুত্ববাদ জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, তার পরও কেন নতুন দলের নীতিনির্ধারকরা জাতীয়তাবাদকে বিসর্জন দিলেন, বোঝা গেল না। তাহলে কি তারা জাতীয়তাবাদের বিপরীত মতবাদ আন্তর্জাতিকতাবাদকে গ্রহণ করবেন? সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধস নামার পর আন্তর্জাতিকতাবাদ এখন অপাঙক্তেয় হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদই রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত ও সমাদৃত। এমতাবস্থায় এনসিপি জাতীয়তাবাদ পরিহার করে কীভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে, সেটা একটি গুরুতর প্রশ্ন।

ভুল রাজনৈতিক তত্ত্ব বা আদর্শ সাময়িক শোরগোল তুললেও তা যে স্থায়িত্ব পায় না, তা বুঝতে নতুন দলের সংগঠকদের চোখ রাখতে হবে ইতিহাসের পাতায়। বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর প্রচণ্ড আলোড়ন তুলে জন্ম নিয়েছিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটির নেপথ্য উদ্যোক্তা ছিলেন মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান; যিনি ‘দাদা ভাই’ নামে সমধিক পরিচিত। ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’ নামে এক অভিনব তত্ত্ব হাজির করে তিনি যুবসমাজে বেশ প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছিলেন। অনেকে তাকে অভিহিত করেন ‘রাজনীতির রহস্যপুরুষ’। তার রাজনৈতিক এক্সপেরিমেন্ট সফল হওয়ার নজির নেই। তার বাতলে দেওয়া পথে হেঁটে কেউ কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। হয় মাঝপথে হারিয়ে গেছে, না হয় পথের মাঝে পথ হারিয়ে বিপথে গেছে। সিরাজুল আলম খানের ভাবশিষ্যদের দু-চারজন এখনো আছেন এবং সুযোগ পেলেই গুরুর তত্ত্ব প্রচার-প্রসারের বৃথাচেষ্টা করেন। এনসিপির উদ্যোক্তারা দাদা ভাইয়ের কোনো ভাবশিষ্যের দ্বারা প্রভাবিত কি না, তা সময়ে আরও স্পষ্ট হবে।

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি তাদের মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছতে পারবে কি না। আগেপরে দল গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেও অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো এনসিপির সাফল্য কামনা করেছে। নতুন দলটির নেতৃত্বকে স্মরণ রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে অনুপস্থিত থাকলেও বিএনপির মতো সুবিশাল একটি দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাদের টিকে থাকতে হবে। রাজনীতির বন্ধুর সে পথে তারা সাবলীলভাবে এগোতে পারবে, নাকি হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে, তা সময়ই বলে দেবে।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা

কেইনের হ্যাটট্রিকে লেইপজিগকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

১০

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

১১

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১২

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১৩

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১৪

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৫

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

১৬

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১৭

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১৮

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১৯

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

২০
X