মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, ০৮:২৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ডিসেম্বরেই কেন রিমেম্বারে বিএনপি?

ডিসেম্বরেই কেন রিমেম্বারে বিএনপি?

দিন কয়েকের ব্যবধানে কথাবার্তায় বেশ তফাত বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের। বহুদিন পর বৃহস্পতিবার গুনে গুনে সামান্য কয়েক বাক্যে আবারও শোনা গেল দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কণ্ঠ। বলেছেন, গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা পদে পদে আজও বাধাগ্রস্ত। শিগগিরই জনগণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে পাবে বলে আশাবাদও খালেদা জিয়ার। তার সমান্তরালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের তেজও ভিন্ন। বৃহস্পতিবারই তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দশ মাসেও নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা না করায় রাজনীতিতে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ড. ইউনূস সরকার জনআকাঙ্ক্ষা উপলব্ধিতে ব্যর্থ বলে অভিযোগও ছুড়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে জনগণের কোনো যোগাযোগ না থাকায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তারা তুলে ধরতে পারছেন না—এমন মন্তব্যও করেন তারেক রহমান।

মাত্র কদিন আগেও তিনি বলে আসছিলেন, ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তাকে এবং তার সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশও দেন। কিন্তু সেই ধরনের কুসুম কুসুম কথা বদলাতে থাকে কয়েক দিন ধরে। কথার মধ্যে ঝাঁজ যোগ হতে থাকে। মঙ্গল-বুধবার থেকে ‘ই’ প্রত্যয় যোগ করে বলা হতে থাকে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারকে সহায়তা করা কঠিন হবে। কয়েক দিনের মধ্যে এমন কী ঘটল বিএনপির কথাবার্তা ঘুরে গেল? এদিনই আবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কথায় বেশ ভিন্নতা। বিদেশের মাটিতে জাপানে গিয়ে বিএনপির নাম উল্লেখ না করে জানালেন, বাংলাদেশের মাত্র একটি দলই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। তার মানে অন্য দলগুলো ডিসেম্বরে নয়, আরও পরে নির্বাচন চায়? কেমন হয়ে গেল ব্যাপারটা! বৃহস্পতিবার জাপানে নিক্কেই ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। কম কথার মানুষ ড. ইউনূস উল্লেখ করেন বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন তিনটি এই সরকারের প্রধান কাজ। সেইসঙ্গে নতুনভাবে যোগ করেন, তিনি কোনো রাজনীতিবিদ নন, তার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চান। বাংলাদেশের শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে গেলে তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করতে হবে আর ভালোভাবে সংস্কার করতে হলে ডিসেম্বরের পর আরও ছয় মাস লাগবে।

জাপান সফরের দ্বিতীয় দিনে এশিয়ার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে নিক্কেই ফোরাম আয়োজিত এ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, নীতিনির্ধারক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যোগ দেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে তার সরকার। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, সংস্কার, জুলাই গণহত্যা বিচার প্রসঙ্গে তার সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যাও করেন। জাপানে বলা তার কথার তর্জমা ও ব্যাখ্যা চলছে সমানে। হচ্ছে এন্তার বিশ্লেষণও। যে যা বুঝছেন বলছেন, বলাচ্ছেন, বোঝাচ্ছেন।

ড. ইউনূসের বক্তব্যদৃষ্টে প্রশ্ন জেগেছে, বিষয়টা কি এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যে, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে সংস্কার কাঁচা থাকবে, জুনে হলে পুরোপুরি পেকে যাবে? এ প্রশ্নের জবাব এখনো নিষ্পত্তিহীন। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে সম্প্রতি তিনি একটা চ্যালেঞ্জের কথাও সামনে নিয়ে এসেছেন। ভোটবাক্স লুটের শঙ্কা জানিয়েছেন। ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়া মানে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তার হাতে ১৭ মাস সময় পায়। আর জুনে হলে ২৩ মাস। পার্থক্য ছয় মাস। ১৭ মাস ক্ষমতায় বসে ভোটের বাক্স পাহারা নিশ্চিত করতে না পারলে ২৩ মাস পেলে পারবেন। যুক্তিগতভাবে বিষয়টা কারও কারও কাছে তুলনা হচ্ছে হাঁড়িভাঙা আম পাকানোর মতো। এ ছাড়া, ভোটের বাক্স পাহারা দেওয়ার মতো এখন কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাও দৃশ্যমান নয়।

নতুন করে বলার বিষয় নয়, ফ্রন্টে তখনকার বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা থাকলেও ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের ক্ষমতা নেওয়ার পেছনে বড় সমর্থন ছিল বিএনপির। কিন্তু গত ৯ মাসে ক্রমেই বিএনপি তার পরশ থেকে অনেকটা ছিটকে পড়েছে। বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টার দেখা পেতে তিন-চার দিন ঘুরতে হলেও ছাত্রদের নতুন দল এনসিপি যখন-তখন দেখা করতে পারছে। এসব কথা এতদিন কানাঘুষার মধ্যে থাকলেও এগুলো ক্রমেই ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছে বিএনপির অভ্যন্তরে। আরও কিছু ব্যথা-বেদনা সইতে সইতে তারা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে শক্ত অবস্থানও নিয়েছে। ‘ই’ প্রত্যয় যোগ করে বলছে, ডিসেম্বরেই দিতে হবে নির্বাচন। এ রিমেম্বার কিছুটা আলটিমেটামের মতো।

এরই মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও তার অফিসারদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে শক্ত মতামত দিয়েছেন। নির্বাচন প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এখন বিএনপির শীর্ষপর্যায় থেকে এমন বক্তব্য বলে মনে করছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে, এ চাপ কতটা টেনে নিতে পারবে বিএনপি? এতে রাজনীতিতে বিএনপি একা হয়ে যায় কি না, এ প্রশ্নও রয়েছে। জামায়াতের বিষয়টি অস্পষ্ট হলেও বিএনপির এ অবস্থানের সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল এনসিপির ফারাক রয়েছে। ইউনূস সরকার বিএনপি এবং সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ আছে বিএনপির সদর-অন্দর থেকে। বাধ্য না হলে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে না—এমন বিশ্বাসও জন্মেছে তাদের মধ্যে। অনেকটা নগদে জবাব দিয়ে ফেলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বুধবার জাপান সফরে গিয়ে দেশটির সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করার পুরোনো অবস্থানই তুলে ধরেছেন। বৃহস্পতিবার বলে বসেছেন, শুধু একটি দলই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়।

বিএনপির ভেতরে অনেকের দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমানে রাজনৈতিক ময়দানে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তারা অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচন যত দ্রুত হয়, তারা তত দ্রুত ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। দেরিতে হলে সামনে নানা ডিস্টার্ব তৈরি হবে। দলের মধ্যে নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণও দুর্বল হতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিলকে তাল বানিয়ে প্রচারের ঘটনাও রয়েছে। আলামত বুঝে তাই বিএনপির শীর্ষনেতারা উদ্বিগ্ন। তাই সোজাসাপ্টা কথার চর্চা বেড়ে গেছে তাদের মধ্যে। এখন আর রাখঢাক নেই। ঠোঁটকাটার মতো উচ্চারণ। বিএনপির নেতারা স্পষ্ট বলছেন, সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে তারা সরকারকে আর সহযোগিতা করবে না। এটি একপ্রকার পরোক্ষ হুমকি, যা সরকারের ওপর চাপ তৈরির কৌশল। গণজমায়েত, সমাবেশ, মিছিলের মতো কর্মসূচি দিয়ে তারা জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে সরকারকে একটা বার্তা দিতে চাচ্ছে।

এর বিপরীতে সরকার এখনো আগের অবস্থানে অনড়ই নয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে কোনো সময় নির্বাচনের কথা বলছে। বাকিরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না—বিষয়টা আসলে এমন নয়। আসল-নকল উদ্ধার না হলেও মাত্র কদিন আগে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন। উপদেষ্টা পরিষদ বিবৃতিও দিয়েছে। কারও কারও মতে, সরকার তার অংশীজনদের—বিশেষ করে বিএনপি ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, এ ধারণায় বেশ আকৃষ্ট দলটির নেতাকর্মীদের। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে ভোটের মাঠে অন্য কোনো দলকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে না তারা। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৈরি হওয়া সুযোগ বা সম্ভাবনা দ্রুত কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার একটা বিষয় রয়েছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বও কাজ করছে বিএনপির ভেতরে। দলটির কোনো কোনো নেতার বিশ্বাস, এনসিপির প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের দুর্বলতা বা পক্ষপাতিত্ব আছে। এই দলটি সংস্কার ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার শেষ করার পর নির্বাচন চায়। আর জামায়াতের অবস্থান টলটলে। বিএনপির কাছে প্রতীয়মান এনসিপি-জামায়াতের সঙ্গে ইসলামপন্থি আরও কিছু দলও রয়েছে। ভোট হলেই বিএনপির ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত, এ বাস্তবতা থাকার পরও বিএনপিকে ঠেকানো যায় কি না—এ ধরনের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা রয়েছে বলেও দলের নেতাদের অনেকের বিশ্বাস। সেই আলোকে তাদের কাছে তথ্যও রাছে। ভোটের সময় নিয়ে বিএনপির সঙ্গে অন্য দলগুলোর মতপার্থক্য ছিল, তা এখন বাড়ছে।

বুধবার ঢাকায় বিএনপির আয়োজনে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপি নেতা তারেক রহমানও বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মনে হয় এরই ভেতরে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ।’ তিনি এ-ও বলেন, জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও কারও মনে হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণে নানা অসিলায় সরকার নির্বাচন পেছাতে চায়—এ ধারণা এখন বিএনপিতে বদ্ধমূল। এর জেরে সরকারকে চাপে রাখার কৌশল। এতদিন দলের মধ্যম পর্যায় থেকে বলা হলেও এখন প্রকাশ করা হলো একদম শীর্ষ পর্যায় থেকে। তাদের এ-সংক্রান্ত বাৎচিত অত্যন্ত চিকন-সূক্ষ্ম। বলা হচ্ছে, তারা ড. ইউনূসের পদত্যাগ চান না। রিমেম্বার করিয়ে দিতে চান শুধু ডিসেম্বরে নির্বাচন। দ্রুত নির্বাচন হলে তা স্বচ্ছ-সুষ্ঠু হবে না—এ ধরনের মিঠাকথা আর শুনতে নারাজ। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনে বিএনপি শেষতক কতটা লাভবান হবে—এ জিজ্ঞাসা কিন্তু নিষ্পত্তিহীন থেকেই যাচ্ছে। তা রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতাকেও মাত্রা দিচ্ছে।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট, ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মসজিদে হারাম ও নববিতে আজ জুমা পড়াবেন যারা

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর প্রথম সামরিক মহড়ায় ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন ফাঁদ তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২২ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

শুক্রবারে মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ হয়?

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

২২ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রান্নায় সরিষার তেলে ঝুঁকি ও অসংক্রামক রোগ

১০

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারও দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩

১১

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ৫৮ শতাংশ মার্কিনি : রয়টার্স

১২

স্পেনের বাইরে লা লিগার ম্যাচ খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানালেন ফুটবলাররা

১৩

দুবাইয়ে যাওয়ার ৪ মাস পরই ৩ কোটির লটারি জিতলেন প্রবাসী

১৪

এনজো ফার্নান্দেজের মুখে রিয়াল মাদ্রিদের নাম, বাড়ছে গুঞ্জন

১৫

কেশবপুরে নারী সমাবেশ/ / ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি

১৬

সাভারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাসের শুভ উদ্বোধন

১৭

তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন : এ্যানি

১৮

দলবদলের বাজারে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর রেকর্ড ভাঙা খরচ

১৯

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

২০
X