ফিলিপ গাইন
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ০৭:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধারের ম্যালোড্রামা

মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধারের ম্যালোড্রামা
মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধারের ম্যালোড্রামা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা এক উৎসবমুখর পরিবেশে মধুপুর শালবনের লহরিয়া বিটে হরিণ প্রজনন কেন্দ্রে গত ২৫ মে ১০টি ময়ূর অবমুক্ত করেছেন, আপাতত একটি শেডের মধ্যে। কিছু কচ্ছপও ছেড়েছেন। শালবনে একসময় বিস্তর ময়ূর ছিল, ছিল বাঘ, হাতি, ভালুক, বানর-হনুমান ও শতাধিক প্রজাতির পাখি। কিছু বানর-হনুমান ও পাখি বাদে মধুপুর শালবনে আজ না আছে ময়ূর, না আছে বাঘ বা হাতি। সেসব বহু আগেই বিলীন হয়েছে।

উপদেষ্টা শালবনের আরেকটি জায়গায় কিছু শালগাছের চারাও রোপণ করেছেন। মধুপুর শালবনের আজ অধিকাংশ বিলীন হয়েছে। মধুপুর শালবনের বড় একটি জায়গায় প্রাকৃতিক বন কেটে রাবার চাষ করেছে গত সরকারগুলো আর ব্যবসায়ীরা [যাদের অধিকাংশ বহিরাগত] ব্যাপক কলা, আনারস, পেঁপে আর মসলার চাষ করছে শালবনের জায়গায়। শালবন ফিরিয়ে আনতেই বন কর্মকর্তা পরিবেষ্টিত হয়ে উপদেষ্টা শালের কিছু চারা রোপণ করেছেন। এর আগে শালবন ফিরিয়ে আনতে ২০০৭ সালে মধুপুরের কয়েক জায়গায় শালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। সে সময় হাজার পাঁচেক জমির কলাগাছও কাটা হয়েছিল। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, সেসব শালগাছের অধিকাংশ মারা গিয়েছিল। আর শালবন বিনাশ অব্যাহত থেকেছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক একটি উদ্যোগ হলো বনায়ন কর্মসূচিতে আকাশিয়া ও ইউক্যালিপটাস গাছ নিষিদ্ধ করা। গত ১৫ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হলো।’ ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া দুটোই বিদেশি প্রজাতি। ইউক্যালিপটাস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্থানীয় বৃক্ষ। এটির শিকড় মাটির অনেক গভীরে চলে যায় এবং মাটির গভীর থেকে পানি ও পুষ্টি গ্রহণ করে। গাছটি খুবই লম্বা হতে পারে এবং এর ওপরের অংশ খুব শক্ত। অস্ট্রেলিয়ার ছয়শোর অধিক প্রজাতির বৃক্ষটি সাড়ে তিন কোটি বছর আগে থেকে টিকে আছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তান আমলে গাছটি পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হয় মধুপুর সিলভিকালচার সেন্টারে। সম্ভবত আরও কিছু জায়গায়। মধুপুরে পাকিস্তান আমলে লাগানো কয়েকটি ইউক্যালিপটাস এখন বিশাল বৃক্ষ। এরপর আশির দশকে গাছটি উত্তরবঙ্গে কমিউনিটি ফরেস্ট্রি প্রজেক্টের আওতায় লাগানো হয়। পরে ১৯৮৯-৯০ সালে থানা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে থানা বনায়ন ও নার্সারি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মধুপুর শালবনসহ অন্যান্য জায়গার শালবন ও আরও অনেক জায়গায় সামাজিক বনায়নে আকাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্যালিপটাস লাগানো হয়। কিন্তু মূলত জ্বালানি কাঠ তৈরির লক্ষ্যে সামাজিক বনায়নের দ্বিতীয় আবর্তে গাছটি লাগানো সরকারিভাবে বন্ধ করা হয়। কিন্তু ততদিনে ইউক্যালিপটাস গাছ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় কাঠবৃক্ষে পরিণত হয়েছে।

সামাজিক বনায়নের দ্বিতীয় আবর্তে ফরেস্ট্রি সেক্টর প্রজেক্টের মূল বৃক্ষ আকাশিয়া। এটি আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় প্রজাতি। এ গাছটিও সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। এ গাছটি দ্রুত বাড়ে এবং এ গাছের কাঠ আসবাবপত্রের জন্য খুবই সমাদৃত। এখন প্রশ্ন হলো, বিদেশি এ গাছ দুটোকে আচমকা প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার বন্ধ করল কেন? বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন বিভাগের প্রায় সব নার্সারিতে প্রচুর আকাশিয়া গাছের চারা বড় হচ্ছে এ মৌসুমে লাগানোর জন্য। এমন পরিস্থিতিতে যে বিষয়গুলো সামনে আসা দরকার তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—বিদেশি ঋণদাতা সংস্থা ও তাদের নিয়োজিত পরামর্শকরা বাংলাদেশে বননীতি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তারাই বনায়ন প্রকল্পে অর্থ দিয়েছে এবং আগ্রাসী এ গাছ দুটো দিয়ে বনায়নে বাংলাদেশকে উদ্বুদ্ধ করেছে।

গত সাড়ে ‘চার’ দশক ধরে বন এলাকায় এবং দেশব্যাপী আকাশিয়া ও ইউক্যালিপটাস লাগানো হয়েছে। ১৯৭০ ও ১৯৮০’র দশকে সরকারি বননীতি ছিল—‘অনিয়মিত, ক্ষয়িত এবং কম উৎপাদনশীল বনের জায়গায় মাটি ও দেশের প্রয়োজন অনুসারে অধিকতর মূল্যবান এবং উৎপাদনশীল প্রজাতি দিয়ে, মানুষ সৃষ্ট বনায়ন।’ এমনই বলা হয়েছে ১৯৭৮-৭৯ থেকে ১৯৮৭-৮৮ সালের চট্টগ্রাম বিভাগের বনের জন্য ওয়ার্কিং প্ল্যানে। এরপর আমরা দেখলাম টাঙ্গাইল ও গাজীপুরের শালবনসহ অন্যান্য শালবন এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক বনের জায়গায় নির্বিচারে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়ার কৃত্রিম বনায়ন। আর চিংড়ি চাষ করতে গিয়ে লাখের অধিক হেক্টরের প্যারাবন কেটে ফেলা হয়। এতে ঋণদাতা বহুজাতিক সংস্থার বিশেষ ভূমিকা আছে। প্রকল্প সাহায্যের নামে এসব অর্থের একটা বড় অংশ গেছে বিদেশি পরামর্শক ও প্রতিষ্ঠানের পকেটে। কারণ এডিবি ও বিশ্বব্যাংক থেকে বাংলাদেশ যে প্রকল্প সাহায্য পেয়েছে, তা মূলত সহজ শর্তে ঋণ। কিন্তু সে ঋণের অর্থ নিজেদের মতো করে ব্যবহারের পূর্ণ স্বাধীনতা বাংলাদেশের কখনো ছিল না। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নৈতিক ও নীতি বিপর্যয়। আর যে নীতি বিপর্যয়ের জন্য আমাদের প্রাকৃতিক বন কেটে বিদেশি প্রজাতি দিয়ে সামাজিক ও বাণিজ্যিক বনায়ন করা হয়েছে, তার জন্য যারা সবচেয়ে বেশি দায়ী তারা বর্তমান আলোচনায় নেই।

মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর উৎসবের আমেজ তৈরি করে যেন বলতে চাইছে তাদের ভুল হয়েছে, তাই তারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া নিষিদ্ধ করছে। বিষয়টি কি এতই সহজ? অতীতে সামরিক শাসক এবং সরকারগুলো বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং অন্য দাতাদের কাছ থেকে প্রকল্প সাহায্য নিয়ে বন যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা ঘটেছে ভুল নীতি ও বিনিয়োগ কৌশলের জন্য। অন্তর্বর্তী সরকার যদি এসবের সমাধান করতে চায় তবে প্রথমেই সমস্যার শিকড়ে যেতে হবে এবং বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও অন্য যাদের পরামর্শে আমাদের সরকারগুলো ভুল বননীতি ও ভুল বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ করছে, তার একটি নিরপেক্ষ মূল্যায়ন হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার কি সেটি করবে? বন নিয়ে ৪০ বছর ধরে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি যা বুঝেছি তা হলো এডিবি, বিশ্বব্যাংক, অন্যান্য দাতা সংস্থা এবং আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বন অধিদপ্তর তারা সবাই মিলে আমাদের প্রাকৃতিক বনের যে ক্ষতি করেছে, তার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করার মতো। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশে ও এশিয়ার বন খাতে সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অর্থায়নে বনায়ন প্রকল্প প্রাকৃতিক বনে যে বিপর্যয় ঘটিয়েছে, এডিবির সিদ্ধান্ত তারই ইঙ্গিত বহন করে। বিশ্বব্যাংকও বন খাত থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাংক বন খাতে এযাবৎকালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বন প্রকল্প, সাসটেইনেবল ফরেস্টস অ্যান্ড লাইভলিহুডস বা সুফল-এ ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৭০০ কোটির মতো টাকা দিয়েছে। প্রকল্পটি এ বছর জুন মাসে শেষ হচ্ছে। প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় কম্পোনেন্ট ছিল ৮৮.৭৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্ষয়িষ্ণু বন এবং উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী পুনরুদ্ধার ও মাঠপর্যায়ে অবকাঠামোর সংস্কার। বিশ্বব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন বন পুনরুদ্ধারের জন্য যে গাছ লাগানো হয়েছে, তার ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেঁচে আছে। বন পুনরুদ্ধারের নমুনা দেখতে আমি টাঙ্গাইল ও গাজীপুরের অনেক সুফল প্লট দেখেছি। শালবনের তলা পরিষ্কার করে বেতসহ যেসব গাছ লাগানো হয়েছে, তার অধিকাংশ হয় মারা গেছে বা সেগুলো বড় হচ্ছে না। কারণ গাছের ছায়ায় গাছ বড় হয় না। কোনো কোনো জায়গায় এলাকাবাসী জানিয়েছে, সুফল প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বনের ক্ষতি হয়েছে। অথচ দাবি করা হচ্ছে, প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর (২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯০ একর) বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এটি বিভ্রান্তিকর।

আমি অনেকভাবে বিশ্বব্যাংক ও বন বিভাগের কাছে সুফল প্রকল্পের অন্তর্বর্তীকালীন মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য দরকারি তথ্যের জন্য ধরনা দিয়েছি। কিন্তু পাইনি। বন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিশেষ কোনো তথ্য নেই সুফল প্রকল্প সম্পর্কে। গণমাধ্যম সরবরাহ করা তথ্য প্রচার করেছে। তাহলে কি যাদের প্রকল্প সাহায্যে আমাদের প্রাকৃতিক বন তছনছ হয়ে গেল, তাদের আড়াল করা হচ্ছে?

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী বন ও পরিবেশের নানা জায়গায় বড় বড় বিপর্যয় ঘটেছে। অথচ আমাদের পরিবেশ আদালত, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং অন্য যাদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা আছে তারা তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করছে এমন নজির বিরল। আমাদের হাইকোর্ট রিট পিটিশনের অনুকূলে রায় দেন, যার বাস্তবায়ন প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের অনেক পরিবেশ আইন ও বন আইন আছে, যা নিয়মিত লঙ্ঘিত হচ্ছে।

বনবিনাশ কেবল মধুপুর শালবনে হয়নি। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর শালবনসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় নজিরবিহীন বনবিনাশ ঘটেছে। আর এসবের অন্যতম কারণ ঔপনিবেশিক শাসনামলে গড়ে তোলা বন ব্যবস্থাপনার কাঠামো, ঔপনিবেশিক বন আইন এবং বিদেশি প্রজাতি দিয়ে বনায়ন। এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় বন আইন, বন ব্যবস্থাপনা ও বনায়নে সত্যিকারের সংস্কার করতে পারত। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় একটি সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিতে পারত। তাতে যাদের অর্থে ও পরামর্শে আমাদের বনের আজ এমন জীর্ণদশা তাদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক অবস্থান নিতে পারতাম। আমরা বন আইন, বননীতি, বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থার অর্থে বনায়ন প্রকল্পের ব্যাপারে এবং আমাদের অবশিষ্ট প্রাকৃতিক বনের সুরক্ষার প্রশ্নে হয়তো একটা সঠিক পথনকশা পেতাম।

লেখক: গবেষক ও পরিচালক, সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান মিলে কোনো জোট হচ্ছে না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অযোগ্য নেতৃত্বে দায়িত্বশীলতা আশা করা বোকামি : জবি ছাত্রশিবির সভাপতির প্রতিবাদ

ইরানে ব্যবহৃত বাঙ্কার বোমা পরীক্ষার ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান

শেখ হাসিনা পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রেস সচিব

৮ আগস্ট বিপ্লব বেহাত হওয়ার দিবস : জুলাই ঐক্য

ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যার চেষ্টা শ্রমিকদল নেতার

মিথ্যা মামলা-গ্রেপ্তার কমাতে সরকারের উদ্যোগ

বিএসপির মহাসচিব আব্দুল আজিজের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

১০

ইসরায়েলি গুপ্তচর ছাড়াও যারা ইরানকে ঘায়েল করছে

১১

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

১২

যে মন্দকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই ভালো মানুষ হয় : আবদুস সালাম 

১৩

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পানি, মাস্ক ও কলম দিলেন বিএনপি নেতা

১৪

প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা দেখেন কলেজ বন্ধ

১৫

বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ আয়োজনে নেপালে হতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ক্যাম্প

১৬

‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না’

১৭

‘কঠিন দিন’ পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ

১৮

গত তিন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত

১৯

বিএনপি মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায় : আমিনুল হক

২০
X