মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এ কথা সে কথা

জুলাই ঘোষণাপত্র: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

জুলাই ঘোষণাপত্র: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এ ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত সে অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের সব টিভি চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় আগতদের ঘোষণাপত্র শুনতে দেখা গেছে। এজন্য সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আনতে বাংলাদেশ রেলওয়ের আট জোড়া ট্রেন ভাড়া করা হয়েছিল। যেজন্য সরকারকে খরচ করতে হয়েছে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। যেখানে দেশবাসী টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠানটি দেখেছে, সেখানে এ বাহুল্য খরচ কতটা যুক্তিসংগত হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ খরচ বহন করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। টাকার অঙ্কে তা খুব বড় না হলেও প্রয়োজনীয়তার বিচারে তা অবশ্যই বাহুল্য। ইচ্ছে করলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে রেডিও-টেলিভিশনে সরাসরি তা সম্প্রচার করা যেত। তা না করে জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন খোলা চত্বরে তা উপস্থাপনের যৌক্তিকতা অনেকেরই বোধগম্য হয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে, অন্তর্বর্তী সরকার কি তাদের প্রতি জনসমর্থন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই এটা করেছে; যেমনটি করে থাকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো? সাধারণত সমাবেশে লোকসমাগম দেখিয়ে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক দলগুলো বাস-ট্রাক ভাড়া করে বস্তিবাসী কিংবা গ্রামের মানুষদের রাজধানীতে এনে থাকে। এ ক্ষেত্রে নাকি একটি সাপ্লাই চেইনও আছে; যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট রেটে লোক সাপ্লাই দেয়। যারা ভাড়ায় আসে, তারা অনেক সময় জানেও না, কেন তাদের আনা হয়েছে। কিন্তু জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন তো সেরকম কিছু ছিল না। এটা ছিল একটি বৈপ্লবিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাতীয় আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের রূপরেখা উপস্থাপন। এখানে লোকসমাগম বাড়িয়ে দেখানোর কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না। সবচেয়ে অবাক কাণ্ড হলো, সরকার যখন ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে লোক এনে জড়ো করেছে, তখন এ ঘোষণাপত্রের মূল দাবিদারদের পাঁচজন রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন সুদূর সমুদ্রপাড়ে। তাদের এই পৃষ্ঠ প্রদর্শনের কোনো কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কেউ কেউ বলছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ‘মনমতো’ না হওয়ায় তারা গোস্বা করে দূরে সরে গেছেন। এখন তাদের মান ভাঙাতে ড. ইউনূস কী পদক্ষেপ নেন, সেটা দেখার বিষয়। তবে সংগঠনকে না জানিয়ে এভাবে দল বেঁধে শ্রান্তি বিনোদনে যাওয়ায় তাদের সংগঠন এনসিপি গত ৭ আগস্ট পাঁচজনকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছে। সংগঠনকে অবহিত না করে কক্সবাজার গমনের কারণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে তাদের।

এদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনার বিষয় জুলাই ঘোষণাপত্র। ২৮ দফা সংবলিত ওই ঘোষণাপত্রের প্রথম ২১ দফায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের বর্ণনা ও পরের সাতটি দফায় আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে। যদিও ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, সংস্কারকৃত সংবিধানের তপশিলে জুলাই ঘোষণাপত্র সংযুক্ত করা হবে। ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের পর নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়ায় বিএনপিকে অনেকটাই উৎফুল্ল মনে হচ্ছে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মনমরা ভাব দৃষ্টি এড়ায়নি কারও। জামায়াত মনঃক্ষুণ্ন এ কারণে যে, তাদের দাবি ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক তাদের নেতাদের বিচার ও ফাঁসিকে হত্যা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির। কিন্তু সেটা করা হয়নি।

অন্যদিকে ঘোষণাপত্রে গণঅভ্যুত্থানকে জনগণের সার্বভৌম প্রত্যয়ের রাজনৈতিক ও আইনি প্রয়োগ হিসেবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের ১০৬ ধারা মোতাবেক গঠিত উল্লেখ করে একে সাংবিধানিক সরকার বলা হয়েছে। এটাও জামায়াত-এনসিপির মনঃপূত হয়নি। কেননা, তারা চেয়েছিল ‘বিপ্লবী সরকার’ না হলেও জাতীয় সরকার, কিন্তু সাংবিধানিক সরকার নয়। এ ছাড়া ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, সংবিধানের যাবতীয় সংশোধন করবে নির্বাচিত সংসদ। ফলে জামায়াত-এনসিপির প্রধান দাবি পিআর পদ্ধতিতে আগামী সংসদ নির্বাচন স্বপ্নই রয়ে যাচ্ছে।

ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের পর তা নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে একটি ঐতিহাসিক দলিল বলে অভিহিত করেছেন। আবার অনেকেই এর ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করছেন। কেউ কেউ এ ঘোষণা আদৌ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন। এ সম্পর্কে গত ৭ আগস্ট কালবেলার প্রতিবেদনে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার অভিমত তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠকে জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের প্রয়াসে বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে ঘোষণাপত্র পাঠের দিন (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ঘোষণাপত্রে তারা সন্তুষ্ট। তারা যেটা চাননি সেটাও ঘোষণাপত্রে রয়েছে। অর্থাৎ বিএনপি আশাতিরিক্ত পেয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। উল্লেখ্য, বিএনপির দাবি ছিল ঘোষণাপত্রের শুরু করতে হবে ‘একাত্তরের ২৬ মার্চ’ দিয়ে এবং ‘পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরকে’ স্বীকৃতি দিতে হবে। এ দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত হওয়াকে বিএনপি তাদের বড় অর্জন বলে মনে করছে। তা ছাড়া তাদের আরেকটি দাবি ছিল ঘোষণাপত্রকে মূল সংবিধানে নয়, অন্তর্ভুক্ত করতে হবে তপশিলে। প্রধান উপদেষ্টা সে কথাই ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র কেন্দ্র করে যে প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল, তা পূরণ না হওয়ায় জনগণের মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।’ এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ঘোষণাপত্রে ১৯৪৭-কে উল্লেখ না করায় ক্ষুব্ধ। এ ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর-গণহত্যাসহ অনেক বিষয়ের উল্লেখ না থাকায় অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু তাদের ‘আগে জানানো হয়নি’ উল্লেখ করে বলেছেন, আগে না জানিয়ে তাদের উপস্থিত করে তা উত্থাপন করায় তারা বিব্রত হয়েছেন।

এদিকে কথা উঠেছে, ঘোষণাপত্রে আমাদের জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তা যথাযথ হয়েছে কি না। ঘোষণাপত্রে প্রথম দফায় বলা হয়েছে, ‘যেহেতু উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের সুদীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় এ ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল’—(কালবেলা, ৬ আগস্ট ২০২৫)। এখানে একটি স্বস্তির বিষয় রয়েছে। ২০২৪-এর ৫ আগস্টের পর একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছিল। তারা ১৯৪৭ থেকে দীর্ঘ ২৩ বছর বাংলাদেশের মানুষের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতন ও একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার ঘটনাকে প্রকারান্তরে অস্বীকার করার প্রয়াস পায়। শুধু তাই নয়, তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিছক ‘একটি গণ্ডগোল’ হিসেবে চিহ্নিত করে এর মহিমাকে ম্লান করার অপচেষ্টা করেছিল। জুলাই ঘোষণাপত্র কিছুটা হলেও সে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে একটি দলিল হয়ে থাকবে। তবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কীভাবে এলো তার কোনো উল্লেখ নেই ঘোষণাপত্রে। বস্তুত ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় এবং তৎপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি বাঙালি জাতিকে চরম বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। সেই বিক্ষুব্ধতার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটেছিল ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমানের বিদ্রোহ ও মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে। লক্ষণীয় হলো, ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চকে এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেন তার আগে এ জনপদে আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। অথচ ২৬ মার্চ যে সুদীর্ঘকালের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত আগ্নেয়গিরির লাভা উদ্‌গিরণ করেছিল, সে সত্য কি এড়িয়ে যাওয়া যাবে? তা ছাড়া সে আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় দিশারি হিসেবে এ জাতিকে পথ দেখিয়েছেন অনেক প্রাতঃস্মরণীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তারা যে মুক্ত গণতন্ত্র ও সাম্যের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন, তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অন্যতম ধাপ ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ সে অবদানের কথা উল্লেখ করা ছিল অবশ্যকর্তব্য। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ বরেণ্য নেতা আমাদের পথপ্রদর্শক। জাতির এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা ছিল কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু তা করা হয়নি। এটা ইতিহাসের নায়কদের অবজ্ঞা করার প্রয়াস কি না, অবশ্য নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তবে ঘোষণাপত্রের প্রণেতারা হয়তো ইচ্ছে করেই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেছেন। আমার বিবেচনায় এটা জুলাই ঘোষণাপত্রের অন্যতম একটি ত্রুটি। কেননা, জাতির উদ্দেশে সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের ভাষণের শুরুতেই বাংলাদেশ নামের এ জাতি-রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্বদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো রেওয়াজে পরিণত রয়েছে। যদিও পতিত ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনা সে রেওয়াজের ব্যত্যয় ঘটিয়ে শুধু নিজের পিতাকেই ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ’ বলে জাহির করার কোশেশ করতেন। আমরা তো সে খারাপ দৃষ্টান্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আর একমাত্র ঐতিহাসিক সত্যকে অকুণ্ঠচিত্তে স্বীকার করেই তা সম্ভব।

ঘোষণাপত্রের শেষ দফায় বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এ ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো।’ এটা অস্বীকার করা যাবে না, ফ্যাসিবাদী শাসনের নিগড় থেকে জাতিকে মুক্ত করার আশা নিয়েই জুলাই আন্দোলনে এ দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। তাদের সে আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছার ওপর। তারা যদি দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রকে জনগণের মালিকায় ফিরিয়ে দিতে পারেন, তাহলেই জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে। সেইসঙ্গে জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলানো সম্ভব হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য পরামর্শ / নতুন আতঙ্কের নাম জিকা ভাইরাস

এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে না, যদি…

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক শুরু, যুদ্ধ বন্ধের প্রত্যাশা

‘সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ’

বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি ঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

সাদা পাথর লুটের ঘটনায় ১৫০০ জনের নামে মামলা

‘জামায়াত এখন মধু খাচ্ছে তাই নির্বাচন চায় না’

মহাসড়ক যেন মৃত্যুকূপ, পিছু ছাড়ে না দুর্ঘটনা

সাড়ে ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি, খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র

চট্টগ্রাম-ঢাকায় পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু শনিবার

১০

বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক : মোস্তাফিজুর রহমান

১১

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো ৯৮ বাংলাদেশিকে

১২

যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের হুমকিতে

১৩

ডাকসুতে ছাত্রদলের যারা প্রার্থী হতে পারেন

১৪

মামলা প্রত্যাহারসহ দুই ওসির অপসারণ দাবি

১৫

‘স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে বাধায় রবীন্দ্রবিরোধী চক্র জড়িত’

১৬

দেশ অস্থিতিশীল করে তৃতীয় শক্তিকে আনতে চায় একটি চক্র : খায়রুল কবির খোকন

১৭

জামায়াতে ইসলামী সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করে : ডা. তাহের

১৮

৫০ হাজার টাকার জালনোটসহ চক্রের দুই সদস্য আটক

১৯

‘শেখ মুজিবের আদর্শ পালন মানে বাকশাল কায়েম’

২০
X