মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকায় ভোটের তোড়: দিল্লিতে মার্কিনি শুল্ক ঝড়

ঢাকায় ভোটের তোড়: দিল্লিতে মার্কিনি শুল্ক ঝড়

ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচনের বার্তায় বাংলাদেশে ভোটের হুইসেল বাজিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস নিজেই। এখন সেখানে যোগ হয়েছে সড়কচিত্র, রোডম্যাপ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে। নির্বাচন নিয়ে দুই ডজন পরিকল্পনাও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচনকালে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব থাকছে যথারীতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে। নির্বাচনের আগে, সেপ্টেম্বরেই নতুন রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করবে ইসি। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত গেজেট আর জিআইএস ম্যাপও প্রকাশ করা হবে সেপ্টেম্বরে। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে অক্টোবরে। আর দেশীয় পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর। কারাবন্দিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ভোটের দুই সপ্তাহ আগে ব্যালট পৌঁছে দেওয়া ২৪ পরিকল্পনার একটি।

পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণসহ সব কাজ সময়মতোই শেষ করার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের এই প্রস্তুতি ও রোডম্যাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটু নড়াচড়া আসাই স্বাভাবিক। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইসিঘোষিত রোডম্যাপে সন্তোষ জানিয়েছে দেশের বড় দল বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের অবস্থান জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিছু ‘যদি-তবে-কিন্তু’ যোগ করে আধাআধি সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামীও। গণমাধ্যমে দলটির পক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তার মতে, নির্বাচন পদ্ধতি ও সংস্কার নিয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সন্নিবেশিত করে রোডম্যাপ ঘোষণা করলে ভালো হতো। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কিছু শঙ্কা রয়েছে তার। এ প্রতিক্রিয়ার আগে, জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে দেশে নতুন ষড়যন্ত্র চলছে। সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হওয়ার আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারও করেন।

জুলাই আন্দোলনের ফ্রন্টফিগার শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির প্রতিক্রিয়াও জামায়াত ধাঁচের। জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার আগেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ বলেছেন এনসিপি নেতারা। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর ‘তবে’ যোগ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির নেতারা বলেন, এরপরও এনসিপি নির্বাচনের রোডম্যাপকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চায়। নির্বাচনের আগে, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চান তারা। তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গণমানুষের অন্যতম দাবি ছিল গণহত্যার বিচার ও সংস্কার। কিন্তু তা চূড়ান্ত না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করতে পারে। ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এনসিপি। এ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন জেলার ২৭টি উপজেলায় তারা উঠান বৈঠক করবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের তোড়জোড়ও ব্যাপক। তা জাকসু-চাকসু-রাকসুতেও। এর মধ্যেই ডাকসু নির্বাচনে সেনাসদস্য মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই—এ তথ্য জানানো হয়েছে বাহিনীটির পক্ষ থেকে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দিন বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত প্রচারিত সংবাদে আপত্তি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। সেনাবাহিনী মনে করে, আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে।

বাংলাদেশের নির্বাচনে দেশের রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনীর পর ভারত বরাবরই প্রাসঙ্গিক এবং ব্যাপক আলোচিত। ভারত কাকে কীভাবে চায়, এ-সংক্রান্ত গসিপ চলে সমানে। এবার এখন পর্যন্ত ভারত বেশি আলোচিত সরকারকে ডিস্টার্ব করা ও আওয়ামী লীগের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে। সেইসঙ্গে মার্কিনি বাড়তি শুল্কারোপে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশের অস্বাভাবিক ও নজিরবিহীন শুল্ক আরোপের তোড়ে ভারত এরই মধ্যে কাবু হয়ে পড়েছে। ভারতের অর্থনীতি এতদিন বিশ্ববাজারের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত থেকে যে সুবিধা ভোগ করে এসেছে, নতুন শুল্কের কারণে বেশ চাপে-তাপে। যদিও মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ভারতের সঙ্গে তার দেশের এ শুল্কযুদ্ধকে সাময়িক বলে বার্তা দিয়েছেন। ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। কিছুদিনের মধ্যেই এ ল্যাঠা মিটে যেতে পারে।

এমন আশাবাদ সত্ত্বেও ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা করেছেন, তা ভারতের কাছে ‘ওয়েক আপ কল’ বা ঘুম থেকে জেগে ওঠার বার্তা। ভারতের আর কখনো কোনো এক দেশের প্রতি অতিনির্ভর হওয়া উচিত হবে না বলে মত তার। সর্বভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রঘুরাম রাজন বলেন, আজকের ভূরাজনীতিতে বাণিজ্য ও লগ্নির মতো অর্থনৈতিক বিষয় আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের কাছে এ শুল্কযুদ্ধ তাই ঘুম ভাঙানোর ঘণ্টি। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের মতো ভারত সরকারের একাংশও মনে করে, ভারতের প্রতি ট্রাম্পের এ শুল্কারোপ সাময়িক। জটিলতা কাটাতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। সাময়িক অসুবিধা সৃষ্টি হলেও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ শিগগিরই খুলে যাবে বলে ধারণা তাদের। ধারণাটি কারও কারও বিশ্বাসের পর্যায়ে। শঙ্কা দূর করতে এরই মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে মোদি সরকার। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পকে কিছুটা স্বস্তি দিতে কেন্দ্রীয় সরকার তুলার আমদানি শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৮ আগস্ট সরকারিভাবে ওই ছাড় দেওয়ার কথা জানানো হয়। মেয়াদ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সেই মেয়াদ এরই মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে রপ্তানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। ভারত ২০২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ কোটি ডলারের বেশি বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি করেছিল। ২০২৫ সালে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের মতো। ভারতের গহনা রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজারও যুক্তরাষ্ট্র। রাজস্থানের জয়পুর হলো গহনা রপ্তানির সবচেয়ে বড় কেন্দ্র। শুধু এখান থেকেই বছরে গহনা রপ্তানি হয় ১৮ হাজার কোটি রুপি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার কোটি রুপি। বড়দিনের বরাত পাওয়ার সময় এখনই। কিন্তু এখনো যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অর্ডার না আসায় ভারতের শীর্ষস্থানীয় জুয়েলারি রপ্তানিকারকরা উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন পণ্যের নতুন বাজার ধরতে ভারত এখন যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধের প্রায় ৪০টি দেশ টার্গেট করেছে।

১৯৭১-৭২ সালের ইন্দিরা গান্ধীর পর ভারতীয় কোনো নেতা খুব কমই এমন সংকটময় অবস্থায় পড়েছেন। এবার রাশিয়া থেকে একতরফা তেল কেনার জের ধরেই ভারতের ওপর ট্রাম্পের এ শুল্ক খড়গ। এ ছাড়া ভারত-রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এখন এক নতুন গুণগত পর্যায়ে প্রবেশ করছে। এ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারত, রাশিয়া ও চীনসহ আরও ২০ দেশের নেতারা। ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী থিয়েনচিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশনের শীর্ষ সম্মেলনে হতে পারে বৈঠকটি। এ সময় মস্কো, বেইজিং ও নয়াদিল্লির ত্রিপক্ষীয় আলোচনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে এটিই চীনে প্রথম সফর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার, বাণিজ্যিক ছাড় এবং ভিসানীতি সহজীকরণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এ বৈঠকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া, কূটনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা। গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হাতিয়ার করে বিশ্ববাণিজ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শক্তি জানান দিতেই এক হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। বৈশ্বিক দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর অর্থনীতি, নিরাপত্তার দারুণ দৃষ্টান্ত হতে চলেছে এ বৈঠক, মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা দ্য চায়না-গ্লোবাল সাউথ প্রজেক্টের প্রধান সম্পাদক এরিক ওলান্ডার।

ভারতের উন্নতি অনেকটাই পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফল। ১৯৯১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থনৈতিক সাফল্যের বড় কারণ ছিল পশ্চিমা দেশগুলোর প্রযুক্তি, ব্যবসায়িক সংযোগ ও বিনিয়োগ। এ সময় পশ্চিমা দেশগুলোয় ভারতীয় প্রবাসীদের সংখ্যা বেড়েছে আর তাদের প্রভাবও অনেক বেশি হয়েছে। ভারতও পশ্চিমাদের প্রযুক্তি আর ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। সেখানে এখন বড় রকমের ভিন্নতা। তার ওপর ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে ভারত ক্ষেপিয়ে রেখেছে প্রতিবেশী, আশপাশের দেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশকে। এর মধ্যেই ট্রাম্পের শুল্কনীতি দিয়েছে আরেক ধাক্কা। তা ভারতকে অপ্রত্যাশিত কিছু সুবিধা দিতে পারে বলে সমীকরণ রয়েছে কারও কারও। ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বহুজাতিক কিছু কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের ব্যবসা সরিয়ে অন্য দেশে বৈচিত্র্য আনতে চাইবে। এ পরিবর্তন থেকে ভারত বড় লাভবান হতেও পারে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করলে ভারতের আবার দীর্ঘমেয়াদে বেনিফিশিয়ারি হওয়ার হিসাব-নিকাশ কষছেন অনেক গণিতবিদ-অর্থনীতিবিদ। বিজেপি ঘরানার অর্থনীতিকদের আশা, মোদির বেছে নেওয়া নতুন পথ ভারতের ঘরোয়া রাজনীতিকে আরও সংহত করবে। চীনের সঙ্গেও খাতির বাড়াতে শুরু করেছে ভারত। দুর্লভ খনিজে চীনের আধিপত্য দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জন্য একটি কাঠামোগত দুর্বলতা হিসেবে রয়ে গেছে। দেশটি এখন সেই দুর্বলতা কৌশলগত সুবিধায় রূপ দিচ্ছে। সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর ভারত সফরে বেইজিং ভারতের বিরল খনিজের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ঘোষণা এসেছে নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা সম্মেলন ও এ বছরের শেষদিকে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের আগে।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট

ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফাইনালে হারের পর সুয়ারেজের বিতর্কিত কাণ্ড!

হাত-পায়ের ৫ লক্ষণে বুঝে নিন লিভারে সমস্যা ভুগছেন কি না

হাসি, বিনা মূল্যের থেরাপি : তিশা

হল ছাড়ছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা, আন্দোলনের ঘোষণা একাংশের

ভিসা নিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কঠোর বার্তা

গোলের বদলে ডিম! পাখির কারণে মাঠছাড়া ফুটবলাররা

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত বেড়ে ২৫০

নিজেদের অজান্তেই গাজায় বড় সফলতা পেল ইসরায়েল

সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক দুপুরে

ইন্দোনেশিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারমুখী অবস্থান, আন্দোলনে নতুন মোড়

১০

প্রিন্স মামুনের সেলুন কেনা নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

১১

দুপুরের মধ্যে ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১২

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৩

আফগানিস্তানে কেন বারবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানছে

১৪

সাদাপাথরে যে সৌন্দর্য ফিরবে না আর

১৫

আগস্টের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স আসেনি ৯ ব্যাংকে

১৬

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে ঢাকা

১৭

মাথায় টাক পড়ছে? ৫ অসুখের লক্ষণ হতে পারে চুল পড়া

১৮

৪৭তম ট্রফি জেতা হলো না মেসির, ফাইনালে মায়ামির লজ্জার হার

১৯

১৩০ বছরের ‘জিয়া বাড়ি’ আজও অবহেলিত

২০
X