কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গর্জন বর্জনে ডাকসু-জাকসুতে অর্জন বিসর্জন

মোস্তফা কামাল
গর্জন বর্জনে ডাকসু-জাকসুতে অর্জন বিসর্জন

ডাকসু-জাকসুর পর রাকসু বা চাকসুসহ অন্যান্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের জন্য উৎসুক হিসেবে তেমন অপেক্ষা না করলেও চলে। আলামত অনেক কিছু বলে দিচ্ছে। দেশের বৃহৎ দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডাকসু-জাকসুতে হেরেছে। বিএনপির রাজপথের আন্দোলনের সারথি জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রশাখা শিবির কৌশল ও প্রস্তুতির বরকতে অবিশ্বাস্য বাজিমাত করেছে। সংক্ষেপে এটাই বাস্তবতা। আর বাস্তবতা না মেনে তর্জন, গর্জন প্রকারান্তরে অর্জন আনে না। বিসর্জনকে আমন্ত্রণ করে। এর ব্যতিক্রমের নজির নেই।

ডাকসুতে ছাত্রদল ফল বর্জন করেছে। জাকসুতে নির্বাচনই বর্জন করেছে। না বুঝে বা কোনো সমীকরণ ছাড়া তা করেনি। সামনে কিছু অর্জনের আশায়ই করেছে। কেউ জয়ের হুজুগে বা কেউ পরাজয়ের শোকে বেহুঁশ হয়ে পড়লে বাস্তবতা বোঝার মুরদও হারিয়ে যায়। আলগা হাইপ বা ফ্যানাটিক প্রবণতা দুটোই বিপজ্জনক। জামায়াত-শিবির সন্দেহে পিটিয়ে মারাকে আওয়ামী লীগ জমানায় একটা সময় বৈধতা দিয়ে কালচারে পরিণত করা হয়েছিল। বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গনে শিবিরকে একটা গালি তথা অচ্ছুত নামাবলিতে এনে ঠেকানো হয়েছে। সেই শিবির এখন ট্যাকটিকসের বিজয় হাসিল করেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ছিল বড় দল বিএনপির রাজনৈতিক পুঁজি। এখন বিএনপির অদক্ষতা জামায়াতের কাছে পুঁজি। তা ট্যাকটিকসের বিজয় দিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক চূড়ান্ত বিজয় কি নিশ্চিত করছে?

বাংলাদেশে বয়ানের রাজনীতি আর খাটছে না। এ মেসেজ পরিষ্কার। মতের সঙ্গে একমত না হলে ট্যাগ দিয়ে ফ্রেমিং, শেমিং, বুলিং করার দিন আপাতত শেষ। মিস ফায়ারে কিছু হাসিলের নমুনাও নেই। একক ব্যক্তিকে নিয়ে হাইপ বা কাল্ট তৈরিও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। যারা জিতেছে, হেরেছে, তারা কেউ কারও চেয়ে বেশি ছোট বা অতি বড় ভাবলে মস্ত ভুল হবে। তাই ডাকসুতে শিবির জিতেছে বলে ছাত্রদল বা পরাজিত অন্যদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, ভাবার অবকাশ নেই। জামায়াত-শিবিরের অনেক অর্জন হয়ে গেছে আর কখনো খরায় পড়বে না—এমন সন্তুষ্টিতে পড়লে পরেরবারসহ অনাগত দিনে শিবিরের হারাবার অনেক উপাদান যোগ হবে। তাদের রাজনৈতিক-ধর্মতাত্ত্বিক-মতাদর্শিক লড়াই দিয়ে পরাস্ত করার শক্তি বিএনপিসহ আরও অনেকেরই আছে।

আগামী এক বছরের মধ্যেই ঢাবি-জাবির ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি করে দেখবে শিবিরকে। অনুভবে যোগ হবে অনেক কিছু। কোনো কৃতকর্মই ফেলনা যায় না। কোনো কথা চাপাও থাকে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই কবে থেকে ছাত্রদলসহ তার দলের নেতাকর্মীদের অবিরাম বলে আসছেন, সামনে খুব কঠিন দিন আসছে। রাজনীতি জটিল হয়ে আসছে। জনপ্রিয়তার আত্মতুষ্টিতে না ভুগে মানুষের ঘনিষ্ঠ হতে। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে মিশতে। তাদের পালস বুঝতে। তারা শুনেছেন, আমল দিয়েছেন তার সেই তাগিদে? বরং ৫ আগস্টের পর বিএনপি বাসস্ট্যান্ড, বাসমালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, রেজিস্ট্রি অফিস, হাট-বাজার দখলের মতো কাঁচা পয়সার দিকে ঝুঁকেছে বলে প্রচারিত। অন্যদিকে জামায়াত মাথা ঢুকিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, কলেজের প্রিন্সিপাল, প্রশাসন, ব্যাংক-বীমা, এমনকি যতটা সম্ভব বিচার বিভাগেও। সেইসঙ্গে ঘনিষ্ঠতা পোক্ত করেছে ছাত্রসহ তারুণ্যের সঙ্গে। বিশেষ করে ছাত্রীদের সঙ্গেও, যাদের মধ্যে শিবির ফোবিয়া ছিল বরাবরই।

ডাকসু-জাকসু নির্বাচন সেখানে একটি বড় বার্তা দিয়েছে। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মানসিকতার জানান হয়েছে আরেকবার। মাঠেঘাটের চালচলন, কথাবার্তা, রাজনৈতিক বক্তৃতা থেকে শুরু করে, আচরণগত পরিবর্তন না আসলে সামনে কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে। জুলাই-আগস্টের হাসিনা তাড়ানো বিপ্লব মানুষকে ক্ষমতাবান করেছে। কেউ হাসিনা হতে চাইলে মানুষ তাকেও তাড়িয়ে দেবে। ধমক, অরুচিকর বক্তব্য, দখল-চাঁদাবাজিকে মানুষ কত ঘৃণা করে, তা বারবার বলতে হয়? আপনি-আমি কী চাই, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলেন কি না। ভোট দিয়ে তারা যাকে নির্বাচন করবেন, সেই ফল মেনে নেওয়ার রেওয়াজ তৈরির এ সময়টা হেলায় হারালে গর্জন, তর্জন, বর্জনই নয়; সামনে বিসর্জনের নয়া পর্ব যে শুরু হবে না, কে জানে।

পরাজিতদের কাছে ফল অনাকাঙ্ক্ষিত-অপ্রত্যাশিত হওয়া স্বাভাবিক। তাই বলে ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে উত্থাপিত অভিযোগ ও অনিয়মগুলো অগ্রাহ্য করা বা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত। অবশ্যই নির্বাচন আরও সুন্দর হতে পারত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচন প্রশ্নে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটের এ রিহার্সালে জাতীয় রাজনীতির জন্য বার্তা দেওয়া যেত। আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান নেতৃত্ব শূন্যতার বড় কারণের একটি মনে করা হয় ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অনুপস্থিতিকে। নির্বাচনে কেউ হারবে, কেউ জিতবে। যারা হারবে তারাও জিততে জিততেই হারবে। হেরে যাওয়া মানেই হারিয়ে যাওয়া নয়। এসব ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিতরা আগামীর জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নেবে।

এ প্রজন্ম দুর্বৃত্তায়িত ও চাঁদাবাজির রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে এবং পরিবর্তনের দাবি তুলছে, তা সবখানেই। অতীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাঁড়ানোর সাহস পেত না, কিন্তু এখন দাঁড়াচ্ছে—এটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত। এখন আর বিশাল জনসভা নয়, বরং সাইবার প্রচারণা ও নতুন প্রজন্মের ভাবনায় রাজনীতি গড়ে উঠছে। এ প্রজন্ম প্রচলিত সংস্কৃতি—বড় ভাইদের সালাম, প্রটোকল বা দখলদারির রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বুঝেছে, রাজনীতি মানে আন্তরিকতা, সংগ্রাম ও অঙ্গীকার; এটি লুটপাট বা ক্ষমতার শর্টকাট রাস্তা নয়। জিতলে শিক্ষার্থীদের জন্য কী কী করবে, তা ইশতেহার আকারে প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরাও আলাদাভাবে ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। এগুলো ভালো চর্চা।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোর ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রার্থীদের দেওয়া অঙ্গীকারগুলো বিশ্লেষণ করার মতো। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের এ ডামাডোলের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড়ও ব্যাপক। সেখানে যোগ হচ্ছে নানা ঘটনা। মাঠের চিত্রেও কিছুটা ভিন্নতা চলছে, যা মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাসের সঙ্গে অন্য দলগুলোর মতিগতির মাঝে কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষণীয়। জামায়াত-এনসিপিসহ কয়েকটি দল প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ‘যদি-কিন্তু-তবে’ দিয়ে কিছু বাড়তি কথা যোগ করছে। সংস্কার, বিচার, পিআর, জুলাই সনদ ইত্যাদি নিয়ে তাদের বেশ কিছু বাড়তি কথা রয়েছে। তবে নির্বাচন বর্জন করবে ধরনের কথা এখনো বলেনি। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোর কয়েকটি ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। টানা তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার নির্বাচনী তামাশায় মানুষ ত্যক্ত-বিরক্ত। এখন একটি সম্ভাব্য সুন্দর নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে বেশি কচলানি প্রত্যাশিত নয়। তার চেয়ে নির্বাচনটি আরও কত সুন্দর-সুষ্ঠু করা যায়, সেই আলোচনা বেশি হওয়া উচিত। নির্বাচনের প্রস্তুতি ঠিকমতো চলছে কি না, সেদিকেও দৃষ্টিপাত এবং প্রয়োজনে সমালোচনা দরকার।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হলেও তা ধ্রুব নয়। শিবিরের জয়জয়কারকে বাংলাদেশে উগ্রপন্থা বা মৌলবাদের বিস্তার বলে চালানো অমূলক। মনগড়া নেরেটিভ যে অকেজো হয়ে গেছে, তা বেশি বলার দরকার করে না। বিএনপি, জামায়াত, বাম দল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠীর সংগ্রাম, শ্রমিকদের আত্মত্যাগ এবং সাধারণ মানুষের ভূমিকা—এ সবকিছু মিলেই একটি আন্দোলন পূর্ণতা পেয়েছে। আর ছাত্র সংসদের দুটো নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির চমক দেখিয়েছে। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগরের মতো জায়গায় সুসংগঠিত কৌশল, প্রস্তুতি ও ইমেজ বিল্ডিং তাদের একটা সুইপ এনে দিয়েছে। এটিই ভবিষ্যৎ জাতীয় রাজনীতির চূড়ান্ত রূপরেখা? মোটেই নয়। জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ১২ কোটি ৬০ লাখ ভোটারের বিপরীতে ৪০-৫০ হাজার ভোট অনেকটাই সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো। স্বাধীনতার আগে-পরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বামপন্থিদের ভালো দাপট ছিল।

তখন ছাত্র ইউনিয়ন আর ছাত্রলীগ ছিল ছাত্ররাজনীতির সবচেয়ে বড় দুই শক্তি। স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগ ভেঙে গড়ে ওঠা জাতীয় ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগও ছিল দাপুটে। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদে ও রাজনীতিতে তারা দাবড়িয়ে বেড়িয়েছে। ডাকসুতে তো ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী চারবার ভিপি ও চারবার জিএস পদে জয়ী হয়েছেন। জাসদ ছাত্রলীগের প্রার্থী দুবার ভিপি ও একবার জিএস হয়েছেন। আবার জাসদ ছাত্রলীগ ভেঙে তৈরি হওয়া বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ছাত্রলীগও একবার ভিপি ও দুবার জিএস পদে জিতেছেন। ওয়াকার্স পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েক জায়গায় ব্যাপক শক্তিমান হয়ে ওঠে। জাতীয় রাজনীতিতে এর জের সেভাবে পড়েনি। যে যার মতো যত ব্যাখ্যাই দিক, বাস্তবতা হচ্ছে—এখানকার প্রথাগত রাজনীতির বনেদ। শ্রেণি রাজনীতি এখানে টেকসই হয়নি কখনো। তাদের শিক্ষাঙ্গনভিত্তিক কিছু হঠাৎ ঝলকানি জাতীয় রাজনীতির ধোপে টেকে না। একসময় রাজশাহী-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের এগিয়ে চলাও ছিল ওই সময়ের জন্য বিশাল ঘটনা। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে শিবির ভেতরে ভেতরে বা গুপ্তপথে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছে। তা ছাত্রলীগের মধ্যে ছিল, ছাত্রীদের মধ্যে কাজ করেছে আরেক মোড়কে। ৫ আগস্টের পরও অনেকের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। এর সুফল-কুফল, ভালো-মন্দ, অর্জন-বিসর্জন এখন অপেক্ষমাণ।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট

ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে দিনদুপুরে যুবক খুন

সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, মাছ কিনতে বিপাকে ক্রেতারা

বিশ্লেষণ / সামরিক শক্তিতে কতটা এগিয়ে কাতার

অভিজ্ঞতা ছাড়াই আবেদন করুন আবুল খায়ের গ্রুপে

পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে কি না বুঝবেন কীভাবে, জানালেন চিকিৎসক

ছোট ভাইয়ের বঁটির কোপে বড় ভাই খুন 

দারাজের এইচআর বিভাগে ইন্টার্ন করার সুযোগ, আজই ‍আবেদন করুন

সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে চাকরির জন্য আবেদন করুন

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব’

১০

মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্রকল্প

১১

বৃষ্টি বাড়বে না কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১২

রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে তাসকিন-লিটন

১৩

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে এই সুশীলা কার্কি

১৪

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কবে দায়িত্ব নেবেন, জানা গেল

১৫

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ

১৬

সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার

১৭

চুনারুঘাট থানার ওসি ক্লোজড

১৮

মায়ের সঙ্গে শপিংয়ে যান না অভিষেক বচ্চন

১৯

বিশ্লেষণ / মধ্যপ্রাচ্য কাঁপাচ্ছে ইসরায়েল, বড় দ্বিধায় সৌদি-আমিরাত

২০
X