ওজন কমাতে গিয়ে আপনি কি রাতের খাবার একেবারে বন্ধ করে দিচ্ছেন? ভাবছেন না খেলেই মেদ গলবে? অনেকে এটাই বলেন, কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা।
আরও পড়ুন : কিডনি ভালো না থাকলে শরীর যেভাবে সিগন্যাল দেয়
আরও পড়ুন : সারাদিন সতেজ থাকতে সকালে করুন এই সহজ ব্যায়াম
পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার জানাচ্ছেন, রাতে একেবারে না খেয়ে থাকলে ওজন কমা তো দূরের কথা, উল্টো বাড়তেও পারে! কেন এমনটা হয়, তা নিয়েই আজকের আলোচনা।
পুষ্টিবিদদের মতে, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা শরীরের বিপাক (metabolism) হারকে ধীর করে দেয়। এতে শরীর ক্যালোরি পোড়াতে কম দক্ষ হয়ে পড়ে।
ফলাফল? আপনি ভাবছেন ওজন কমছে, অথচ ভিতরে ভিতরে চর্বি জমছে আরও বেশি।
রাতের খাবার একেবারে বাদ দিলে :
- শরীরের শক্তি কমে যায়
- সকালে উঠে ক্লান্তি, মাথাব্যথা বা মনোযোগের অভাব দেখা দেয়
- কাজের উৎসাহ থাকে না
শরীর তো ইঞ্জিন— জ্বালানি ছাড়া ইঞ্জিন চলবে কীভাবে? তাই অল্প হলেও রাতে খাওয়া উচিত।
সন্ধ্যার নাশতার পর রাতের খাবার না খেলে সকালে নাশতার আগ পর্যন্ত ১২-১৩ ঘণ্টা না খেয়ে থাকা হয়। এতে :
- পাকস্থলীতে গ্যাস জমে
- অ্যাসিডিটি হতে পারে
- বেশি সময় এমন করলে আলসারের মতো জটিল সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে
তাই নিজের পেটের সঙ্গে অত্যাচার নয়— ভারসাম্যপূর্ণ খাওয়ায় মুক্তি!
রাতের খাবার একেবারে বাদ না দিয়ে, খাবারের পরিমাণ ও ধরন বদলান। যেমন :
- ১-২টা রুটি + সবজি বা স্যালাড
- ডিম, মুরগি, মাছ, পনির বা সয়াবিন— প্রোটিন থাকলে পেট ভরা থাকে
- ভাজাভুজি বা কড়া মশলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো
খেয়াল রাখুন সময়ের দিকেও— রাত ৯টার পর খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ওজন কমাতে হলে শুধু রাতের খাবার বাদ দিলেই হবে না। তার বদলে :
- সারাদিনে কতবার খাচ্ছেন
- কী খাচ্ছেন
- কতটা শারীরিক পরিশ্রম করছেন
এসবই গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি নিশ্চিতভাবে ওজন কমাতে চান, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ডায়েট প্ল্যান তৈরি করে নিন।
- রাতের খাবার একেবারে বাদ নয়
- হালকা ও সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন
আরও পড়ুন : চোখের নীরব বিপদ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
আরও পড়ুন : এক মাসে কতটা ওজন কমানো নিরাপদ, জানালেন চিকিৎসক
- দেরিতে খাবেন না
- বেশি না খেয়ে পরিমাণমতো খান
- প্রোটিন রাখুন ডায়েটে
- নিয়মিত ঘুম ও হালকা ব্যায়াম করুন
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন