কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কী করছে কী করবে আ.লীগ

আনোয়ার চৌধুরী
কী করছে কী করবে আ.লীগ

শঙ্কা এখন পুরোপুরিই সত্যি। নীরবতা যে নিষ্ক্রিয়তা নয়, কার্যক্রম নিষিদ্ধের চার মাস না যেতেই প্রমাণ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছাত্র-জনতার রক্তঝরা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দলটির নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে আসতে শুরু করেছেন। গত কয়েক দিনে তারা ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তান, ধানমন্ডি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও সংসদ ভবন এলাকায় সরকারবিরোধী স্লোগানসহ মিছিল করেছেন। ‘ঝটিকা’ হিসেবে চিত্রিত হয়েছে এসব মিছিল। মিছিলগুলো ‘ঝটিকা’ হলেও নেতাকর্মীদের উপস্থিতি চোখে না লাগার মতো ছিল না। ধানমন্ডির একটি মিছিল থেকে ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এরই মধ্যে মিছিল-সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগদলীয় একজন সাবেক সংসদ সদস্যসহ অনেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। চলমান রয়েছে আরও গ্রেপ্তারের কার্যক্রম।

গত বছর ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই মাঝেমধ্যে আওয়ামী লীগের টুকটাক ও চোরাগোপ্তা মিছিল দৃশ্যমান ছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সেসব মিছিলে উপস্থিত নেতাকর্মীর যে সংখ্যা ছিল, তা একেবারেই নগণ্য। তবে গন্তব্য অজানা জেনেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গত কয়েক দিনের মিছিলগুলো ছিল চোখে লাগার মতোই, যা কোনো পক্ষেরই চোখ এড়ায়নি। খোদ অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের রাজপথে নেমে আসাকে এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে নজরদারি জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মিছিলের নেপথ্যে সক্রিয়দের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যে তথ্য দিয়েছেন, তা ছিল খুবই অর্থপূর্ণ। তিনি বৈঠকের আলোচনা বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘বৈঠকে আলোচনা হয়, ফ্যাসিবাদী শক্তি যখন দেখছে যে দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জুলাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দ্রুতই এগোচ্ছে, তখন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এর ফলে তারা দেশের শান্তি বিনষ্ট করার জন্য গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে। এটা এখন শুধু আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নয়, এটা একটা জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সরকারের পক্ষ থেকে শফিকুল আলমের দেওয়া তথ্যের সংক্ষিপ্তরূপ হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী শক্তি ‘বেপরোয়া’ এবং তারা ‘সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে’।

ফ্যাসিবাদী শক্তি বলতে যে পতিত ও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকেই বোঝানো হয়েছে, পরিবর্তিত বাংলাদেশে এটা এখন কারোই অজানা নয়। এ শক্তির বিষয়ে সরকারের দেওয়া তথ্যগুলো দেশে নতুন করে শঙ্কা আর উদ্বেগ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। বিশেষ করে সরকার যখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন শেষ করতে অনড়, রাজনৈতিক দলগুলো যখন নির্বাচনী প্রস্তুতিতে মনোযোগী, ঠিক একই সময়ে ফ্যাসিবাদী শক্তির ‘বেপরোয়া’ হয়ে ওঠা, ‘সর্বাত্মক শক্তি’ নিয়ে মাঠে নামা এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু’ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার তথ্য অনেকটা ভয়ংকর তথ্যও বটে। যদিও সরকার ফ্যাসিবাদী শক্তির কর্মতৎপরতার বিষয়ে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত যদি ‘মব সন্ত্রাস’ দমনের মতোই ব্যর্থতায় পরিণত হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের বহু প্রশ্নের বহু উত্তর এরই মধ্যে তৈরি হয়ে আছে।

প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যের এসব প্রশ্নকারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজপথে প্রত্যাবর্তনের ঝটিকা চেষ্টায় অনেকটাই বিস্মিত। যে রাজপথে শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের জন্য রক্ত ঝরিয়েছে ছাত্র-জনতা, ঝুঁকিপূর্ণ পরিণতি জেনেও সে রাজপথেই এখন দাপট দেখানোর চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ—বিষয়টি মোটেই স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখছে না তারা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের এই অতিদ্রুত প্রত্যাবর্তন চেষ্টার নেপথ্য কারণগুলো নিয়ে চলছে বহুরৈখিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও। কেউ কেউ এ ঘটনায় সরকার, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতার আলোচনাও সামনে নিয়ে আসছে।

আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের চেষ্টায় কী কী ব্যর্থতা আছে সরকারের, এমন প্রশ্নের উত্তরে যেসব বিষয় সামনে আসবে, এর সঙ্গে সরকারের দ্বিমত কিংবা যুক্তি থাকতে পারে। তবে কোনো রাখঢাক না রেখে বলতে গেলে বলতে হয়, আওয়ামী লীগ ও দলটির ফ্যাসিবাদী নেতা-নেত্রীদের বিষয়ে শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সময়ের সিদ্ধান্ত সময়মতো না নেওয়ার নজিরও আছে ভূরি ভূরি।

সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় চলতি বছর ১০ মে। তাও আবার আন্দোলনের মুখে। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সরকার কাটিয়ে দিয়েছে দশ মাস সময়। ওই সময়ের মধ্যেই দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন পতিত শেখ হাসিনার শত-শত দাগি সহযোগী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। যাদের বিরুদ্ধে গুম, খুন, লুটপাট ও অর্থ পাচারের গুরুতর সব অভিযোগে এখন মামলা চলছে। কারা তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে, তাদের এখনো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারেনি সরকার। পালিয়ে যাওয়ার ছয় মাস-নয় মাস পর দেখা গেছে অনেকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, ব্যাংক থেকে সব টাকা তুলে নেওয়ার পর জব্দ করা হয়েছে অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এ যেন চোর পালালে বুদ্ধি হওয়ার মতো অবস্থা। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষ বিস্মিত হয়েছে, ক্ষুব্ধ হয়েছে। সরকারকে নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে টুকটাক।

ফ্যাসিবাদী শক্তির বিষয়ে সরকারের ধীরগতির অ্যাকশননীতি যে সরকারকেই কঠিনভাবে ভোগাবে, তা অনুমেয়ই ছিল। বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে শেখ হাসিনার সহচররা যে দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করবেন, সেই শঙ্কাও ছিল আগে থেকে। পালিয়ে যাওয়ার দুই-তিন মাসের মধ্যেই দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যগুলো সেই শঙ্কা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর একটু টনক নড়তে দেখা যায় সরকারের।

রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সে প্রচার না করতে আদেশ দেন। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্য অতিদ্রুত সরাতেও আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের এই আদেশ গত দশ মাসেও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। এখনো আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এ দেশে উন্মুক্তই আছে। সেখানে প্রচার হচ্ছে শেখ হাসিনার বক্তব্যও। সরকারবিরোধী নানা তথ্যও উপস্থাপিত হচ্ছে সেখানে। এগুলো দেখছে এবং শেয়ার করছে লাখ লাখ মানুষ। এসব বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কোনো মাথাব্যথা আছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তবে গত ২২ আগস্ট দৃশ্যমান হয়েছে গণমাধ্যম বিষয়ে সরকারের বক্তব্য। ওইদিন সরকার বিবৃতি দিয়ে যা জানিয়েছে, তার সার কথা হচ্ছে—কোনো গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার যে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, তাও গণমাধ্যমকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

যত দায় যেনও গণমাধ্যমেরই! অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, এ গণমাধ্যমই এখনো ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। কার্যক্রম নিষিদ্ধের আগে থেকেই যে আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সক্রিয় হয়েছে, বিদেশ পলাতক আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা প্রতিদিনই টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক গ্রুপসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যসব মাধ্যমে নিয়মিত গ্রুপ মিটিং করছেন, দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন—গণমাধ্যমই এগুলো সামনে নিয়ে এসেছে।

সরকারের দায়িত্বশীল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে যে এসব বিষয়ে তথ্য নেই, তা নয়। তবে তথ্যপ্রাপ্তির পরও সরকারের উদ্যোগগুলো দৃশ্যমান নয় পুরোপুরি। সরকারের অজানা থাকার কথা নয়, শেখ হাসিনার দাগি সহচররা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেও দেশেই আছেন দলটির লাখ লাখ নেতাকর্মী। শুধু স্থান বদল করেছেন তারা। গ্রামের লোক শহরে আর শহরের লোক এক শহর থেকে অন্য শহরে। আওয়ামী লীগের এসব নেতাকর্মী বসে বসে আঙুল চুষছেন না। অপ্রকাশ্যে সংগঠিত হচ্ছেন তারা। দলীয় নির্দেশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এলেই রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহসও দেখাতে পারেন তারা। গত কয়েক দিনে ঢাকার রাজপথের ঝটিকা মিছিলগুলো ছিল শুধুই রিহার্সাল মাত্র, চূড়ান্ত কিছু নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে—সরকার কি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে, নাকি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই রাজপথে সহিংস হয়ে উঠবে আওয়ামী লীগ। এসব প্রশ্নের প্রকৃত উত্তরের জন্য আমাদের আরও অনেক সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে আপাতত যতটুকু দৃশ্যমান, তাতেই স্পষ্ট—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের অন্যসব দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান সঠিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের আগে রাজপথে সহিংসরূপ দেখাতে পারে আওয়ামী লীগ। এর শুরুটা হতে পারে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাগুলোর রায় ঘোষণার পরপরই। আর শেষ দৃশ্যের শুরুটা দেখা যেতে পারে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে দিনদুপুরে যুবক খুন

সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, মাছ কিনতে বিপাকে ক্রেতারা

বিশ্লেষণ / সামরিক শক্তিতে কতটা এগিয়ে কাতার

অভিজ্ঞতা ছাড়াই আবেদন করুন আবুল খায়ের গ্রুপে

পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে কি না বুঝবেন কীভাবে, জানালেন চিকিৎসক

ছোট ভাইয়ের বঁটির কোপে বড় ভাই খুন 

দারাজের এইচআর বিভাগে ইন্টার্ন করার সুযোগ, আজই ‍আবেদন করুন

সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে চাকরির জন্য আবেদন করুন

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব’

১০

মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্রকল্প

১১

বৃষ্টি বাড়বে না কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১২

রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে তাসকিন-লিটন

১৩

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে এই সুশীলা কার্কি

১৪

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কবে দায়িত্ব নেবেন, জানা গেল

১৫

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ

১৬

সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার

১৭

চুনারুঘাট থানার ওসি ক্লোজড

১৮

মায়ের সঙ্গে শপিংয়ে যান না অভিষেক বচ্চন

১৯

বিশ্লেষণ / মধ্যপ্রাচ্য কাঁপাচ্ছে ইসরায়েল, বড় দ্বিধায় সৌদি-আমিরাত

২০
X