

রাজনৈতিক অভিধানে ফ্যাসিবাদের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এভাবে, ‘ফ্যাসিবাদ হলো একটি চরম কর্তৃত্ববাদী, জাতীয়তাবাদী ও একদলীয় মতাদর্শ, যেখানে রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং ব্যক্তি, অর্থাৎ জনগণের চেয়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’ এ মতাদর্শে বিশ্বাসী শাসকরা ভিন্নমতকে নিষ্ঠুরপন্থায় দমন করে এবং বল প্রয়োগের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখে। ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য হলো, এ ব্যবস্থায় একজন শক্তিশালী নেতা বা একটি মাত্র দলের হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে। জনগণের মত প্রকাশ, সংগঠন এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়। ফ্যাসিবাদী শাসকরা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না, এদের সহনশীলতা থাকে একেবারে তলানিতে। ক্ষমতা দখল কিংবা টিকে থাকার জন্য চরম নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিতে তারা দ্বিধা করে না। গণতন্ত্রে একটি দেশ বা রাষ্ট্রে জনগণকে সর্বোচ্চে স্থান দেওয়া হয়। আর ফ্যাসিবাদ জনগণ নয়, রাষ্ট্র এবং শাসককেই সর্বোচ্চ স্থান দেয়।
বিশ্ব-ইতিহাসে ইতালির মুসোলিনিকে ফ্যাসিবাদের জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মুসোলিনির পুরো নাম ‘বেনিতো আমিলকারে আন্দ্রেয়া মুসোলিনি’। প্রথম জীবনে মুসোলিনি ছিলেন সামাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী। ১৯০২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি সুইজারল্যান্ডে গিয়ে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ শুরু করেন। ১৯০৪ সালে দেশে ফিরে সাংবাদিকতায় সম্পৃক্ত হন। ১৯১২ সালে তিনি ইতালির সোশ্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘আভান্তি’র সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯১৫ সালে ইতালির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং এক সম্মুখযুদ্ধে আহত হয়ে সেনাবাহিনী থেকে বাদ পড়েন। ১৯১৯ সালের ২৪ মার্চ মুসোলিনি তার কয়েকজন সঙ্গীসাথিকে নিয়ে ‘ন্যাশনাল ফ্যাসিস্ট পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় ইতালি চরম অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুসোলিনি জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দলের যুবশ্রেণিকে নিয়ে একটি প্যারামিলিটারি বাহিনী গঠন করেন। ইতিহাসে এ বাহিনী ‘ব্ল্যাক শার্ট’ নামে পরিচিতি পায়। এই ব্ল্যাক শার্ট বাহিনীর প্রধান কাজ ছিল বিরুদ্ধবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকদের হেনস্তা ও প্রয়োজনে হত্যা করা। এরপর মুসোলিনি ইতালির রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে প্রায় তিন লাখ অনুসারী নিয়ে প্রথমে মিলান নগরী ও পরে রাজধানী রোম দখল করে ইতালির ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতাসীন হয়ে তিনি বর্বর শাসন কায়েম করেন। তার ব্ল্যাক শার্ট বাহিনী তখন ছিল ইতালির জনগণের সামনে মূর্তিমান বিভীষিকা। মুসোলিনি সরকারের বিরুদ্ধে কারও টুঁ শব্দ করার উপায় ছিল না। চরম নিষ্ঠুরতায় ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন করে নিজের ফ্যাসিবাদী শাসনকে অটুট রাখার চেষ্টা করেন। এ সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মুসোলিনি জার্মানির হিটলারের সহযোগী হন। যুদ্ধে ১৯৪৫ সালে মিত্রশক্তির বিজয়ের পর তিনি সুইজারল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কমিউনিস্ট প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন ও তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মৃত্যু হয় ফ্যাসিবাদী রাজনীতির জনক বেনিতো মুসোলিনির। তার প্রতি ইতালির সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণা এতটাই প্রবল ছিল যে, মৃত্যুর পর মুসোলিনির মৃতদেহে জনগণ লাথি মেরে ও থুতু ছিটিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল।
মুসোলিনির সমসাময়িক আরেক ফ্যাসিস্ট শাসক ছিলেন জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার। অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণকারী হিটলার ১৯১৩ সালে জার্মানি চলে আসেন। দরিদ্র পিতার সন্তান হিটলার জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে ১৯১৯ সালে জার্মান ওয়ার্কার্স পাটিতে যোগ দেন। পরে এই দলটির নামকরণ হয় ‘নাৎসি পার্টি’। ১৯২১ সালে হিটলার নাৎসি পার্টির নেতা নিযুক্ত হন। ১৯২৩ সালে মিউনিখে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান সংঘটিত করতে গিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে এক বছর পরেই তিনি মুক্তিলাভ করেন। ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হন এবং ১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট পল হিন্ডেনবার্গের মৃত্যুর পর হিটলার নিজেকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। এরপরই তিনি দেশটির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠেন। ক্ষমতাকে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে তিনি জার্মানিকে একটি সর্বগ্রাসী একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেন। হিটলারের নেতৃত্বে জার্মানি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করায় জনগণের মধ্যে তার একটি সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি হয়। কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতাকে অধিকতর সংহত করতে গিয়ে হিটলারও মুসোলিনির মতো স্বৈরতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করেন। ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেন। হিটলার ছিলেন ইহুদিবিদ্বেষী। ইতিহাসে বর্ণিত আছে, হিটলার প্রায় ষাট লাখ ইহুদিকে নির্বিচারে হত্যা করেছিলেন। বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করলেও অপরিণামদর্শী হিটলার জয়ী হতে পারেননি। মিত্রশক্তির সম্মিলিত আক্রমণের মুখে তাকে পরাজয় বরণ করতে হয়।
ইতিহাসবিদ ইয়ান কারশ হিটলারকে আখ্যায়িত করেছেন ‘আধুনিক রাজনৈতিক মন্দের প্রতীক’ হিসেবে। বাস্তবিক হিটলার ছিলেন তৎকালীন বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মন্দ শাসকের প্রতিকৃতি। তার বর্ণবাদী শাসন তাকে একজন নৃশংস নৃপতি হিসেবেই গোটা বিশ্বে পরিচিত করে। হিটলার তার নাৎসি পার্টিকে স্বৈরতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করতেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ এবং তার আদেশই সর্বোত্তম, এটাই ছিল তার কথা। তার কথা অবাধ্য হওয়ার বা বিরোধিতা করার অর্থই ছিল গেস্টাপো বাহিনীর হাতে নির্যাতন ও মৃত্যু। এ গেস্টাপো বাহিনী ছিল হিটলারের গোপন পুলিশ বাহিনী। এরা শুধু হিটলারের আদেশই পালন করত। এ বাহিনী ইতালির মুসোলিনির ব্ল্যাক শার্ট বাহিনীর মতোই বিরুদ্ধবাদীদের নিষ্ঠুর দমনপীড়নে নিয়োজিত ছিল। চরম ফ্যাসিবাদী শাসক হিটলারের পরিণতি ছিল অত্যন্ত করুণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের মুখে অসংখ্য মানুষকে হত্যাকারী হিটলার শেষ মুহূর্তে হত্যা করেছিলেন নিজেকে। ১৯৪৫ সালের ২৯ এপ্রিল বার্লিনের একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে স্ত্রী ইভা ব্রাউনসহ আত্মহত্যা করেন।
ইতালির মুসোলিনি এবং জার্মানির হিটলারের পর বিশ্বে আরও অনেক স্বৈরশাসক এসেছে। তারাও তাদের কুকীর্তির জন্য বিশ্ব ইতিহাসে কুখ্যাত হিসেবে স্থান পেয়েছেন। তবে মানুষ এখনো ফ্যাসিবাদী শাসকের প্রতীক হিসেবে জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার ও ইতালির বেনিতো মুসোলিনিকেই উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে। হিটলার-মুসোলিনি শারীরিকভাবে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও তাদের ফ্যাসিবাদী মতবাদের অবসান হয়নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে এ ফ্যাসিবাদী শাসন বিশ্বের একেক অঞ্চলে আবির্ভূত হয়েছে। কোথাও রাজতন্ত্রের বেশে, আবার কোথাও গণতান্ত্রিক শাসনের ছদ্মাবরণে। সমকালীন বিশ্ব-ইতিহাসে যে কয়জন স্বৈরশাসক কুখ্যাত হয়ে আছেন, তাদের মধ্যে ইরানের শাহান শাহ রেজা শাহ পাহলভি, ফিলিপাইনের ফার্দিনান্দ মার্কোস, রোমানিয়ার নিকোলাই চসেস্কু, চিলির অগাস্টো পিনোশে, উগান্ডার ইদি আমিন, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন উল্লেখযোগ্য। ইরানের শাহান শাহ রেজা শাহ পাহলভি ১৯৭৯ সালে প্রচণ্ড গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করে মিশরের কায়রোতে আশ্রয় নেন। ফিলিপাইনের স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোস ১৯৮৬ সালে গণবিক্ষোভের মুখে স্ত্রী ইমেলদাসহ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে পালিয়ে যান। রাজনীতির পরিহাস হলো, একদা ঘৃণিত ও পতিত ফার্দিনান্দ মার্কোসের পুত্র বং বং মার্কোস বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। রোমানিয়ার নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক নিকোলাই চসেস্কু ১৯৮৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং প্রকাশ্য বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়, ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরশাসকরা গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হয় বিচারের সম্মুখীন হয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন, না হয় পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছেন। অথচ সুশাসক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকার সুযোগ তাদের ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতাকে গিলে খাওয়ার লোভ তাদের নিয়ে গেছে ধ্বংসের চূড়ান্ত সীমানায়। হয়তো রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে কিছুদিন বা কিছুকাল তারা ক্ষমতাকে ভোগ করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোগ করতে হয়েছে অনিবার্য পরিণতি। বস্তুত কোনো শাসকই স্বৈরাচার হয়ে আসে না। ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জার্মানির হিটলার বা ইতালির মুসোলিনি যদি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার অভিপ্রায়ে একনায়কতন্ত্রকে মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ না করে যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পথ অবলম্বন করতেন, তাহলে তারাও জনসমর্থিত জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকতে পারতেন। কিন্তু একনায়কতান্ত্রিক উদগ্রতা তাদের পরিণত করেছে ইতিহাসের খলনায়কে।
গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে তার কেবিনেটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা আজ দেশ-বিদেশে একজন ফ্যাসিস্ট শাসক হিসেবে পরিচিত। অথচ রাজনীতিতে তার আগমন ছিল বর্ণাঢ্য। পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে দলের হাল ধরতে তিনি দেশে ফেরেন ১৯৮১ সালের ১৭ মে। তারপর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পৌঁছে যান রাষ্ট্রক্ষমতার মঞ্জিলে। প্রথম মেয়াদে অতটা বেপরোয়া ছিলেন না শেখ হাসিনা। কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তিনি হয়ে ওঠেন ক্ষমতামদে মত্ত। ছলেবলে কৌশলে রাষ্ট্রক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার অভিপ্রায়ে অবলম্বন করতে থাকেন একের পর এক অগণতান্ত্রিক পথ। রাষ্ট্রক্ষমতা তাকে এতটাই মোহগ্রস্ত করেছিল যে, একেবারে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যা খুশি তা-ই করেছেন। ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধী মতকে দমনপীড়নে ব্যাপৃত হন তিনি। জনগণের বাকস্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে টুঁটি চেপে স্তব্ধ করে দেন। তার ও তার সরকারের বন্দনা করতে বাধ্য করা হয় সংবাদাধ্যমকে। বিরোধী মত দমনে র্যাবকে পরিণত করেন মুসোলিনির ব্ল্যা্যাক শার্ট বাহিনীতে আর পুলিশকে পরিণত করেন হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীতে। এ দুই বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের খুন-গুমসহ নির্যাতনের চরম নিষ্ঠুরতার নজির স্থাপন করে শেখ হাসিনা। সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা ঘটান ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে। বাংলাদেশে অতীতেও নানা আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালিয়েছে, মানুষ নিহত হয়েছে। কিন্তু চব্বিশের জুলাই আন্দোলন দমন করতে গিয়ে শেখ হাসিনা এতটাই নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিয়েছিলেন, অভিযুক্ত ও দণ্ডিত হয়েছেন গণহত্যার দায়ে। গণতন্ত্রের সরোবরে অবগাহন করে রাজনীতিতে যার যাত্রা শুরু, আজ তার ঠাঁই হয়েছে ফ্যাসিবাদীদের কাতারে। এ এক নিদারুণ ট্র্যাজেডি!
লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক
মন্তব্য করুন