মোতাহার হোসেন
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যর্থতার বৃত্ত পেরোতে পারল না কপ৩০

ব্যর্থতার বৃত্ত পেরোতে পারল না কপ৩০

আমাজন লাগোয়া শহর বেলেমে টানা দুই সপ্তাহের ‘কপ৩০’ সম্মেলন ধরিত্রী রক্ষায় আশার আলো জ্বালাতে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত এ ব্যর্থতার দায় শুধু আয়োজক দেশ ব্রাজিলের নয়, বরং তা শিল্প উন্নত দেশ এবং পৃথিবীর বন-হাওয়া রক্ষার দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘেরও। কারণ, বিগত কপগুলোর মতো এবারের জলবায়ু সম্মেলনে সেই একই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে! বিগত ২৯টি সম্মেলনের মতো এবারও ব্যর্থতার কুয়াশায় ভরপুর! অন্যবারের মতো এবারও আকাশচুম্বী ফর্দ বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস, তথা কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আড়ম্বরে সাজিয়ে তোলা এ বিশ্ব আয়োজন যথারীতি অপূর্ণতার গ্লানিতে ঢেকে গেছে। শুধু তাই নয়, পূরণ হয়নি জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশসহ ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও আমাজনের আদিবাসীদের ‘চৌদ্দপুরুষের মনোবাসনা’। আদিবাসীই শুধু নয়; শিল্প-বিপ্লব, পুঁজিবাদ, নগরায়ণে অতিষ্ঠ পুরো ধরিত্রীবাসীই হতাশ! গত শনিবার বড় কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্যাপক হইচইয়ের পর চরম হতাশাজনকভাবে শেষ হয় জলবায়ু সম্মেলন-কপ৩০। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ছাড়াও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও তাদের পর্যালোচনায় ‘কপ৩০’কে ব্যর্থ এবং নিষ্ফল’ বলে অভিহিত করেছে।

অথচ আশার আলো হাতে ছুটে আসা বাংলাদেশসহ ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও দিনশেষে সম্মেলনটি ‘অপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন। ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার রোধ এবং বন নিধন ঠেকানো’ সম্মেলনের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মূলত বিশ্বের প্রভাবশালী জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানিকারী দেশগুলোর প্রচণ্ড বিরোধিতা ও বাধার মুখে ভেস্তে যায় আলোচনা। শেষমেশ দূষণের প্রভাব কমাতে দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থ সহায়তাবিষয়ক একটি নামমাত্র চুক্তির মধ্য দিয়ে যবনিকা হলো এবারের জলবায়ু আসর।

সম্মেলন আয়োজক দেশ ব্রাজিল জানিয়েছে, কপ৩০ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সহযোগিতার ‘টার্নিং পয়েন্ট’। ফসিল জ্বালানির ভবিষ্যৎ, জলবায়ু তহবিল ও নিঃসরণ কমানো—এসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে দেশগুলোকে আহ্বান জানায় তারা। কপ৩০-এর সভাপতি আন্দ্রে করেয়া দে লাগো বলেন, ‘এ ইস্যু আমাদের বিভক্ত করতে পারে না। আমাদের অবশ্যই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে।’

মূলত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করাসংক্রান্ত ভাষা গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব ও রাশিয়া, কয়লা উৎপাদক দেশ ভারত, চীন এবং অন্যান্য উদীয়মান দেশকে দায়ী করেছেন ফ্রান্সের পরিবেশমন্ত্রী। ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কপ২৮ চুক্তিতে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার পদক্ষেপের কথা বলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ধাপে ধাপে বন্ধ করার প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে ব্যর্থতায় হতাশা দেখা দেয়। ধনী দেশ, উদীয়মান অর্থনীতি, ছোট দ্বীপরাষ্ট্রসহ ৩৬টি দেশ একটি চিঠিতে আয়োজক দেশ ব্রাজিলকে সতর্ক করে। তাদের ভাষ্যে—তেল, কয়লা ও গ্যাসের ব্যবহার থেকে সরে আসার পরিকল্পনা ছাড়া কোনো চুক্তি তারা গ্রহণ করবে না। চুক্তিটি হলো—বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব ঠেকাতে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোকে অর্থসহায়তা বৃদ্ধি।

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ২০৩৫ সালের মধ্যে অর্থসহায়তা তিনগুণ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয় ধনী ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো। শেষমেশ আয়োজক দেশ বাধ্য হয়ে চুক্তি থেকে ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস-সংক্রান্ত এজেন্ডা বাদ দিয়েই কপ৩০-এ চূড়ান্ত জলবায়ু চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সভাপতিত্বে একটি সমঝোতামূলক জলবায়ু চুক্তি চূড়ান্ত হয়। শনিবার ২২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলেম শহরে স্বাক্ষর হওয়া এ চুক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করবে। তবে এ চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল চালিকাশক্তি জীবাশ্ম জ্বালানি কমানো নিয়ে সরাসরি কোনো উল্লেখ নেই।

মূলত শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আলোচনাগুলো অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। টানা ১২ ঘণ্টার আলোচনার পর ১৯৪টি দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চুক্তিতে সম্মতি দেয়। ব্রাজিল আশা করছে, চুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পদক্ষেপে সমন্বয় সম্ভব হবে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি না পাঠানো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের জলবায়ু সেক্রেটারিয়েটের নির্বাহী সেক্রেটারি সাইমন স্টিয়েল বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের মধ্যে নানা বিভাজন, বিভেদ, বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও দেশগুলো একমত হতে পেরেছে। আমরা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’ আলোচনায় জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে গভীর মতভেদ প্রকাশ পায়। সৌদি আরব ও রাশিয়ার মতো উৎপাদনকারী দেশগুলো তেলের ব্যবহার কমানোর রূপরেখা তৈরিতে বাধা দেয়। চূড়ান্ত চুক্তিতে শুধু ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানি কমানোর আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব রাখা হয়, কিন্তু বনভূমি নিধন রোধ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেই, যা পরিবেশবাদী গোষ্ঠী ও আয়োজক দেশকে হতাশ করেছে। কিছু প্রতিবেশী দেশ যেমন কলম্বিয়া, পানামা, উরুগুয়ে চুক্তির প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও চুক্তিতে সমর্থন দিলেও কিছু দিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

কপ৩০-এর মূল লক্ষ্য ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো এবং জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের কাঠামো শক্তিশালী করা। চুক্তির ফল বলছে, বিশ্বব্যাপী সমন্বয় কিছুটা সম্ভব হলেও উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু পদক্ষেপ নেওয়ায় ক্ষেত্রে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

ব্রাজিলের আমাজন রেইনফরেস্টের উঠোনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে প্রায় ২০০ দেশ স্বল্প পরিসরের একটি চুক্তি মেনে নিয়েছে। অথচ সম্মেলন চলাকালে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে সরব বিক্ষোভ করে। তাদের জমিতে কৃষি, তেল অনুসন্ধান, অবৈধ খনন ও কাঠ কাটার প্রকল্প বন্ধের দাবি জানায়। এটা তাদের চাওয়া ছিল—শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, ভূমি এবং জীবিকা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যকরী কোনো সমাধান আসেনি। নামমাত্র আলোচনায় শেষ হয়েছে এ আসর।

দুই সপ্তাহজুড়ে সম্মেলনে দীর্ঘ বৈঠকের পরও তেল, কয়লা ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস নিয়ে সরাসরি সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দেশগুলো। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি ভুক্তভোগী ৮০টির বেশি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো ইস্যুতে জোর দাবি জানায়। তবে বেঁকে বসে সৌদি আরব ও রাশিয়ার মতো দেশ। নিজেদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন ও রপ্তানি বন্ধে রাজি নয় তারা। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর ভিন্নমতের কারণে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সম্মেলন ঘিরে। অবশ্য সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে করিয়া দো লাগো বলেন, ‘এবারের সম্মেলন থেকে আরও বড় বড় লক্ষ্য অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ছিল অনেকের। অনেকেই আশা করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। আমি তাদের হতাশ করতে চাই না।’

এদিকে সম্মেলনের এমন সিদ্ধান্তে চটেছে কলম্বিয়া, পানামা, উরুগুয়ের মতো কয়েকটি দেশ। প্রশ্ন উঠেছে সম্মেলনের নেতৃত্ব নিয়েও। জানা যায়, শেষ দিনের চূড়ান্ত সভায় চুক্তিবিষয়ক কোনোরকম আপত্তি জানানোর সুযোগই দেওয়া হয়নি বিপক্ষে অবস্থানকারী কোনো দেশকে। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। পাঠায়নি কোনো প্রতিনিধি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী রাষ্ট্রের অনুপস্থিতিও প্রভাব ফেলেছে এবারের সম্মেলনের সিদ্ধান্তে, মনে করছেন অনেকে।

ব্রাজিলের এ সম্মেলন শেষ মুহূর্তে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। কেননা, প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তাদের অভিযোগ, খসড়াটি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় কোনো অগ্রগতি আনবে না। ইইউ বলছে, প্রস্তাবিত খসড়ায় নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ দুর্বল। অন্যদিকে কিছু উন্নয়নশীল দেশ অভিযোগ করেছে, ইইউ নিজে ফসিল জ্বালানি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিলেও জলবায়ু তহবিল বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু কমিশনার ভপকে হোকস্ত্রা বলেছেন, এ প্রস্তাব ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। এক উন্নয়নশীল দেশের আলোচক বলেন, ‘ফসিল জ্বালানির জন্য যদি পথ থাকে, তবে জলবায়ু তহবিলের জন্য পথ থাকতে হবে।’

সম্মেলন দফায় দফায় বিভিন্ন সময় আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয় আরব গ্রুপের অবস্থানের কারণে। তেলসমৃদ্ধ ২২টি দেশের এ জোট জানায়, তাদের জ্বালানি শিল্প নিয়ে কোনো আলোচনা ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং এতে আলোচনাই ভেঙে পড়তে পারে। সৌদি আরব আলোচকদের সতর্ক করে জানায়, তাদের শিল্পকে লক্ষ্য করলে ‘আলোচনার পতন’ ঘটবে। ফলে সর্বোপরি আমরা এ প্রত্যাশা করি যে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসে তুরস্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘কপ-৩১’ ধরিত্রী রক্ষায় বিশ্বকে আশার আলো দেখাতে সক্ষম হবে।

লেখক: সম্পাদক-ক্লাইমেট জার্নাল২৪.কম এবং সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিসিজেএফ)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রিপেইড মিটারের ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ যা বলছে

ডিআইজি পদে একযোগে ৩৩ জনের পদোন্নতি

আলোচিত ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

কানাডায় নেওয়ার কথা বলে নিল ৩৮ লাখ, নিঃস্ব ২ পরিবার

মার্করামের বিশ্বরেকর্ড, প্রোটিয়াদের কাছে ধবলধোলাই ভারত

আমার মতো এত বেশি উত্থান-পতন কেউ দেখেনি: জোভান

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ 

সহজ, ঝটপট আর দারুণ মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া

কাঠের সেতুই ২০ গ্রামে স্বস্তির হাসি

রাবিতে বহুল প্রত্যাশিত ই-কার সেবা চালু

১০

ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের শক্তিশালী দল ঘোষণা

১১

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্তকে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা

১২

হোয়াটসঅ্যাপে এলো নতুন ‘নোট’ ফিচার

১৩

আবারও যমুনা অভিমুখে মিছিলের ঘোষণা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের

১৪

ব্যক্তিগত চ্যাট ফাঁসের পর বিয়ে স্থগিত, মুখ খুললেন গায়কের মা

১৫

প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৬

হত্যা মামলার প্রধান আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

১৭

লটারির পর একযোগে ৬৪ এসপিকে বদলি

১৮

লটারিতে এসপি নিয়োগে মেধাবী কেউ বাদ পড়েনি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯

ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা

২০
X