কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপির নীতিনির্ভর রাজনীতির নতুন রূপরেখা

ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান
বিএনপির নীতিনির্ভর রাজনীতির নতুন রূপরেখা

চব্বিশের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের ফলে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে এক জটিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার মুখোমুখি। নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য, বেকারত্ব, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়বহুলতা এবং শিক্ষার মান নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ—এসব সংকট মিলিয়ে মানুষের জীবনে অনিশ্চয়তা গভীরতর হয়েছে। দেড় যুগ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উন্নয়ন ও অগ্রগতির নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সেগুলোর খুব কমই বাস্তবে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। তাই বর্তমানে প্রয়োজন এমন রাজনীতি, যা কথার চেয়ে কাজে, স্লোগানের চেয়ে সমাধানে, প্রতিশ্রুতির চেয়ে প্রস্তুত নীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এরই মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষিত হয়েছে। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নিজেদের নীতি ও কর্মপরিকল্পনা নতুনভাবে সাজিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি এমন একটি নীতিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছে, যা আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। বিএনপি মনে করে, রাজনীতি যদি জনগণের জীবনমান উন্নত করার উপযোগী না হয়, তবে তা শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা হয়ে থাকে। তাই বিএনপি প্রস্তুত করেছে আটটি খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনাÑফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, পরিবেশ, কর্মসংস্থান এবং ধর্মীয় নেতাদের উন্নয়ন সেবা—যার প্রতিটিই মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।

বর্তমান মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্ধিত মূল্যস্ফীতি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোকে টিকে থাকার লড়াইয়ে ঠেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপি জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর সরাসরি উদ্যোগ হিসেবে প্রতিটি পরিবারে প্রাপ্তবয়স্ক নারীর নামে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০০-২৫০০ টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও জরুরি পণ্য সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাবে। এর ফলে পরিবারগুলোর দৈনন্দিন ব্যয় কমবে, পাশাপাশি নারীদের সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে; যা নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সুরক্ষার একটি স্থায়ী পথ উন্মুক্ত করবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম মূল ভিত্তি কৃষি আর এ ভিত্তিকে ধারণ করে রাখা নীরব শক্তি হলো কৃষক। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে গ্রামীণ উন্নয়নে কৃষকের অবদান অপরিসীম। অথচ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অনিশ্চয়তার মুখে থাকেন তারাই। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম না পাওয়া, মানসম্পন্ন বীজ-সার এবং কৃষি প্রযুক্তির সহজলভ্য না হওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাজারজাতকরণ সংকটে তারা প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ অবস্থায় বিএনপি কৃষকদের জন্য কৃষক কার্ড চালু করার প্রস্তাব করেছে। কৃষক কার্ড চালু হলে কৃষকরা স্বল্পমূল্যে সার, উন্নত বীজ ও কৃষি প্রযুক্তি পাবেন। পাশাপাশি সহজে ঋণ প্রাপ্তি এবং তাদের বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এতে কৃষি উৎপাদন বাড়বে, কৃষকের আয় বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। বিএনপির মতে, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’। তারেক রহমান মনে করেন, কৃষি ও কৃষকের সার্বিক সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পারলেই টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের প্রধান সমস্যাগুলো বহুস্তরীয় ও দীর্ঘদিনের কাঠামোগত সংকটের সঙ্গে জড়িত। স্বাস্থ্য অবকাঠামো প্রধানত শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা এখনো অপ্রতুল। স্বাস্থ্যসেবা আজ বহু পরিবারের জন্য বড় বোঝা। এ বাস্তবতা বিবেচনায় বিএনপি প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বিএনপি পরিকল্পনা করেছে সারা দেশে শক্তিশালী প্রাইমারি হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্তত এক লাখ দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে, যাদের ৮০ শতাংশই হবেন নারী। ফলে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান আরও সহজ হবে। রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসচেতনতার ওপর গুরুত্ব বাড়িয়ে বিএনপি একটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য-অধিকার কাঠামো তৈরি করবে। সব মিলিয়ে, স্বাস্থ্য খাতকে টেকসই ও জনগণের জন্য কার্যকর করতে কাঠামোগত সংস্কার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করবে বিএনপি।

বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের বর্তমান দুরবস্থা একটি বহুমাত্রিক সংকটের প্রতিচ্ছবি, যেখানে নীতি, অবকাঠামো ও মানÑতিনটি ক্ষেত্রেই স্পষ্ট দুর্বলতা বিদ্যমান। শিক্ষা খাতের এ সংকট শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ, জাতীয় দক্ষ মানবসম্পদ গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকেও ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এ অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নীতি হিসেবে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা এবং দক্ষতা ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে তরুণদের ভবিষ্যৎ উন্নত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা পাবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাবেন পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, আর্থিক নিরাপত্তা এবং বিশেষ মর্যাদা। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমকে শিল্প ও কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যাতে তরুণরা সার্টিফিকেট নয়, বরং বাজার উপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং কর্মসংস্থানে দ্রুত যুক্ত হতে পারে। অর্থাৎ, শুধু সার্টিফিকেট নয়—কাজের দক্ষতা বাড়ানোই হবে বিএনপির মূল লক্ষ্য।

সুস্থ জাতি গঠনে ক্রীড়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ক্রীড়া শুধু শারীরিক সক্ষমতা নয়, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশেরও শক্তিশালী মাধ্যম। দলগত খেলাধুলা নেতৃত্ব-শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা ও পারস্পরিক সম্মানের মতো সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলে। তাই বিএনপি তাদের কর্মপরিকল্পনায় ক্রীড়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণ সমাজের শক্তিকে ইতিবাচক পথে পরিচালিত করতে সারা দেশে খেলাধুলার সুযোগ বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক ও পেশাভিত্তিক সম্ভাবনাময় খাতে রূপান্তর করার পরিকল্পনাও রয়েছে বিএনপির। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ক্রীড়া সংস্থায় পর্যাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক, মাঠ প্রশিক্ষক ও ক্রীড়া অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এতে তরুণদের নৈতিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্তও উন্মুক্ত হবে।

বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। জলবায়ু পরিবর্তনের বহুমুখী প্রতিক্রিয়ায় শুধু পরিবেশগত দুর্যোগ নয়, জাতীয় অর্থনীতি, অবকাঠামো, জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক স্থিতিশীলতা—সবকিছুকেই ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে, যা মোকাবিলায় জরুরি অভিযোজন ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা প্রয়োজন। তারেক রহমান এ বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির পরিবর্তনের রাজনীতির প্রতিশ্রুতিতে পরিবেশ ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। বিএনপির ঘোষিত এ পরিকল্পনাও সময়োপযোগী। নবায়নযোগ্য শক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং বাড়ানোর পাশাপাশি সারা দেশে ২৫ হাজার কিলোমিটার খাল ও নদী খনন-পুনঃখননের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচব্যবস্থা ত্বরান্বিত এবং নদীর পানিপ্রবাহ টেকসই হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানি সংকট দূর করতে পদ্মা ব্যারেজ নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং তিস্তা ব্যারেজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একটি জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনার রূপরেখা বাস্তবায়ন করবে।

কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হওয়ায় শহরমুখী জনস্রোত বাড়ছে, যা নগর অবকাঠামো ও সেবা ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে তারেক রহমান বিএনপির নীতিনির্ভর রাজনৈতিক পরিকল্পনার কেন্দ্রস্থলে রেখেছেন। এসএমই (SME) ব্লু ইকোনমি, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইসিটি, ই-কমার্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, গেমিং ও স্টার্টআপ এসব খাতকে কর্মসংস্থানের প্রধান উৎসে রূপান্তর করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দলটি। বিদেশে কর্মসংস্থানের নতুন বাজার খোঁজা, দক্ষতা উন্নয়ন ও জেলাভিত্তিক স্কিল আপগ্রেডেশন প্রোগ্রাম চালুর মাধ্যমে তরুণদের জন্য ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্টের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তারেক রহমান। নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করা হবে। সমাজে নীতি, মূল্যবোধ ও মানবিকতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব এবং অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পুরোহিত-পাদ্রিদের মাসিক সম্মানী দেওয়া এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবগুলোতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জন্য অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ তৈরি করা হবে, যাতে তাদের পারিবারিক-অর্থনৈতিক নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হয়।

নীতিনির্ভর রাজনীতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা হলো—তথ্যভিত্তিক প্রচার। বিএনপি এরই মধ্যে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে একটি বৃহৎ প্রচারাভিযান শুরু করেছে। এ কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে বিএনপির ৩১ দফার পাশাপাশি ৮টি নীতিতথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এতে ভোটাররা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও সচেতন হবেন, ভুল তথ্যের বিস্তার কমবে এবং নির্বাচনী রাজনীতি যুক্তি ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিলে কী পরিবর্তন আসবে—এ প্রশ্নের একটি স্পষ্ট উত্তর মানুষ আগেই জানতে পারবে বিএনপির এই আটটি কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এখন একটি নতুন দিকনির্দেশনার অপেক্ষায়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা দেশের বাস্তব সমস্যার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য। ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের সুযোগ;Ñযেখানে দায়িত্বশীল রাজনীতি, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। এখন সময় নীতিনির্ভর, জনগণকেন্দ্রিক এবং দায়িত্বশীল রাজনীতির। তারেক রহমান তথা বিএনপির বর্ণিত প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা এ দায়িত্বশীল রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।

লেখক: ডিন (ভারপ্রাপ্ত), কলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাড়ে ৪ কোটি টাকার ইয়াবাসহ র‌্যাবের জালে নাসির

২০ বছর পর ২৭তম বিসিএস থেকে নিয়োগ পেলেন ৬৭৩ জন

শীতে ঠোঁট ফাটার ঘরোয়া সমাধান

ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের বিষয়ে এনবিআরের যে সিদ্ধান্ত

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ সিদ্ধান্ত

ক্রিকেট একাডেমি গড়ার ঘোষণা দিলেন মুশফিক

ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি সিআইডি

মৃত্যুর পর ৪০ দিন পর্যন্ত রুহ বাড়িতে ঘোরাঘুরি করে?

বিতর্কের মধ্যেই ফের ইসরায়েলে সামরিক সরবরাহ শুরু

এনসিপিতে পদ পাওয়ার পরদিন সুখবর পেলেন বিএনপির ২ নেতা

১০

নারীর নিকাব টানায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

১১

পাচারকালে আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার প্রসেস জব্দসহ আটক ৩

১২

জামায়াত নেতার ‘জান্নাতের প্রলোভন’, কড়া প্রতিবাদ ফখরুলকন্যার 

১৩

কোটিপতি থেকে হাজার কোটির মালকিন জুহি চাওলা

১৪

যুক্তরাজ্যে নয়, সিঙ্গাপুরেই হাদির অস্ত্রোপচারের অনুমতি

১৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

১৬

মেয়েকে নিয়ে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে নামার সময় জানালেন সাত্তার

১৭

গোপনে বাংলাদেশে কনসার্ট করছেন আতিফ আসলাম

১৮

ভুল সম্পর্কে না থেকে সিঙ্গেল থাকার ৬ কারণ

১৯

পদত্যাগ করলেন আনচেলত্তি

২০
X