

শীত মানেই শুষ্ক আবহাওয়া। এ সময়ে ত্বক যেমন শুষ্ক হয়, ঠোঁটও ফাটে। ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রায় সবারই হয়। এটা শুধু অস্বস্তিকর নয়, কখনো কখনো রক্ত বা ব্যথাও সৃষ্টি করতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া যত্নে ঠোঁটকে কোমল ও স্বাস্থ্যবান রাখা সম্ভব।
ঠোঁটে তেল গ্রন্থির অভাব : ঠোঁটে প্রাকৃতিক তেল তৈরির গ্রন্থি থাকে না। তাই ঠোঁট শুষ্ক বাতাসে দ্রুত আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে।
শুষ্ক বাতাস ও ঠান্ডা : শীতকালে বাতাস শুষ্ক এবং ঠান্ডা থাকে। ঠান্ডা রক্তনালির সংকোচন ঘটায়, যা ঠোঁটকে আরও শুষ্ক করে।
অভ্যাসগত ক্ষতি : ঠোঁট ফাটলে অনেকেই লালা দিয়ে চেটে থাকেন। এতে ঠোঁটের পাতলা ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফাটল বড় হতে পারে।
পানি কম খাওয়া : শীতে কম পানি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, যার প্রভাব ঠোঁটেও পড়ে।
চিনি দিয়ে স্ক্রাব : এক চা চামচ চিনি, অর্ধ চা চামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নরম স্ক্রাব তৈরি করুন। ঠোঁটে আলতোভাবে ঘষে পাঁচ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং শুষ্কতা কমে।
প্রাকৃতিক তেল : নারকেল তেল ঠোঁটের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। রাতে ঘুমানোর আগে লাগালে ভালো হয়। চাইলে দেশি ঘি বা মাখনও ব্যবহার করতে পারেন।
মধু : মধু বাতাস থেকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে অল্প মধু লাগান। এতে ঠোঁট নরম ও স্বাস্থ্যবান থাকে।
পর্যাপ্ত পানি ও সুরক্ষা : দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শীতে বাইরে বের হওয়ার সময় SPF যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন।
যদি ঠোঁটের ফাটার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা জটিল হতে থাকে, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা
মন্তব্য করুন