

সদ্য ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিরাজগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটিতে পদ পাওয়ার পরদিনই বিএনপি থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি পেলেন দুই নেতা। তবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এনসিপিতে পদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম সংগঠনের সিরাজগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে সদস্য পদে নুরুল ইসলাম মাস্টার ও জাহাঙ্গীর আলমকে রাখা হয়।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারকৃতরা হলেন-সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম মাস্টার, চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম মাস্টার বলেন, আমি আজীবন শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া দল বিএনপির রাজনীতি করেছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি বিএনপি করব। এনসিপির কমিটিতে আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পদ দেওয়া হয়েছে। আমি কখনোই এনসিপির সঙ্গে জড়িত নই।
তিনি আরও বলেন, আজকে বিএনপি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিডিয়ায় ভুলক্রমে আমার নাম প্রকাশ হয়েছে। এনসিপির কমিটিতে জাহাঙ্গীর নাম থাকলেও সেই জাহাঙ্গীর আমি নই। সেখানে আমার কোনো আইডেন্টিটি নেই। আমি বিএনপির রাজনীতিতে ছিলাম এবং এখনো আছি। দল ইতোমধ্যে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ জন্য দলের সকল নেতাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
মন্তব্য করুন